দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ পর্যটকরা জঙ্গলের মধ্যে সাফারি করতে বেরিয়েছেন। গাড়িতে বসে দূর থেকে একটি বুনো মহিষের দলের দিকে তাকিয়ে রয়েছেন। ক্যামেরা বের করে তার ছবি তোলারও প্রস্তুতি নিচ্ছেন একজন তরুণ পর্যটক।
জঙ্গলে সাফারি করতে বের হন পর্যটকরা। তাদের সঙ্গে ছিলেন একজন সাফারি গাইড। জঙ্গলের কোন প্রান্তে গেলে কোন বন্য প্রাণীর দেখা মিলবে তা-ও জানাচ্ছিলেন তিনি। তবে সকলেই যখন গাড়ি থামিয়ে মহিষের দলের গতিপ্রকৃতি দেখতে ব্যস্ত, তখনই পিছন হতে চুপি চুপি হাজির হলো সিংহী। সকলের আড়ালেই সে এগিয়ে গেলো গাড়ির সামনে। নেটমাধ্যমে এমনই একটি ভিডিও ছড়িয়ে পড়েছে নেটমাধ্যমে।
‘ফারি_টেলস_০১৩’ নামে ইনস্টাগ্রামের অ্যাকাউন্ট হতে একটি ভিডিও পোস্ট করা হয়। ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, জঙ্গলের মধ্যে সাফারি করতে বেরিয়েছেন পর্যটকরা। গাড়িতে বসে দূর থেকে একটি বুনো মহিষের দলের দিকে তাকিয়ে রয়েছেন। ক্যামেরা বের করে তার ছবি তোলারও প্রস্তুতি নিচ্ছেন জনৈক তরুণ পর্যটক। সকলেই যখন মহিষের দল দেখতে ব্যস্ত, ঠিক তখনই গাড়ির পিছনে হাজির হলো এক সিংহী।
পর্যটকদের দিকে তাকিয়ে ধীর পায়ে গাড়ির সামনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে সে। তবে সিংহীর উপস্থিতি কেও টেরই পেলেন না। চুপি চুপি গাড়ির সামনে গিয়ে দাঁড়িয়ে পড়লো সিংহী। তার নজরও গাড়িতে বসে থাকা সাফারি গাইডের প্রতি। এতো কাছাকাছি সিংহীকে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখে থতমত খেয়ে যান তরুণ গাইড। সিংহীও ‘বনের রানি’র মেজাজে একদৃষ্টে তাকিয়েছিলো তরুণের দিকে। এরপর সেও মহিষের দলের দিকেই তাকালো। এই ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ আফ্রিকার ক্রুগার জাতীয় উদ্যানে। তথ্যসূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা অনলাইন।
>>>>>>>>>>>>>>
ডেঙ্গু প্রতিরোধ করবেন যেভাবে
মশা বাহিত একপ্রকার ভাইরাস জ্বর হলো ডেঙ্গু। এই জ্বর অন্যান্য ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়াজনিত জ্বর থেকে ভিন্ন। অবশ্য এই জ্বর কোনোভাবেই ছোঁয়াচে নয়। এই ভাইরাস জ্বর এককভাবে বা অন্যান্য ভাইরাস (চিকুনগুনিয়া, ইয়েলো ফিভার, বার্মা ফরেস্ট, ফ্লু, রেসপাইরেটরি সিনসাইটিয়াল) এবং ব্যাকটেরিয়া (নিউমোক্কাস)-এর সঙ্গেও হতে পারে।
লক্ষণ ও জ্বরের তীব্রতার ওপর নির্ভর করে ডেঙ্গুজ্বরকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে।
১. সাধারণ ডেঙ্গুজ্বর
২. রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বর।
সাধারণ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে চোখে পড়ে মূলত নিচের এই লক্ষণগুলো-
১. হঠাৎ করে তীব্র জ্বর ও তা ২ থেকে ৭ দিন স্থায়ী হওয়া।
২. তীব্র মাথাব্যথা হওয়া।
৩. চোখের পেছনের অংশে ব্যথা হওয়া।
৪. জ্বরের সঙ্গে সঙ্গে সারা শরীরে লালচে ফুসকুড়ি চোখে পড়া।
৫. সম্পূর্ণ শরীরে তীব্র ব্যথা ও সেইসঙ্গে কোমরে ব্যথা।
৬. বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া।
৭. ত্বকে র্যাশ বা লাল দানা দানা দেখা দেওয়া।
রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে :
১. ২ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তীব্র জ্বর সঙ্গে নাক, মুখ বা বমির সঙ্গে রক্ত যাওয়া।
২. জ্বরের পাশাপাশি বুকে বা পেটে পানি জমে যাওয়া।
এইসব লক্ষণের যে কোনো একটি লক্ষণ দেখা দিলেই দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।
অপরদিকে
জ্বরের প্রথম ৩ দিন বাড়িতে অপেক্ষা করুন। অপরদিকে সারা শরীর পানি দিয়ে স্পঞ্জ করুন কিছুক্ষণ পরপর। এতে করে জ্বরের মাত্রা কমে আসবে। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান ও বিশ্রাম নিতে হবে। এরপরেও জ্বর না কমলে বা কিছু সময় পরপর বাড়তে থাকলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন।
ডেঙ্গু প্রতিরোধে করণীয় বিষয়:
১. বাড়ির আশপাশ যতোটা সম্ভব পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে চেষ্টা করুন।
২. ঘরের ভেতরে থাকা ফুলের টব বা ভাঙা প্লাস্টিকের বোতল, ডাবের খোসা, টায়ার অথবা পলিথিন থাকলে তা দ্রুত পরিষ্কার করে ফেলুন ও ফুলের টব থেকে জমে থাকা পানি নিষ্কাশন করুন।
৩. মশা নিধনের জন্য সপ্তাহে অন্তত ৩ বার স্প্রে বা ফগিং করুন।
৪. বাড়ির বাইরে যাওয়ার সময় মশা নিধনে ব্যবহৃত ক্রিম সঙ্গে রাখতে পারেন।
৫. সন্ধ্যার পর বাড়ির ছোট থেকে বড় সদস্যরা মশারি ব্যবহার করুন।
৬. যেখানে-সেখানে জমে থাকা বৃষ্টির পানি পরিষ্কার করে ফেলুন, কারণ এতে এডিস মশা ডিম পেড়ে থাকে এই সময়।
৭. অপরদিকে মশার প্রকোপ থেকে বাঁচতে মশারির সঙ্গে সঙ্গে ম্যাট ব্যবহার করতে পারেন।
৮. এডিস মশা যেহেতু দিনের বেলা কামড়ায় তাই দিনের বেলায় ঘুমানোর সময় অবশ্যই মশারি টানিয়ে ঘুমানোর দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। সূত্র: https://dmpnews.org