দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ আমরা সবাই জানি ওজন কমাতে হলে ডায়েট ছাড়া উপায় নেই। বাইরের খাবার মোটেও খাওয়া চলবে না। সেইসঙ্গে রোজকারের খাবারও বেছে নিতে হবে সচেতনতার সঙ্গে।

খাবারে লবণ-চিনি, তেলের পরিমাণ কম রাখতে হবে, তেমনি যেসব খাবারে পুষ্টি বেশি, সেগুলো খেতে হবে। সকালে খালি পেটে লেবুর পানি, ব্রেকফাস্টে ওটস, লাঞ্চে স্যালাড- এগুলোতে ওজন কমানো খুবই সহজ ডায়েট। তবে রাতে কী খাবেন, তা কী আপনি ভেবেছেন?
সাধারণভাবে বাঙালির ডিনারে রুটি-তরকারিই বেশি থাকে। আটার তৈরি হাতে বানানো রুটি, সবজির তরকারি নিঃসন্দেহে স্বাস্থ্যকর খাবার। অনেকের আবার মিডনাইট স্ন্যাকসের ক্রেভিং হয়ে থাকে। মাঝরাতে খিদে পায় অনেকের। আর তখন ফ্রিজ ঘাঁটতে থাকেন। ওজন কমাতে চাইলে রাতের বেলা ভুলভাল খাবার খেলে মোটেও চলবে না। ডিনার হোক কিংবা মিডনাইট স্ন্যাকস, এই ৫ ধরনের খাবারকে অবশ্যই ডায়েটে রাখতে পারেন।
চিকেন ব্রেস্ট
আর আপনি যদি ডিনারে রুটি-তরকারি খান তাহলে গ্রিল করা চিকেন ব্রেস্ট রাখতে পারেন। চিকেনের কারি কিংবা চিকেনের তৈরি অন্য কোনও পদের তুলনায় এই খাবারটি অনেক বেশি স্বাস্থ্য। এই চিকেন ব্রেস্ট হলো লিন প্রোটিন। কোনও রকম ফ্যাট নেই। অল্প পরিমাণ অলিভ তেল, রসুন এবং রোজকারের মশলা দিয়ে গ্রিল করলে স্বাদ হয় চমৎকার। এই খাবার খেলে দীর্ঘক্ষণ পেটও ভর্তি থাকে, আবার ওজনও কমে।
ব্রকোলি সেদ্ধ
শীতকালজুড়ে বাজারে তাজা ব্রকোলি পাওয়া যায়। ডিনারে ফুলকপি কিংবা বাঁধাকপির তরকারি রাখার পরিবর্তে ব্রকোলি খান। তবে ব্রকোলির তরকারি বানানোর কোনো দরকার নেই। অল্প পরিমাণ লবণ দিয়ে ব্রকোলি সেদ্ধ করে নিতে হবে। তারপর অল্প পরিমাণ অলিভ অয়েল এবং গোলমরিচ দিয়ে স্টার ফ্রাই করে নিতে হবে ব্রকোলি।
ডালের স্যুপ
ডাল দিয়ে রুটি খাওয়ার পরিবর্তে ডালের স্যুপ খেতেই পারেন। ডাল হলো উদ্ভিজ্জ প্রোটিনের একটি উৎস। এছাড়াও এই খাবারে ফাইবারও রয়েছে। রসুন, হলুদ গুঁড়া এবং লবণ দিয়ে ডাল সেদ্ধ করে নিতে পারেন। তারপর মিক্সিতে পেস্ট করে ঘন করে নিন এই ডালের স্যুপ।
ক্যামোমাইলের চা
আপনি ইচ্ছে করলে মিডনাইট স্ন্যাকস হিসেবে খেতে পারেন ক্যামোমাইলের চা। এই চা খাওয়ার বহু উপকারিতা রয়েছে। ক্যামোমাইলের চা ঘুমের সমস্যাও দূর করে। রাতে এই চা খেলে দ্রুত ঘুম চলে আসবে আপনার চোখে। তথ্যসূত্র: এই সময়।
>>>>>>>>>>>>>>
ডেঙ্গু প্রতিরোধ করবেন যেভাবে
মশা বাহিত একপ্রকার ভাইরাস জ্বর হলো ডেঙ্গু। এই জ্বর অন্যান্য ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়াজনিত জ্বর থেকে ভিন্ন। অবশ্য এই জ্বর কোনোভাবেই ছোঁয়াচে নয়। এই ভাইরাস জ্বর এককভাবে বা অন্যান্য ভাইরাস (চিকুনগুনিয়া, ইয়েলো ফিভার, বার্মা ফরেস্ট, ফ্লু, রেসপাইরেটরি সিনসাইটিয়াল) এবং ব্যাকটেরিয়া (নিউমোক্কাস)-এর সঙ্গেও হতে পারে।
