দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ চলমান ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধে ইউক্রেনের পক্ষে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের জোড়ালো সহযোগিতা থাকা সত্বেও রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির ভি পুতিন জয়ী হবেন বলেই মনে করা হচ্ছে।

রাশিয়ান সশস্ত্র বাহিনী ইউক্রেনের দিকেই এগিয়ে যাচ্ছে। তারা দেশটির বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনায় হামলাও চালাচ্ছে। ইতিমধ্যেই রাশিয়া নতুন এক ধরনের হাইপারসোনিক ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করা শুরু করেছে।
যুদ্ধের ক্লান্তি যখন ছড়িয়ে পড়েছে পুরো ইউরোপ জুড়ে, সেই সময় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত ডোনাল্ড ট্রাম্প হোয়াইট হাউসে ফিরছেন। এদিকে রাশিয়ার মিত্র দেশ উত্তর কোরিয়া তার সেনাবাহিনীর পদমর্যাদাও বাড়িয়েছে। তারা রাশিয়ার হয়ে যুদ্ধে অংশ নিচ্ছেন বলে ইউক্রেনের পক্ষ হতে অভিযোগ করা হয়েছে।
অপরদিকে রাশিয়ার ভূখণ্ডে দূরপাল্লার ব্রিটিশ স্টর্ম শ্যাডো ক্ষেপণাস্ত্র ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের তৈরি দূরপাল্লার এটিএসিএমএস ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে ইউক্রেন প্রথমবারের মতো হামলা করে। এই হামলার পর রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন বলেছেন যে, রাশিয়া নতুন ওরেশনিক হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্র যুদ্ধক্ষেত্রে পরীক্ষার জন্যই চালিয়ে যাবে ও এর জন্য একটি মজুত প্রস্তুতও রয়েছে।
যে কারণে, কয়েক দশকের যে কোনো সময়ের চেয়ে রাশিয়াকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সরাসরি সংঘর্ষের একেবারে কাছাকাছি নিয়ে আসছেন পুতিন। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় পুতিন জানিয়েছেন, রাশিয়া ইউক্রেনে নতুন মাঝারি পাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে হামলা চালায়। ইউক্রেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র এবং ব্রিটিশ ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহারের প্রতিক্রিয়ায় এই হামলা করা হয়।
পুতিন আরও বলেন, আমরা এইসব পরীক্ষা চালিয়ে যাবো। যার মধ্যে যুদ্ধক্ষেত্রে পরীক্ষাও অন্তর্ভুক্ত থাকবে। পরিস্থিতি এবং রাশিয়ার জন্য সৃষ্ট নিরাপত্তা হুমকির প্রকৃতির ওপর নির্ভর করেই এইসব করা হবে। এছাড়াও আমাদের কাছে এই ধরনের অস্ত্র ও এই ধরনের সিস্টেমেরও মজুত রয়েছে, যা মূলত ব্যবহারের জন্য প্রস্তুত।
দুই মাস পর ডোনাল্ড ট্রাম্পের দায়িত্ব নেওয়ার পর ইউক্রেনের সঙ্গে রাশিয়ার যুদ্ধ বন্ধের একটি শান্তি চুক্তির সুযোগও তৈরি হতে পারে, যা মূলত পুতিনের বিজয় হিসেবেই মনে করা হচ্ছে।
>>>>>>>>>>>>>>
ডেঙ্গু প্রতিরোধ করবেন যেভাবে
মশা বাহিত একপ্রকার ভাইরাস জ্বর হলো ডেঙ্গু। এই জ্বর অন্যান্য ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়াজনিত জ্বর থেকে ভিন্ন। অবশ্য এই জ্বর কোনোভাবেই ছোঁয়াচে নয়। এই ভাইরাস জ্বর এককভাবে বা অন্যান্য ভাইরাস (চিকুনগুনিয়া, ইয়েলো ফিভার, বার্মা ফরেস্ট, ফ্লু, রেসপাইরেটরি সিনসাইটিয়াল) এবং ব্যাকটেরিয়া (নিউমোক্কাস)-এর সঙ্গেও হতে পারে।
লক্ষণ ও জ্বরের তীব্রতার ওপর নির্ভর করে ডেঙ্গুজ্বরকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে।
১. সাধারণ ডেঙ্গুজ্বর
২. রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বর।
সাধারণ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে চোখে পড়ে মূলত নিচের এই লক্ষণগুলো-
১. হঠাৎ করে তীব্র জ্বর ও তা ২ থেকে ৭ দিন স্থায়ী হওয়া।
২. তীব্র মাথাব্যথা হওয়া।
৩. চোখের পেছনের অংশে ব্যথা হওয়া।
৪. জ্বরের সঙ্গে সঙ্গে সারা শরীরে লালচে ফুসকুড়ি চোখে পড়া।
৫. সম্পূর্ণ শরীরে তীব্র ব্যথা ও সেইসঙ্গে কোমরে ব্যথা।
৬. বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া।
৭. ত্বকে র্যাশ বা লাল দানা দানা দেখা দেওয়া।
রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে :
১. ২ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তীব্র জ্বর সঙ্গে নাক, মুখ বা বমির সঙ্গে রক্ত যাওয়া।
২. জ্বরের পাশাপাশি বুকে বা পেটে পানি জমে যাওয়া।
এইসব লক্ষণের যে কোনো একটি লক্ষণ দেখা দিলেই দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।
অপরদিকে
জ্বরের প্রথম ৩ দিন বাড়িতে অপেক্ষা করুন। অপরদিকে সারা শরীর পানি দিয়ে স্পঞ্জ করুন কিছুক্ষণ পরপর। এতে করে জ্বরের মাত্রা কমে আসবে। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান ও বিশ্রাম নিতে হবে। এরপরেও জ্বর না কমলে বা কিছু সময় পরপর বাড়তে থাকলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন।
ডেঙ্গু প্রতিরোধে করণীয় বিষয়:
১. বাড়ির আশপাশ যতোটা সম্ভব পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে চেষ্টা করুন।
২. ঘরের ভেতরে থাকা ফুলের টব বা ভাঙা প্লাস্টিকের বোতল, ডাবের খোসা, টায়ার অথবা পলিথিন থাকলে তা দ্রুত পরিষ্কার করে ফেলুন ও ফুলের টব থেকে জমে থাকা পানি নিষ্কাশন করুন।
৩. মশা নিধনের জন্য সপ্তাহে অন্তত ৩ বার স্প্রে বা ফগিং করুন।
৪. বাড়ির বাইরে যাওয়ার সময় মশা নিধনে ব্যবহৃত ক্রিম সঙ্গে রাখতে পারেন।
৫. সন্ধ্যার পর বাড়ির ছোট থেকে বড় সদস্যরা মশারি ব্যবহার করুন।
৬. যেখানে-সেখানে জমে থাকা বৃষ্টির পানি পরিষ্কার করে ফেলুন, কারণ এতে এডিস মশা ডিম পেড়ে থাকে এই সময়।
৭. অপরদিকে মশার প্রকোপ থেকে বাঁচতে মশারির সঙ্গে সঙ্গে ম্যাট ব্যবহার করতে পারেন।
৮. এডিস মশা যেহেতু দিনের বেলা কামড়ায় তাই দিনের বেলায় ঘুমানোর সময় অবশ্যই মশারি টানিয়ে ঘুমানোর দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। সূত্র: https://dmpnews.org