দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ একটি প্রবাদে আছে “জলে কুমির ডাঙায় বাঘ’। সেই প্রবাদের বাস্তব দৃশ্যের দেখা পাওয়া গেছে এবার নেটজমাধ্যমে ভাইরাল হওয়া এক ভিডিওতে!
![শিকারির হাত থেকে বাঁচতে ডাঙায় উঠেও রেহায় পেলো না জেব্রা! [ভিডিও] 1 শিকারির হাত থেকে বাঁচতে ডাঙায় উঠেও রেহায় পেলো না জেব্রা! [ভিডিও] 1](https://thedhakatimes.com/wp-content/uploads/2025/03/0393893498-750x430.jpg)
পানিতে নেমেছিল একটি জেব্রা। সেখানে অপেক্ষা করছিল পানির এক শিকারি। কোনও রকমে পানি থেকে উঠে প্রাণ বাঁচিয়ে ডাঙায় উঠলো প্রাণীটি। কিন্তু পানির ফাঁড়া কাটলেও ভাগ্যের হাতে পর্যুদস্ত হতে হল চতুষ্পদ ওই প্রাণীটিকে। ডাঙায় ওত পেতে ছিল আরেক শিকারি। সুযোগ বুঝে অনায়াসে তাকে ধরে ফেললো হিংস্র চিতাবাঘ। সেই ঘটনার একটি ভিডিও ছড়িয়ে পড়েছে নেটমাধ্যমে।
ভাইরাল হওয়া ওই ভিডিওতে দেখা যায়, জেব্রাটি পানিতে নামতেই পানিতে আলোড়ন ওঠে। তড়িঘড়ি পানি থেকে পাড়ে উঠে পড়তেই ঘটে আরও এক বিপত্তি। সেখানে পড়ে থাকা একটি পাথরে খাঁজে পা আটকে যায় ওই জেব্রাটির। কোনওভাবেই সেই পাথুরে ফাঁদ হতে বেরিয়ে আসতে পারেনি ওই প্রাণীটি। কারণ হলো এই সুযোগের অপেক্ষায় পাথরের পিছনে ঘাপটি মেরে ছিল একটি চিতাবাঘ। জেব্রাটিকে পাথরে আটকে যেতেই পোয়া বারো হরো শিকারি চিতার। অনায়াসে ধীরেসুস্থে এগিয়ে এসে ঝাঁপিয়ে পড়লো জেব্রাটির উপর। অসহায় অবস্থায় শেষ পর্যন্ত আত্মসমর্পণ করতে বাধ্য হলো জেব্রাটি। পরে অবশ্য পানির কুমিরটিও সুযোগ নিলো!
‘নেচার ইজ় ক্রুয়েল’ নামে একটি এক্স হ্যান্ডল হতে এই ভিডিওটি প্রকাশিত হয়েছে। তথ্যসূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা অনলাইন।
এক্স এর ভিডিওটি দেখতে এখানে ক্লিক করুন
>>>>>>>>>>>>>>
ডেঙ্গু প্রতিরোধ করবেন যেভাবে
মশা বাহিত একপ্রকার ভাইরাস জ্বর হলো ডেঙ্গু। এই জ্বর অন্যান্য ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়াজনিত জ্বর থেকে ভিন্ন। অবশ্য এই জ্বর কোনোভাবেই ছোঁয়াচে নয়। এই ভাইরাস জ্বর এককভাবে বা অন্যান্য ভাইরাস (চিকুনগুনিয়া, ইয়েলো ফিভার, বার্মা ফরেস্ট, ফ্লু, রেসপাইরেটরি সিনসাইটিয়াল) এবং ব্যাকটেরিয়া (নিউমোক্কাস)-এর সঙ্গেও হতে পারে।
লক্ষণ ও জ্বরের তীব্রতার ওপর নির্ভর করে ডেঙ্গুজ্বরকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে।
১. সাধারণ ডেঙ্গুজ্বর
২. রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বর।
সাধারণ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে চোখে পড়ে মূলত নিচের এই লক্ষণগুলো-
১. হঠাৎ করে তীব্র জ্বর ও তা ২ থেকে ৭ দিন স্থায়ী হওয়া।
২. তীব্র মাথাব্যথা হওয়া।
৩. চোখের পেছনের অংশে ব্যথা হওয়া।
৪. জ্বরের সঙ্গে সঙ্গে সারা শরীরে লালচে ফুসকুড়ি চোখে পড়া।
৫. সম্পূর্ণ শরীরে তীব্র ব্যথা ও সেইসঙ্গে কোমরে ব্যথা।
৬. বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া।
৭. ত্বকে র্যাশ বা লাল দানা দানা দেখা দেওয়া।
রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে :
১. ২ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তীব্র জ্বর সঙ্গে নাক, মুখ বা বমির সঙ্গে রক্ত যাওয়া।
২. জ্বরের পাশাপাশি বুকে বা পেটে পানি জমে যাওয়া।
এইসব লক্ষণের যে কোনো একটি লক্ষণ দেখা দিলেই দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।
অপরদিকে
জ্বরের প্রথম ৩ দিন বাড়িতে অপেক্ষা করুন। অপরদিকে সারা শরীর পানি দিয়ে স্পঞ্জ করুন কিছুক্ষণ পরপর। এতে করে জ্বরের মাত্রা কমে আসবে। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান ও বিশ্রাম নিতে হবে। এরপরেও জ্বর না কমলে বা কিছু সময় পরপর বাড়তে থাকলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন।
ডেঙ্গু প্রতিরোধে করণীয় বিষয়:
১. বাড়ির আশপাশ যতোটা সম্ভব পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে চেষ্টা করুন।
২. ঘরের ভেতরে থাকা ফুলের টব বা ভাঙা প্লাস্টিকের বোতল, ডাবের খোসা, টায়ার অথবা পলিথিন থাকলে তা দ্রুত পরিষ্কার করে ফেলুন ও ফুলের টব থেকে জমে থাকা পানি নিষ্কাশন করুন।
৩. মশা নিধনের জন্য সপ্তাহে অন্তত ৩ বার স্প্রে বা ফগিং করুন।
৪. বাড়ির বাইরে যাওয়ার সময় মশা নিধনে ব্যবহৃত ক্রিম সঙ্গে রাখতে পারেন।
৫. সন্ধ্যার পর বাড়ির ছোট থেকে বড় সদস্যরা মশারি ব্যবহার করুন।
৬. যেখানে-সেখানে জমে থাকা বৃষ্টির পানি পরিষ্কার করে ফেলুন, কারণ এতে এডিস মশা ডিম পেড়ে থাকে এই সময়।
৭. অপরদিকে মশার প্রকোপ থেকে বাঁচতে মশারির সঙ্গে সঙ্গে ম্যাট ব্যবহার করতে পারেন।
৮. এডিস মশা যেহেতু দিনের বেলা কামড়ায় তাই দিনের বেলায় ঘুমানোর সময় অবশ্যই মশারি টানিয়ে ঘুমানোর দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। সূত্র: https://dmpnews.org