লক্ষণ ও জ্বরের তীব্রতার ওপর নির্ভর করে ডেঙ্গুজ্বরকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে।
১. সাধারণ ডেঙ্গুজ্বর
২. রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বর।
সাধারণ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে চোখে পড়ে মূলত নিচের এই লক্ষণগুলো-
১. হঠাৎ করে তীব্র জ্বর ও তা ২ থেকে ৭ দিন স্থায়ী হওয়া।
২. তীব্র মাথাব্যথা হওয়া।
৩. চোখের পেছনের অংশে ব্যথা হওয়া।
৪. জ্বরের সঙ্গে সঙ্গে সারা শরীরে লালচে ফুসকুড়ি চোখে পড়া।
৫. সম্পূর্ণ শরীরে তীব্র ব্যথা ও সেইসঙ্গে কোমরে ব্যথা।
৬. বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া।
৭. ত্বকে র্যাশ বা লাল দানা দানা দেখা দেওয়া।
রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে :
১. ২ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তীব্র জ্বর সঙ্গে নাক, মুখ বা বমির সঙ্গে রক্ত যাওয়া।
২. জ্বরের পাশাপাশি বুকে বা পেটে পানি জমে যাওয়া।
এইসব লক্ষণের যে কোনো একটি লক্ষণ দেখা দিলেই দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।
অপরদিকে
জ্বরের প্রথম ৩ দিন বাড়িতে অপেক্ষা করুন। অপরদিকে সারা শরীর পানি দিয়ে স্পঞ্জ করুন কিছুক্ষণ পরপর। এতে করে জ্বরের মাত্রা কমে আসবে। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান ও বিশ্রাম নিতে হবে। এরপরেও জ্বর না কমলে বা কিছু সময় পরপর বাড়তে থাকলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন।
ডেঙ্গু প্রতিরোধে করণীয় বিষয়:
১. বাড়ির আশপাশ যতোটা সম্ভব পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে চেষ্টা করুন।
২. ঘরের ভেতরে থাকা ফুলের টব বা ভাঙা প্লাস্টিকের বোতল, ডাবের খোসা, টায়ার অথবা পলিথিন থাকলে তা দ্রুত পরিষ্কার করে ফেলুন ও ফুলের টব থেকে জমে থাকা পানি নিষ্কাশন করুন।
৩. মশা নিধনের জন্য সপ্তাহে অন্তত ৩ বার স্প্রে বা ফগিং করুন।
৪. বাড়ির বাইরে যাওয়ার সময় মশা নিধনে ব্যবহৃত ক্রিম সঙ্গে রাখতে পারেন।
৫. সন্ধ্যার পর বাড়ির ছোট থেকে বড় সদস্যরা মশারি ব্যবহার করুন।
৬. যেখানে-সেখানে জমে থাকা বৃষ্টির পানি পরিষ্কার করে ফেলুন, কারণ এতে এডিস মশা ডিম পেড়ে থাকে এই সময়।
৭. অপরদিকে মশার প্রকোপ থেকে বাঁচতে মশারির সঙ্গে সঙ্গে ম্যাট ব্যবহার করতে পারেন।
৮. এডিস মশা যেহেতু দিনের বেলা কামড়ায় তাই দিনের বেলায় ঘুমানোর সময় অবশ্যই মশারি টানিয়ে ঘুমানোর দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। সূত্র: https://dmpnews.org