দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ যীশু খ্রিস্টের জন্ম উদযাপনে পালিত হচ্ছে বড়দিন। সারাদেশে খ্রিস্ট ধর্মাবলম্বিদের প্রধান এই উৎসবটি আড়ম্বরপূর্ণভাবে পালিত হচ্ছে।
খ্রিষ্টান সম্প্রদায়সহ সবাইকে মানবতার মহান ব্রতে উদ্বুদ্ধ হয়ে দেশের উন্নয়নে এগিয়ে আসার জন্য উদাত্ত আহ্বান জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস। বুধবার (২৫ ডিসেম্বর) খ্রিষ্টান সম্প্রদায়ের বৃহত্তম ধর্মীয় উৎসব হলো বড়দিন। গতকাল মঙ্গলবার (২৪ ডিসেম্বর) এই উপলক্ষে এক বাণীতে এই সম্প্রদায়ের সবাইকে আন্তরিক শুভেচ্ছা এবং অভিনন্দন জানান তিনি।
এই উপলক্ষে বঙ্গভবনে খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের সদস্যদের জন্য এক অভ্যর্থনার আয়োজন করেছেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন। আজ বুধবার (২৫ ডিসেম্বর) দুপুর ১২টায় খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের সদস্যদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন রাষ্ট্রপতি মোঃ সাহাবুদ্দিন।
মঙ্গলবার রাষ্ট্রপতির প্রেস সচিব মো. সারওয়ার আলম এ তথ্য জানিয়েছেন। রাষ্ট্রপতি ভবনে প্রায় ৫০০ অতিথিকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে।
রাষ্ট্রপতির স্ত্রী ড. রেবেকা সুলতানা, অন্তর্বর্তী সরকারের ধর্মবিষয়ক উপদেষ্টা আবুল ফয়েজ মুহাম্মদ খালিদ হোসেন, বিশপ বেজয় নাইসেফরাস ডি’ক্রুজ, সংশ্লিষ্ট সচিবগন, বিভিন্ন বিদেশি মিশনের রাষ্ট্রদূত এবং প্রতিনিধিবৃন্দ, খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ ও ধর্মীয় নেতারা অনুষ্ঠানে যোগ দিবেন বলে আশা করা হচ্ছে।
রাষ্ট্রপতি বুধবার দুপুর ১২টা ১০ মিনিটে গণমাধ্যমে খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের উদ্দেশে ভাষণ, দিবসটি উপলক্ষে রাষ্ট্রপতির কেক কাটা এবং ফটো সেশনে অংশ নেওয়ার কথা রয়েছে। পরে বঙ্গভবনে ঐতিহ্যবাহী নাস্তা দিয়ে অতিথিদের আপ্যায়ন করা হবে।
>>>>>>>>>>>>>>
ডেঙ্গু প্রতিরোধ করবেন যেভাবে
মশা বাহিত একপ্রকার ভাইরাস জ্বর হলো ডেঙ্গু। এই জ্বর অন্যান্য ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়াজনিত জ্বর থেকে ভিন্ন। অবশ্য এই জ্বর কোনোভাবেই ছোঁয়াচে নয়। এই ভাইরাস জ্বর এককভাবে বা অন্যান্য ভাইরাস (চিকুনগুনিয়া, ইয়েলো ফিভার, বার্মা ফরেস্ট, ফ্লু, রেসপাইরেটরি সিনসাইটিয়াল) এবং ব্যাকটেরিয়া (নিউমোক্কাস)-এর সঙ্গেও হতে পারে।
লক্ষণ ও জ্বরের তীব্রতার ওপর নির্ভর করে ডেঙ্গুজ্বরকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে।
১. সাধারণ ডেঙ্গুজ্বর
২. রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বর।
সাধারণ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে চোখে পড়ে মূলত নিচের এই লক্ষণগুলো-
১. হঠাৎ করে তীব্র জ্বর ও তা ২ থেকে ৭ দিন স্থায়ী হওয়া।
২. তীব্র মাথাব্যথা হওয়া।
৩. চোখের পেছনের অংশে ব্যথা হওয়া।
৪. জ্বরের সঙ্গে সঙ্গে সারা শরীরে লালচে ফুসকুড়ি চোখে পড়া।
৫. সম্পূর্ণ শরীরে তীব্র ব্যথা ও সেইসঙ্গে কোমরে ব্যথা।
৬. বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া।
৭. ত্বকে র্যাশ বা লাল দানা দানা দেখা দেওয়া।
রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে :
১. ২ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তীব্র জ্বর সঙ্গে নাক, মুখ বা বমির সঙ্গে রক্ত যাওয়া।
২. জ্বরের পাশাপাশি বুকে বা পেটে পানি জমে যাওয়া।
এইসব লক্ষণের যে কোনো একটি লক্ষণ দেখা দিলেই দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।
অপরদিকে
জ্বরের প্রথম ৩ দিন বাড়িতে অপেক্ষা করুন। অপরদিকে সারা শরীর পানি দিয়ে স্পঞ্জ করুন কিছুক্ষণ পরপর। এতে করে জ্বরের মাত্রা কমে আসবে। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান ও বিশ্রাম নিতে হবে। এরপরেও জ্বর না কমলে বা কিছু সময় পরপর বাড়তে থাকলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন।
ডেঙ্গু প্রতিরোধে করণীয় বিষয়:
১. বাড়ির আশপাশ যতোটা সম্ভব পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে চেষ্টা করুন।
২. ঘরের ভেতরে থাকা ফুলের টব বা ভাঙা প্লাস্টিকের বোতল, ডাবের খোসা, টায়ার অথবা পলিথিন থাকলে তা দ্রুত পরিষ্কার করে ফেলুন ও ফুলের টব থেকে জমে থাকা পানি নিষ্কাশন করুন।
৩. মশা নিধনের জন্য সপ্তাহে অন্তত ৩ বার স্প্রে বা ফগিং করুন।
৪. বাড়ির বাইরে যাওয়ার সময় মশা নিধনে ব্যবহৃত ক্রিম সঙ্গে রাখতে পারেন।
৫. সন্ধ্যার পর বাড়ির ছোট থেকে বড় সদস্যরা মশারি ব্যবহার করুন।
৬. যেখানে-সেখানে জমে থাকা বৃষ্টির পানি পরিষ্কার করে ফেলুন, কারণ এতে এডিস মশা ডিম পেড়ে থাকে এই সময়।
৭. অপরদিকে মশার প্রকোপ থেকে বাঁচতে মশারির সঙ্গে সঙ্গে ম্যাট ব্যবহার করতে পারেন।
৮. এডিস মশা যেহেতু দিনের বেলা কামড়ায় তাই দিনের বেলায় ঘুমানোর সময় অবশ্যই মশারি টানিয়ে ঘুমানোর দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। সূত্র: https://dmpnews.org