দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ ৩০ জানুয়ারি হতে নেদারল্যান্ডসে শুরু হচ্ছে রটারড্যাম চলচ্চিত্র উৎসব। এখানে বিগ স্ক্রিন প্রতিযোগিতা বিভাগে লড়বে জয়া আহসানের চলচ্চিত্র ‘পুতুলনাচের ইতিকথা’। ৬ ফেব্রুয়ারি আন্তর্জাতিক এই চলচ্চিত্র উৎসবে অনুষ্ঠিত হবে এই সিনেমার প্রিমিয়ার শো।
প্রখ্যাত সাহিত্যিক মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ‘পুতুলনাচের ইতিকথা’ উপন্যাস অবলম্বনে সিনেমাটি নির্মাণ করেছেন সুমন মুখোপাধ্যায়। ত্রিশের দশকের শেষের দিক থেকে চল্লিশের দশকের শুরু পর্যন্ত সময়টা উঠে এসেছে ‘পুতুলনাচের ইতিকথা’ সিনেমায়।
মূল উপন্যাসে সময়টি ছিল আরও পেছনের। দর্শকের সামনে গল্পটা সহজবোধ্য করার জন্য খানিকটা এগিয়ে এনেছেন পরিচালক সুমন। এখানে জয়া আহসান অভিনয় করেন কুসুম চরিত্রে। আর শশী চরিত্রে আবীর চট্টোপাধ্যায়। আরও অভিনয় করেছেন পরমব্রত, অনন্যা এবং ধৃতিমান চট্টোপাধ্যায়।
এই উৎসবের পূর্বে কলকাতায় অনুষ্ঠিত সাহিত্যের উৎসব কলকাতা লিটেরারি মিটে অংশ নেন জয়া। গত রবিবার হর্টিকালচারাল গার্ডেনে কলকাতা লিটেরারি মিটে জয়ার সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন সিনেমাটির পরিচালক এবং অভিনয়শিল্পীরা। গত বছর এই অনুষ্ঠানে জয়া শ্রোতা হিসেবে অংশ নিলেও এবারই প্রথম আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।
জয়া আহসান বলেছেন, ‘এখানে সব সময়ই যেনো একটা ফেস্টিভ পরিবেশ থাকে, এরসঙ্গে প্রিয় কিছু মানুষ। একই রকম মানসিকতার মানুষগুলো সবাই এখানে আসেন, সাহিত্য নিয়ে, চলচ্চিত্র নিয়ে ও বিভিন্ন বিষয়ে তাদের সঙ্গে আড্ডাও দেওয়া যায়। এবার এখানে ‘পুতুলনাচের ইতিকথা’ নিয়ে একটা সেশনও ছিল। সবাই মিলে খুব সুন্দর সময় কেটেছে। শেষবার আলোচনায় অংশ না নিলেও আমি শুনতে এসেছিলাম। সেশনগুলো শুনতেও খুবই ভালো লাগে, নিজেকেও ঋদ্ধ করা যায়।’
>>>>>>>>>>>>>>
ডেঙ্গু প্রতিরোধ করবেন যেভাবে
মশা বাহিত একপ্রকার ভাইরাস জ্বর হলো ডেঙ্গু। এই জ্বর অন্যান্য ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়াজনিত জ্বর থেকে ভিন্ন। অবশ্য এই জ্বর কোনোভাবেই ছোঁয়াচে নয়। এই ভাইরাস জ্বর এককভাবে বা অন্যান্য ভাইরাস (চিকুনগুনিয়া, ইয়েলো ফিভার, বার্মা ফরেস্ট, ফ্লু, রেসপাইরেটরি সিনসাইটিয়াল) এবং ব্যাকটেরিয়া (নিউমোক্কাস)-এর সঙ্গেও হতে পারে।
লক্ষণ ও জ্বরের তীব্রতার ওপর নির্ভর করে ডেঙ্গুজ্বরকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে।
১. সাধারণ ডেঙ্গুজ্বর
২. রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বর।
সাধারণ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে চোখে পড়ে মূলত নিচের এই লক্ষণগুলো-
১. হঠাৎ করে তীব্র জ্বর ও তা ২ থেকে ৭ দিন স্থায়ী হওয়া।
২. তীব্র মাথাব্যথা হওয়া।
৩. চোখের পেছনের অংশে ব্যথা হওয়া।
৪. জ্বরের সঙ্গে সঙ্গে সারা শরীরে লালচে ফুসকুড়ি চোখে পড়া।
৫. সম্পূর্ণ শরীরে তীব্র ব্যথা ও সেইসঙ্গে কোমরে ব্যথা।
৬. বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া।
৭. ত্বকে র্যাশ বা লাল দানা দানা দেখা দেওয়া।
রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে :
১. ২ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তীব্র জ্বর সঙ্গে নাক, মুখ বা বমির সঙ্গে রক্ত যাওয়া।
২. জ্বরের পাশাপাশি বুকে বা পেটে পানি জমে যাওয়া।
এইসব লক্ষণের যে কোনো একটি লক্ষণ দেখা দিলেই দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।
অপরদিকে
জ্বরের প্রথম ৩ দিন বাড়িতে অপেক্ষা করুন। অপরদিকে সারা শরীর পানি দিয়ে স্পঞ্জ করুন কিছুক্ষণ পরপর। এতে করে জ্বরের মাত্রা কমে আসবে। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান ও বিশ্রাম নিতে হবে। এরপরেও জ্বর না কমলে বা কিছু সময় পরপর বাড়তে থাকলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন।
ডেঙ্গু প্রতিরোধে করণীয় বিষয়:
১. বাড়ির আশপাশ যতোটা সম্ভব পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে চেষ্টা করুন।
২. ঘরের ভেতরে থাকা ফুলের টব বা ভাঙা প্লাস্টিকের বোতল, ডাবের খোসা, টায়ার অথবা পলিথিন থাকলে তা দ্রুত পরিষ্কার করে ফেলুন ও ফুলের টব থেকে জমে থাকা পানি নিষ্কাশন করুন।
৩. মশা নিধনের জন্য সপ্তাহে অন্তত ৩ বার স্প্রে বা ফগিং করুন।
৪. বাড়ির বাইরে যাওয়ার সময় মশা নিধনে ব্যবহৃত ক্রিম সঙ্গে রাখতে পারেন।
৫. সন্ধ্যার পর বাড়ির ছোট থেকে বড় সদস্যরা মশারি ব্যবহার করুন।
৬. যেখানে-সেখানে জমে থাকা বৃষ্টির পানি পরিষ্কার করে ফেলুন, কারণ এতে এডিস মশা ডিম পেড়ে থাকে এই সময়।
৭. অপরদিকে মশার প্রকোপ থেকে বাঁচতে মশারির সঙ্গে সঙ্গে ম্যাট ব্যবহার করতে পারেন।
৮. এডিস মশা যেহেতু দিনের বেলা কামড়ায় তাই দিনের বেলায় ঘুমানোর সময় অবশ্যই মশারি টানিয়ে ঘুমানোর দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। সূত্র: https://dmpnews.org