দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ ১৯৭৬ সালে যাত্রা করে তার ব্যান্ড ফিডব্যাক। সেই কিংবদন্তি ব্যান্ডতারকা ফুয়াদ নাসের বাবুর নির্দেশনায় ও সৃষ্টিশীলতায় এই ব্যান্ড শ্রোতাদের কাছে জনপ্রিয় হয়ে ওঠে। এবার প্রথমবার দ্বৈত গানে কণ্ঠ দিলেন ফুয়াদ-শম্পা।
এই ব্যান্ডটির ‘এই দিনই চিরদিন রবে’, ‘মৌসুমী’, ‘গীতিকবিতা ১ ও ২’, ‘মাঝি’, ‘চিঠি’, ‘টেলিফোনে ফিসফিস’ গানগুলো বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য। এই ব্যান্ডের সবচেয়ে জনপ্রিয় গান হলো ‘মেলায় যাইরে’, যা বাঙালির বর্ষবরণ পহেলা বৈশাখের মূল গান হিসেবে পরিচিতি।
ব্যান্ড ক্যারিয়ারের পাশাপাশি ফুয়াদ নাসের বাবু সংগীত প্রযোজক, পরিচালক, পিয়ানো বাদক হিসেবেও অনেক সুনাম কুড়িয়েছেন। তবে কণ্ঠশিল্পী হিসেবে তাকে খুব একটা দেখা যায়নি। ব্যান্ডের অ্যালবামগুলোতে অল্প কটি গান করেছেন বলেও জানান।
দীর্ঘ ক্যারিয়ারে এই প্রথমবারের মতো তিনি একটি দ্বৈত গান নিয়ে আসতে যাচ্ছেন। তার সুর-সঙ্গীত এবং কণ্ঠে তৈনি হয়েছে ‘ভালোবাসা ব্যথা পেলে’ শিরোনামে একটি গান । এতে তার সঙ্গে দ্বৈতভাবে কণ্ঠ দিয়েছেন সাঈদা শম্পা। এই গানটি লিখেছেন গোলাম মৌর্শেদ। ‘গান জানালা’ ইউটিউব চ্যানেলে ইতিমধ্যেই প্রকাশ পেয়েছে গানটি।
গানটি সম্পর্কে ফুয়াদ নাসের বাবু বলেন, ব্যান্ডের কিছু অ্যালবামে আমার কয়েকটি গান রয়েছে। সেটি সংখ্যায় খুব বেশি না। তবে কখনও দ্বৈত গান করা হয়নি। এবারই প্রথম এমন একটি গান করেছি। তাও আবার নিজের সুর ও সংগীতে। জানিনা শ্রোতারা কিভাবে নেবেন গানটি। তবে আমার সঙ্গে শম্পা খুব ভালো গেয়েছেন।
গীতিকবি গোলাম মোর্শেদ বলেন, এই গানটি একটি ইতিহাস হয়ে থাকবে। এতো সূদীর্ঘ ক্যারিয়াবে প্রথমবার বাবু ভাই আমার লেখায় দ্বৈত গান করলেন। এটি আমার জন্য সত্যিই আনন্দের বলতে পারি। সব কিছু ছাপিয়ে যে কথাটি বড় হয়ে থাকবে আগামীর দিনগুলোতে, তা হচ্ছে “সাঈদা শম্পার’ সঙ্গে “ফোয়াদ নাসের বাবু“ অর্থাৎ প্রিয় বাবু ভাইয়ের কণ্ঠে প্রথম বারের মতো একটি দ্বৈত গান শোনার বিরল এই সুযোগ পাচ্ছেন বাংলা গানের শ্রোতারা!
