দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ জার্মান সরকার ইহুদিবাদী ইসরায়েলে বিপুল পরিমাণ অস্ত্র পাঠানোর বিষয়টি অনুমোদন করেছে।স্পাইগেল ম্যাগাজিন এক প্রতিবেদনে এই তথ্য দিয়েছে।
জার্মান প্রকাশনা স্পাইগেল মঙ্গলবার এক প্রতিবেদনে লিখেছে যে, দেশটির সরকার গত কয়েক সপ্তাহের মধ্যে ইসরায়েল সরকারের কাছে ৩০ কোটি ইউরোর বেশি মূল্যের বিপুল পরিমাণ অস্ত্র রপ্তানি করার অনুমোদন দিয়েছে।
জার্মান সরকার ইসরায়েলের মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিষয়ে আন্তর্জাতিক উদ্বেগ থাকা সত্ত্বেও দেশটির কাছে বছরে ১৬ কোটি ইউরো মূল্যের অস্ত্র পাঠানোর অনুমোদন দেয়। ইসরায়েলের দখলকৃত অঞ্চলে জার্মানি মেরকাভা ট্যাঙ্ক সরঞ্জামও পাঠাতে যাচ্ছে।
জার্মান সরকারের ডেপুটি মুখপাত্র ক্রিশ্চিয়ান হফম্যান সাংবাদিকদের বলেছেন যে, ইসরায়েলে জার্মান অস্ত্র পাঠানোর সিদ্ধান্ত সবসময় বিদ্যমান, সেখানে অস্ত্র রপ্তানি নিষিদ্ধ করার কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি।
রয়টার্স এর আগে একটি প্রতিবেদনে বলেছিলো যে, জার্মানির মানবাধিকার আইনজীবীরা বার্লিনের আদালতকে ইসরায়েলের কাছে ৩০০০ অ্যান্টি-ট্যাঙ্ক অস্ত্র পাঠানোর সরকারি সিদ্ধান্ত স্থগিত করতে বলেন।
গত বছরের ৭ অক্টোবর থেকে পশ্চিমা দেশগুলোর সমর্থন নিয়ে, ইসরাইল ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকা ও জর্ডান নদীর পশ্চিম তীরের অরক্ষিত এবং অসহায় জনগণের বিরুদ্ধে নতুন করে গণহত্যা শুরু করে।
সর্বশেষ রিপোর্ট অনুযায়ী জানা যায়, গাজায় ইসরাইলি আগ্রাসনে ৪৫ হাজারেরও বেশি ফিলিস্তিনি প্রাণ হারিয়েছেন ও ১ লাখ ৭ হাজারেরও বেশি আহত হয়েছে।
উল্লেখ্য, ব্রিটিশ ঔপনিবেশিক শক্তির পরিকল্পনা অনুযায়ী ১৯১৭ সালে ইসরায়েল প্রতিষ্ঠা করা হয় এবং বিভিন্ন দেশ থেকে ইহুদিদেরকে এনে ফিলিস্তিনি ভূমিতে জায়গা দেওয়া হয়। তারপর ১৯৪৮ সালে ইসরায়েল নামক অবৈধ এই রাষ্ট্রটির অস্তিত্ব ঘোষণা করা হয়।
এরপর থেকেই ফিলিস্তিনি জনগণের ওপর গণহত্যা ও তাদের সব ভূমি দখলের প্রক্রিয়া অব্যাহত রেখেছে এই দেশটি।
>>>>>>>>>>>>>>
ডেঙ্গু প্রতিরোধ করবেন যেভাবে
মশা বাহিত একপ্রকার ভাইরাস জ্বর হলো ডেঙ্গু। এই জ্বর অন্যান্য ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়াজনিত জ্বর থেকে ভিন্ন। অবশ্য এই জ্বর কোনোভাবেই ছোঁয়াচে নয়। এই ভাইরাস জ্বর এককভাবে বা অন্যান্য ভাইরাস (চিকুনগুনিয়া, ইয়েলো ফিভার, বার্মা ফরেস্ট, ফ্লু, রেসপাইরেটরি সিনসাইটিয়াল) এবং ব্যাকটেরিয়া (নিউমোক্কাস)-এর সঙ্গেও হতে পারে।
লক্ষণ ও জ্বরের তীব্রতার ওপর নির্ভর করে ডেঙ্গুজ্বরকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে।
১. সাধারণ ডেঙ্গুজ্বর
২. রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বর।
সাধারণ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে চোখে পড়ে মূলত নিচের এই লক্ষণগুলো-
১. হঠাৎ করে তীব্র জ্বর ও তা ২ থেকে ৭ দিন স্থায়ী হওয়া।
২. তীব্র মাথাব্যথা হওয়া।
৩. চোখের পেছনের অংশে ব্যথা হওয়া।
৪. জ্বরের সঙ্গে সঙ্গে সারা শরীরে লালচে ফুসকুড়ি চোখে পড়া।
৫. সম্পূর্ণ শরীরে তীব্র ব্যথা ও সেইসঙ্গে কোমরে ব্যথা।
৬. বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া।
৭. ত্বকে র্যাশ বা লাল দানা দানা দেখা দেওয়া।
রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে :
১. ২ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তীব্র জ্বর সঙ্গে নাক, মুখ বা বমির সঙ্গে রক্ত যাওয়া।
২. জ্বরের পাশাপাশি বুকে বা পেটে পানি জমে যাওয়া।
এইসব লক্ষণের যে কোনো একটি লক্ষণ দেখা দিলেই দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।
অপরদিকে
জ্বরের প্রথম ৩ দিন বাড়িতে অপেক্ষা করুন। অপরদিকে সারা শরীর পানি দিয়ে স্পঞ্জ করুন কিছুক্ষণ পরপর। এতে করে জ্বরের মাত্রা কমে আসবে। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান ও বিশ্রাম নিতে হবে। এরপরেও জ্বর না কমলে বা কিছু সময় পরপর বাড়তে থাকলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন।
ডেঙ্গু প্রতিরোধে করণীয় বিষয়:
১. বাড়ির আশপাশ যতোটা সম্ভব পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে চেষ্টা করুন।
২. ঘরের ভেতরে থাকা ফুলের টব বা ভাঙা প্লাস্টিকের বোতল, ডাবের খোসা, টায়ার অথবা পলিথিন থাকলে তা দ্রুত পরিষ্কার করে ফেলুন ও ফুলের টব থেকে জমে থাকা পানি নিষ্কাশন করুন।
৩. মশা নিধনের জন্য সপ্তাহে অন্তত ৩ বার স্প্রে বা ফগিং করুন।
৪. বাড়ির বাইরে যাওয়ার সময় মশা নিধনে ব্যবহৃত ক্রিম সঙ্গে রাখতে পারেন।
৫. সন্ধ্যার পর বাড়ির ছোট থেকে বড় সদস্যরা মশারি ব্যবহার করুন।
৬. যেখানে-সেখানে জমে থাকা বৃষ্টির পানি পরিষ্কার করে ফেলুন, কারণ এতে এডিস মশা ডিম পেড়ে থাকে এই সময়।
৭. অপরদিকে মশার প্রকোপ থেকে বাঁচতে মশারির সঙ্গে সঙ্গে ম্যাট ব্যবহার করতে পারেন।
৮. এডিস মশা যেহেতু দিনের বেলা কামড়ায় তাই দিনের বেলায় ঘুমানোর সময় অবশ্যই মশারি টানিয়ে ঘুমানোর দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। সূত্র: https://dmpnews.org