দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ প্রেমিকের সঙ্গে ট্রেনে চেপে পালাতে চেয়েছিলেন পুলিশ কনস্টেবল জনৈকা স্ত্রী। স্টেশনেই দু’জনকে হাতেনাতে ধরে ফেলেন তার সেনা জওয়ান স্বামী।
স্ত্রীর প্রেমিককে স্টেশন চত্বরে উত্তম-মধ্যম দিলেন তিনি! দুই ব্যক্তির ওই হাতাহাতির ঘটনা ঘিরে তোলপাড় হয়ে যায় গোটা স্টেশন। সেই গোলমালের একটি ভিডিও সম্প্রতি এক্স হ্যান্ডলে ‘মানু’ নামে একটি অ্যাকাউন্ট থেকে পোস্ট করা হয়েছে।
ঘটনাটি ঘটেছে ভারতের বিহারের পটনা স্টেশনে। ওই ভিডিওতে দেখা গিয়েছে, পটনা স্টেশনের ৯ নম্বর প্ল্যাটফর্মের তুমুল উত্তেজনা সৃষ্টি হয় এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে। উপস্থিত জনতার সামনে নীল জামা পরা এক ব্যক্তিকে পেটাচ্ছেন অপর এক ব্যক্তিকে। তাকে থামানোর চেষ্টা করছেন জনৈকা মহিলা। সেই মহিলার উদ্দেশেও চিৎকার করতে দেখা যাচ্ছে। সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর হলো, ওই মহিলার স্বামী পেশায় আধাসামরিক বাহিনীর জওয়ান। ওই মহিলাও বিহার পুলিশেরই একজন কনস্টেবল। ৩০ অক্টোবর তিনি প্রেমিকের হাত ধরে পালানোর চেষ্টা করেন বলে জানা যায়।
এদিকে স্ত্রীর সন্ধানে সেনা জওয়ান স্বামী স্টেশনে পৌঁছানোর সঙ্গে সঙ্গেই শুরু হয় নাটকীয় ওই ঘটনা। প্রেমিকার স্বামীকে দেখে ওই তরুণ তার পুলিশ প্রেমিকার থেকে দূরত্ব বাড়াতে থাকেন। প্রেমিকাও তখন ঘটনাস্থল থেকে পালানোর চেষ্টা করেন।
তবে ওই জওয়ান তাদের একসঙ্গে দেখে স্ত্রীর প্রেমিককে রেলস্টেশনেই আটকে রাখেন। স্টেশনে উপস্থিত জনতার সামনে তিনি ওই ব্যক্তিকে চড় এবং লাথি মারতে শুরু করেন। যা দেখে হতবাক হয়ে যান স্টেশনে অবস্থানরত যাত্রীরা। বেশ কিছুক্ষণ এই গোলমাল চলার পর স্ত্রীকে নিয়ে ঘটনাস্থল থেকে চলে যান ওই জওয়ান। এরপরই সুযোগ বুঝে স্টেশন থেকে চম্পট দেন প্রহৃত প্রেমিক! তথ্যসূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা অনলাইন।
>>>>>>>>>>>>>>
ডেঙ্গু প্রতিরোধ করবেন যেভাবে
মশা বাহিত একপ্রকার ভাইরাস জ্বর হলো ডেঙ্গু। এই জ্বর অন্যান্য ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়াজনিত জ্বর থেকে ভিন্ন। অবশ্য এই জ্বর কোনোভাবেই ছোঁয়াচে নয়। এই ভাইরাস জ্বর এককভাবে বা অন্যান্য ভাইরাস (চিকুনগুনিয়া, ইয়েলো ফিভার, বার্মা ফরেস্ট, ফ্লু, রেসপাইরেটরি সিনসাইটিয়াল) এবং ব্যাকটেরিয়া (নিউমোক্কাস)-এর সঙ্গেও হতে পারে।
লক্ষণ ও জ্বরের তীব্রতার ওপর নির্ভর করে ডেঙ্গুজ্বরকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে।
১. সাধারণ ডেঙ্গুজ্বর
২. রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বর।
সাধারণ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে চোখে পড়ে মূলত নিচের এই লক্ষণগুলো-
১. হঠাৎ করে তীব্র জ্বর ও তা ২ থেকে ৭ দিন স্থায়ী হওয়া।
২. তীব্র মাথাব্যথা হওয়া।
৩. চোখের পেছনের অংশে ব্যথা হওয়া।
৪. জ্বরের সঙ্গে সঙ্গে সারা শরীরে লালচে ফুসকুড়ি চোখে পড়া।
৫. সম্পূর্ণ শরীরে তীব্র ব্যথা ও সেইসঙ্গে কোমরে ব্যথা।
৬. বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া।
৭. ত্বকে র্যাশ বা লাল দানা দানা দেখা দেওয়া।
রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে :
১. ২ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তীব্র জ্বর সঙ্গে নাক, মুখ বা বমির সঙ্গে রক্ত যাওয়া।
২. জ্বরের পাশাপাশি বুকে বা পেটে পানি জমে যাওয়া।
এইসব লক্ষণের যে কোনো একটি লক্ষণ দেখা দিলেই দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।
অপরদিকে
জ্বরের প্রথম ৩ দিন বাড়িতে অপেক্ষা করুন। অপরদিকে সারা শরীর পানি দিয়ে স্পঞ্জ করুন কিছুক্ষণ পরপর। এতে করে জ্বরের মাত্রা কমে আসবে। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান ও বিশ্রাম নিতে হবে। এরপরেও জ্বর না কমলে বা কিছু সময় পরপর বাড়তে থাকলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন।
ডেঙ্গু প্রতিরোধে করণীয় বিষয়:
১. বাড়ির আশপাশ যতোটা সম্ভব পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে চেষ্টা করুন।
২. ঘরের ভেতরে থাকা ফুলের টব বা ভাঙা প্লাস্টিকের বোতল, ডাবের খোসা, টায়ার অথবা পলিথিন থাকলে তা দ্রুত পরিষ্কার করে ফেলুন ও ফুলের টব থেকে জমে থাকা পানি নিষ্কাশন করুন।
৩. মশা নিধনের জন্য সপ্তাহে অন্তত ৩ বার স্প্রে বা ফগিং করুন।
৪. বাড়ির বাইরে যাওয়ার সময় মশা নিধনে ব্যবহৃত ক্রিম সঙ্গে রাখতে পারেন।
৫. সন্ধ্যার পর বাড়ির ছোট থেকে বড় সদস্যরা মশারি ব্যবহার করুন।
৬. যেখানে-সেখানে জমে থাকা বৃষ্টির পানি পরিষ্কার করে ফেলুন, কারণ এতে এডিস মশা ডিম পেড়ে থাকে এই সময়।
৭. অপরদিকে মশার প্রকোপ থেকে বাঁচতে মশারির সঙ্গে সঙ্গে ম্যাট ব্যবহার করতে পারেন।
৮. এডিস মশা যেহেতু দিনের বেলা কামড়ায় তাই দিনের বেলায় ঘুমানোর সময় অবশ্যই মশারি টানিয়ে ঘুমানোর দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। সূত্র: https://dmpnews.org