এদিকে ইতিমধ্যেই ইউটিউবে প্রকাশের পর গানটি বেশ সাড়া ফেলেছে।
দেখুন ভিডিও গানটি
>>>>>>>>>>>>>>
ডেঙ্গু প্রতিরোধ করবেন যেভাবে
মশা বাহিত একপ্রকার ভাইরাস জ্বর হলো ডেঙ্গু। এই জ্বর অন্যান্য ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়াজনিত জ্বর থেকে ভিন্ন। অবশ্য এই জ্বর কোনোভাবেই ছোঁয়াচে নয়। এই ভাইরাস জ্বর এককভাবে বা অন্যান্য ভাইরাস (চিকুনগুনিয়া, ইয়েলো ফিভার, বার্মা ফরেস্ট, ফ্লু, রেসপাইরেটরি সিনসাইটিয়াল) এবং ব্যাকটেরিয়া (নিউমোক্কাস)-এর সঙ্গেও হতে পারে।
লক্ষণ ও জ্বরের তীব্রতার ওপর নির্ভর করে ডেঙ্গুজ্বরকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে।
১. সাধারণ ডেঙ্গুজ্বর
২. রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বর।
সাধারণ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে চোখে পড়ে মূলত নিচের এই লক্ষণগুলো-
১. হঠাৎ করে তীব্র জ্বর ও তা ২ থেকে ৭ দিন স্থায়ী হওয়া।
২. তীব্র মাথাব্যথা হওয়া।
৩. চোখের পেছনের অংশে ব্যথা হওয়া।
৪. জ্বরের সঙ্গে সঙ্গে সারা শরীরে লালচে ফুসকুড়ি চোখে পড়া।
৫. সম্পূর্ণ শরীরে তীব্র ব্যথা ও সেইসঙ্গে কোমরে ব্যথা।
৬. বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া।
৭. ত্বকে র্যাশ বা লাল দানা দানা দেখা দেওয়া।
রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে :
১. ২ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তীব্র জ্বর সঙ্গে নাক, মুখ বা বমির সঙ্গে রক্ত যাওয়া।
২. জ্বরের পাশাপাশি বুকে বা পেটে পানি জমে যাওয়া।
এইসব লক্ষণের যে কোনো একটি লক্ষণ দেখা দিলেই দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।
অপরদিকে
জ্বরের প্রথম ৩ দিন বাড়িতে অপেক্ষা করুন। অপরদিকে সারা শরীর পানি দিয়ে স্পঞ্জ করুন কিছুক্ষণ পরপর। এতে করে জ্বরের মাত্রা কমে আসবে। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান ও বিশ্রাম নিতে হবে। এরপরেও জ্বর না কমলে বা কিছু সময় পরপর বাড়তে থাকলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন।
ডেঙ্গু প্রতিরোধে করণীয় বিষয়:
১. বাড়ির আশপাশ যতোটা সম্ভব পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে চেষ্টা করুন।
২. ঘরের ভেতরে থাকা ফুলের টব বা ভাঙা প্লাস্টিকের বোতল, ডাবের খোসা, টায়ার অথবা পলিথিন থাকলে তা দ্রুত পরিষ্কার করে ফেলুন ও ফুলের টব থেকে জমে থাকা পানি নিষ্কাশন করুন।
৩. মশা নিধনের জন্য সপ্তাহে অন্তত ৩ বার স্প্রে বা ফগিং করুন।
৪. বাড়ির বাইরে যাওয়ার সময় মশা নিধনে ব্যবহৃত ক্রিম সঙ্গে রাখতে পারেন।
৫. সন্ধ্যার পর বাড়ির ছোট থেকে বড় সদস্যরা মশারি ব্যবহার করুন।
৬. যেখানে-সেখানে জমে থাকা বৃষ্টির পানি পরিষ্কার করে ফেলুন, কারণ এতে এডিস মশা ডিম পেড়ে থাকে এই সময়।
৭. অপরদিকে মশার প্রকোপ থেকে বাঁচতে মশারির সঙ্গে সঙ্গে ম্যাট ব্যবহার করতে পারেন।
৮. এডিস মশা যেহেতু দিনের বেলা কামড়ায় তাই দিনের বেলায় ঘুমানোর সময় অবশ্যই মশারি টানিয়ে ঘুমানোর দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। সূত্র: https://dmpnews.org