দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ পাকিস্তানের বর্তমান সময়ের জনপ্রিয় অভিনেত্রী হানিয়া আমির। আকর্ষণীয় রূপ এবং অভিনয় নৈপুণ্যতা দেখিয়ে খুব অল্প সময়ের মধ্যে তুমুল জনপ্রিয়তা পেয়েছেন।
নিজ দেশের গণ্ডি পেরিয়ে তিনি বিশ্ব তারকায় পরিণত হতে চলেছেন। বিশেষ করে উপমহাদেশের দেশগুলোতে তার অভিনীত ধারাবাহিক নাটকগুলো ভীষণভাবে জনপ্রিয়তা পেয়েছে। বাংলাদেশেও রয়েছে হানিয়ার অসংখ্য ভক্ত-অনুরাগী। হানিয়া অভিনীত ‘মেরে হামসফর’, ‘আনা’, ‘দিলরুবা’ সহ বেশ কয়েকটি ধারাবাহিক নাটক বাংলাদেশে ব্যাপক দর্শকপ্রিয়তা পেয়েছে।
১২ ফেব্রুয়ারি ছিলো ‘হামসফর’ খ্যাত পাক অভিনেত্রী হানিয়া আমিরের জন্মদিন। তবে মজার ব্যাপার হলো, এই অভিনেত্রীর জন্মদিন উপলক্ষে মাসজুড়ে নানা আয়োজনে পালন করা হয়। আরও অবাক করা ব্যাপার হলো পাকিস্তান এবং যুক্তরাজ্যে এই অভিনেত্রীর জন্মদিন পালন করা হয়। ফেব্রুয়ারি মাসটি শুরু হলেই ভিন্ন ভিন্ন আয়োজনে পালন করা হয়েছে তার জন্মদিন। হানিয়া আমির নিজেও এই আয়োজনে অংশ নেন।
১৭ ফেব্রুয়ারি পাকিস্তানের একটি রেস্তোরাঁয় বসে জন্মদিনের কেক কাটেন এই অভিনেত্রী। এই সময়ের ছবি এবং ভিডিও তার ইনস্টাগ্রামে প্রকাশও করেন। এতে তাকে লাল পোশাকে দেখা যায়। যেখানে বসে কেক কেটেছেন সেই স্থানটি লাল রঙের আবহেই সাজানো হয়েছে। ভিডিওতে দেখা যায়, কেক কাটার সময় দারুণ উচ্ছ্বসিত এই অভিনেত্রী।
হানিয়ার ভক্তরাও যেমন জন্মদিনটি বিভিন্ন আবহে পালন করেন, তেমনি নিজেও জন্মদিনটি পালনের জন্য এই মাসে প্রতিদিনই কোনো না কোনো প্রিয়জনের সঙ্গে সময় কাটান।
জন্মদিনের অনুষ্ঠান পালনের জন্য হানিয়া আমির যুক্তরাজ্যেও উড়াল দিয়েছিলেন। সেখানে তার অনুরাগীদের সঙ্গেই কেক কাটেন। সবার সঙ্গে ছবিও তোলেন। সেইসঙ্গে নিজের পছন্দ মতো সেই দেশের বিভিন্ন স্থানে ঘুরেও বেড়ান। সেইসব মুহূর্তগুলোর ছবি ও ভিডিও তার সোশ্যাল মিডিয়াতে শেয়ারও করেন।
ব্যক্তিত্ব ও আকর্ষণীয় চেহারার কারণে তরুণ দর্শকদের হৃদয় জয় করেছেন হানিয়া আমির। পাকিস্তানি বিনোদন জগতে তিনি অন্যতম সর্বোচ্চ পারিশ্রমিকপ্রাপ্ত একজন অভিনেত্রী। প্রতি পর্বের জন্য তিনি ৩ থেকে ৪ লাখ পাকিস্তানি রুপি পারিশ্রমিক নিয়ে থাকেন বলে জানা যায়। হানিয়া ‘আনা’, ‘মুঝে পেয়ার হুয়া থা’ ও ‘ইশকিযট’-এ অভিনয় করে জনপ্রিয়তা পান তিনি। হানিয়া নজরকাড়া হাসির জন্য বিশ্বজুড়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় ব্যাপক আলোচিত।
আবার বাংলাদেশেও হানিয়া আমিরের অনেক অনুরাগী রয়েছে। বাংলাদেশের শিশুশিল্পী সিমরিন লুবাবার কারণেও বাংলাদেশের সোশ্যাল মিডিয়ায় পাকিস্তানের এই অভিনেত্রী সম্প্রতি ভাইরাল হন। কারণ হলো, হানিয়া আমিরকে দেখতে নাকি অনেকটা লুবাবার মতোই।
>>>>>>>>>>>>>>
ডেঙ্গু প্রতিরোধ করবেন যেভাবে
