দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ ভারতীয় সিনেমা দীর্ঘদিন ধরে দূরে থাকা অভিনেত্রী প্রিয়াঙ্কা চোপড়া এবার ফিরছেন পর্দায়। তাকে দেখা যাবে বিখ্যাত পরিচালক এস এস রাজামৌলির নতুন একটি সিনেমায়। ইতিমধ্যেই চূড়ান্ত হয়েছে তার অংশগ্রহণ, এই সিনেমার জন্য তিনি পাচ্ছেন রেকর্ড পরিমাণ পারিশ্রমিক!

প্রিয়াঙ্কার রাজামৌলির সিনেমায় কাজ করতে কোনো আপত্তিই ছিল না। তবে পারিশ্রমিকের অঙ্ক নিয়ে তৈরি হয় বেশ জটিলতা। বেশ কয়েক দফা আলোচনার পর শেষ পর্যন্ত সমঝোতায় পৌঁছানো সম্ভব হয়। ‘দেশি গার্ল’ খ্যাত প্রিয়াঙ্কা চোপড়াকে ইতিপূর্বে হলিউডের সিনেমা এবং সিরিজে দেখা গেলেও দেশি সিনেমায় তার অনুপস্থিতি ছিল চোখে পড়ার মতোই। এবার নতুন এই প্রজেক্টে তার ফিরে আসা নিয়ে ভক্তদের মধ্যে নতুন উন্মাদনা দেখা দিয়েছে।

ভারতীয় গণমাধ্যম পিংকভিলাকে সিনেমার সঙ্গে যুক্ত একটি সূত্র জানিয়েছে যে, রাজামৌলির নাম ঠিক না হওয়া সিনেমার জন্য ৩০ কোটি রুপি কিংবা ৪২ কোটি টাকা পাচ্ছেন প্রিয়াঙ্কা চোপড়া! রাজামৌলির অন্য কোনো সিনেমার নায়িকাই ইতিপূর্বে এতো পারিশ্রমিক পাননি। হিন্দি সিনেমার নায়িকাদের যা পারিশ্রমিক হয়, এটা তারও প্রায় দ্বিগুণ বলা যায। যদিও সিনেমাটিতে কে কে অভিনয় করবেন, সেটি এখনও আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা করা হয়নি।
সে কারণে বলা যায়, ভারতীয় সিনেমার ইতিহাসে অন্যতম ব্যয়বহুল ছবিটি উপহার দিতে যাচ্ছেন পরিচালক এস এস রাজামৌলি। তার এই ছবিতে রয়েছেন দক্ষিণি তারকা মহেশ বাবু। এই ছবির বাজেট এক হাজার কোটি রুপি! জঙ্গলে অ্যাডভেঞ্চার ঘিরে নির্মিত এই সিনেমাটিকে ঘিরে সিনেমাপ্রেমীরা এখন থেকেই যেনো রোমাঞ্চিত।
>>>>>>>>>>>>>>
ডেঙ্গু প্রতিরোধ করবেন যেভাবে
মশা বাহিত একপ্রকার ভাইরাস জ্বর হলো ডেঙ্গু। এই জ্বর অন্যান্য ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়াজনিত জ্বর থেকে ভিন্ন। অবশ্য এই জ্বর কোনোভাবেই ছোঁয়াচে নয়। এই ভাইরাস জ্বর এককভাবে বা অন্যান্য ভাইরাস (চিকুনগুনিয়া, ইয়েলো ফিভার, বার্মা ফরেস্ট, ফ্লু, রেসপাইরেটরি সিনসাইটিয়াল) এবং ব্যাকটেরিয়া (নিউমোক্কাস)-এর সঙ্গেও হতে পারে।
লক্ষণ ও জ্বরের তীব্রতার ওপর নির্ভর করে ডেঙ্গুজ্বরকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে।
১. সাধারণ ডেঙ্গুজ্বর
২. রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বর।
সাধারণ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে চোখে পড়ে মূলত নিচের এই লক্ষণগুলো-
১. হঠাৎ করে তীব্র জ্বর ও তা ২ থেকে ৭ দিন স্থায়ী হওয়া।
২. তীব্র মাথাব্যথা হওয়া।
৩. চোখের পেছনের অংশে ব্যথা হওয়া।
৪. জ্বরের সঙ্গে সঙ্গে সারা শরীরে লালচে ফুসকুড়ি চোখে পড়া।
৫. সম্পূর্ণ শরীরে তীব্র ব্যথা ও সেইসঙ্গে কোমরে ব্যথা।
৬. বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া।
৭. ত্বকে র্যাশ বা লাল দানা দানা দেখা দেওয়া।
রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে :
১. ২ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তীব্র জ্বর সঙ্গে নাক, মুখ বা বমির সঙ্গে রক্ত যাওয়া।
২. জ্বরের পাশাপাশি বুকে বা পেটে পানি জমে যাওয়া।
এইসব লক্ষণের যে কোনো একটি লক্ষণ দেখা দিলেই দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।
অপরদিকে
জ্বরের প্রথম ৩ দিন বাড়িতে অপেক্ষা করুন। অপরদিকে সারা শরীর পানি দিয়ে স্পঞ্জ করুন কিছুক্ষণ পরপর। এতে করে জ্বরের মাত্রা কমে আসবে। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান ও বিশ্রাম নিতে হবে। এরপরেও জ্বর না কমলে বা কিছু সময় পরপর বাড়তে থাকলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন।
ডেঙ্গু প্রতিরোধে করণীয় বিষয়:
১. বাড়ির আশপাশ যতোটা সম্ভব পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে চেষ্টা করুন।
২. ঘরের ভেতরে থাকা ফুলের টব বা ভাঙা প্লাস্টিকের বোতল, ডাবের খোসা, টায়ার অথবা পলিথিন থাকলে তা দ্রুত পরিষ্কার করে ফেলুন ও ফুলের টব থেকে জমে থাকা পানি নিষ্কাশন করুন।
৩. মশা নিধনের জন্য সপ্তাহে অন্তত ৩ বার স্প্রে বা ফগিং করুন।
৪. বাড়ির বাইরে যাওয়ার সময় মশা নিধনে ব্যবহৃত ক্রিম সঙ্গে রাখতে পারেন।
৫. সন্ধ্যার পর বাড়ির ছোট থেকে বড় সদস্যরা মশারি ব্যবহার করুন।
৬. যেখানে-সেখানে জমে থাকা বৃষ্টির পানি পরিষ্কার করে ফেলুন, কারণ এতে এডিস মশা ডিম পেড়ে থাকে এই সময়।
৭. অপরদিকে মশার প্রকোপ থেকে বাঁচতে মশারির সঙ্গে সঙ্গে ম্যাট ব্যবহার করতে পারেন।
৮. এডিস মশা যেহেতু দিনের বেলা কামড়ায় তাই দিনের বেলায় ঘুমানোর সময় অবশ্যই মশারি টানিয়ে ঘুমানোর দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। সূত্র: https://dmpnews.org