মশা বাহিত একপ্রকার ভাইরাস জ্বর হলো ডেঙ্গু। এই জ্বর অন্যান্য ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়াজনিত জ্বর থেকে ভিন্ন। অবশ্য এই জ্বর কোনোভাবেই ছোঁয়াচে নয়। এই ভাইরাস জ্বর এককভাবে বা অন্যান্য ভাইরাস (চিকুনগুনিয়া, ইয়েলো ফিভার, বার্মা ফরেস্ট, ফ্লু, রেসপাইরেটরি সিনসাইটিয়াল) এবং ব্যাকটেরিয়া (নিউমোক্কাস)-এর সঙ্গেও হতে পারে।
লক্ষণ ও জ্বরের তীব্রতার ওপর নির্ভর করে ডেঙ্গুজ্বরকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে।
১. সাধারণ ডেঙ্গুজ্বর
২. রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বর।
সাধারণ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে চোখে পড়ে মূলত নিচের এই লক্ষণগুলো-
১. হঠাৎ করে তীব্র জ্বর ও তা ২ থেকে ৭ দিন স্থায়ী হওয়া।
২. তীব্র মাথাব্যথা হওয়া।
৩. চোখের পেছনের অংশে ব্যথা হওয়া।
৪. জ্বরের সঙ্গে সঙ্গে সারা শরীরে লালচে ফুসকুড়ি চোখে পড়া।
৫. সম্পূর্ণ শরীরে তীব্র ব্যথা ও সেইসঙ্গে কোমরে ব্যথা।
৬. বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া।
৭. ত্বকে র্যাশ বা লাল দানা দানা দেখা দেওয়া।
রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে :
১. ২ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তীব্র জ্বর সঙ্গে নাক, মুখ বা বমির সঙ্গে রক্ত যাওয়া।
২. জ্বরের পাশাপাশি বুকে বা পেটে পানি জমে যাওয়া।
এইসব লক্ষণের যে কোনো একটি লক্ষণ দেখা দিলেই দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।
অপরদিকে
জ্বরের প্রথম ৩ দিন বাড়িতে অপেক্ষা করুন। অপরদিকে সারা শরীর পানি দিয়ে স্পঞ্জ করুন কিছুক্ষণ পরপর। এতে করে জ্বরের মাত্রা কমে আসবে। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান ও বিশ্রাম নিতে হবে। এরপরেও জ্বর না কমলে বা কিছু সময় পরপর বাড়তে থাকলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন।
ডেঙ্গু প্রতিরোধে করণীয় বিষয়:
১. বাড়ির আশপাশ যতোটা সম্ভব পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে চেষ্টা করুন।
২. ঘরের ভেতরে থাকা ফুলের টব বা ভাঙা প্লাস্টিকের বোতল, ডাবের খোসা, টায়ার অথবা পলিথিন থাকলে তা দ্রুত পরিষ্কার করে ফেলুন ও ফুলের টব থেকে জমে থাকা পানি নিষ্কাশন করুন।
৩. মশা নিধনের জন্য সপ্তাহে অন্তত ৩ বার স্প্রে বা ফগিং করুন।
৪. বাড়ির বাইরে যাওয়ার সময় মশা নিধনে ব্যবহৃত ক্রিম সঙ্গে রাখতে পারেন।
৫. সন্ধ্যার পর বাড়ির ছোট থেকে বড় সদস্যরা মশারি ব্যবহার করুন।
৬. যেখানে-সেখানে জমে থাকা বৃষ্টির পানি পরিষ্কার করে ফেলুন, কারণ এতে এডিস মশা ডিম পেড়ে থাকে এই সময়।
৭. অপরদিকে মশার প্রকোপ থেকে বাঁচতে মশারির সঙ্গে সঙ্গে ম্যাট ব্যবহার করতে পারেন।
৮. এডিস মশা যেহেতু দিনের বেলা কামড়ায় তাই দিনের বেলায় ঘুমানোর সময় অবশ্যই মশারি টানিয়ে ঘুমানোর দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। সূত্র: https://dmpnews.org