দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ আপনার কোনও কাজই সারাদিন ঠিকমতো হচ্ছে না। স্ট্রেসও বাড়ছে। দিনের শেষে সঙ্গীকে পাশে পেলে স্ট্রেস, অ্যাংজ়াইটি, সবই কমে যায়। আবার মনও ভালো হয়ে যায় এক মুহূর্তেই।
এমনকি, আপনার মুড যদি ভালো থাকে, তাহলেও সঙ্গীও ফুরফুরে মেজাজেই থাকে। সঙ্গীর মন যতোই খারাপ থাকুক না কেনো, আপনার হাসি মুখ তার মেজাজকেও ভালো করে দিতে পারে। অন্তত এমনটিই বলছে নতুন এক গবেষণা।
সাইকোনিউরোএন্ডোক্রিনোলজি পত্রিকায় প্রকাশিত নতুন এক গবেষণা বলছে যে, দম্পতিদের মধ্যে কেও একজন ভালো মেজাজে থাকলে, তার প্রভাব সঙ্গীর উপরেও পড়ে। আর তখন সঙ্গীরও স্ট্রেস লেভেল কমে যায়। গবেষণা বলছে যে, যখন একজন পার্টনার হাসিখুশি থাকে, তখন অপরজনের কর্টিসল লেভেলও (স্ট্রেস হরমোন) কমে যায়। একজন যদি ভালো নাও থাকে, সে তার পার্টনার দেখেও খুশি হয়।
৫৬ হতে ৮৭ বছর বয়সি যুগলদের মধ্যে এই গবেষণা করা হয়। এই বয়সের মানুষদের বেছে নেওয়ার কারণই হলো, এরা দীর্ঘ সময় ধরে সম্পর্কের মধ্যে রয়েছেন। অন্তত ৪৪ বছর ধরে তারা একসঙ্গে রয়েছেন, এমন কাপলদের নিয়ে এই গবেষণাটি করা হয়। এই বয়সের মানুষদের মধ্যে ঘন ঘন মেজাজ পরিবর্তনও ঘটে। বয়স বাড়লে স্ট্রেস হরমোনের মাত্রা স্বাভাবিক হতে একটু সময়ও নেয়। তাই এই বয়সের ব্যক্তিদের বেছে নেওয়া হয় গবেষণার জন্যই। এখানে দেখা যায়, পার্টনার হাসিখুশি থাকলে, সাপোর্টিভ হলে, অপরজনও সুখে থাকে।
সহজ কথায় বললে, আপনার সঙ্গী খুশি থাকলে, তাকে দেখে আপনার স্ট্রেস কমবে। আর যদি সঙ্গী দুঃখে-কষ্টে থাকে, সেই স্ট্রেসের প্রভাব অপরজনের মধ্যেও পড়ে। তবে আপনি যদি সঙ্গীর পাশে থাকেন, তাহলে তার পরিস্থিতির সঙ্গে মোকাবিলা করতেও সুবিধা হয়। তথ্যসূত্র: এই সময়।
>>>>>>>>>>>>>>
ডেঙ্গু প্রতিরোধ করবেন যেভাবে
মশা বাহিত একপ্রকার ভাইরাস জ্বর হলো ডেঙ্গু। এই জ্বর অন্যান্য ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়াজনিত জ্বর থেকে ভিন্ন। অবশ্য এই জ্বর কোনোভাবেই ছোঁয়াচে নয়। এই ভাইরাস জ্বর এককভাবে বা অন্যান্য ভাইরাস (চিকুনগুনিয়া, ইয়েলো ফিভার, বার্মা ফরেস্ট, ফ্লু, রেসপাইরেটরি সিনসাইটিয়াল) এবং ব্যাকটেরিয়া (নিউমোক্কাস)-এর সঙ্গেও হতে পারে।
লক্ষণ ও জ্বরের তীব্রতার ওপর নির্ভর করে ডেঙ্গুজ্বরকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে।
১. সাধারণ ডেঙ্গুজ্বর
২. রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বর।
সাধারণ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে চোখে পড়ে মূলত নিচের এই লক্ষণগুলো-
১. হঠাৎ করে তীব্র জ্বর ও তা ২ থেকে ৭ দিন স্থায়ী হওয়া।
২. তীব্র মাথাব্যথা হওয়া।
৩. চোখের পেছনের অংশে ব্যথা হওয়া।
৪. জ্বরের সঙ্গে সঙ্গে সারা শরীরে লালচে ফুসকুড়ি চোখে পড়া।
৫. সম্পূর্ণ শরীরে তীব্র ব্যথা ও সেইসঙ্গে কোমরে ব্যথা।
৬. বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া।
৭. ত্বকে র্যাশ বা লাল দানা দানা দেখা দেওয়া।
রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে :
১. ২ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তীব্র জ্বর সঙ্গে নাক, মুখ বা বমির সঙ্গে রক্ত যাওয়া।
২. জ্বরের পাশাপাশি বুকে বা পেটে পানি জমে যাওয়া।
এইসব লক্ষণের যে কোনো একটি লক্ষণ দেখা দিলেই দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।
অপরদিকে
জ্বরের প্রথম ৩ দিন বাড়িতে অপেক্ষা করুন। অপরদিকে সারা শরীর পানি দিয়ে স্পঞ্জ করুন কিছুক্ষণ পরপর। এতে করে জ্বরের মাত্রা কমে আসবে। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান ও বিশ্রাম নিতে হবে। এরপরেও জ্বর না কমলে বা কিছু সময় পরপর বাড়তে থাকলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন।
ডেঙ্গু প্রতিরোধে করণীয় বিষয়:
১. বাড়ির আশপাশ যতোটা সম্ভব পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে চেষ্টা করুন।
২. ঘরের ভেতরে থাকা ফুলের টব বা ভাঙা প্লাস্টিকের বোতল, ডাবের খোসা, টায়ার অথবা পলিথিন থাকলে তা দ্রুত পরিষ্কার করে ফেলুন ও ফুলের টব থেকে জমে থাকা পানি নিষ্কাশন করুন।
৩. মশা নিধনের জন্য সপ্তাহে অন্তত ৩ বার স্প্রে বা ফগিং করুন।
৪. বাড়ির বাইরে যাওয়ার সময় মশা নিধনে ব্যবহৃত ক্রিম সঙ্গে রাখতে পারেন।
৫. সন্ধ্যার পর বাড়ির ছোট থেকে বড় সদস্যরা মশারি ব্যবহার করুন।
৬. যেখানে-সেখানে জমে থাকা বৃষ্টির পানি পরিষ্কার করে ফেলুন, কারণ এতে এডিস মশা ডিম পেড়ে থাকে এই সময়।
৭. অপরদিকে মশার প্রকোপ থেকে বাঁচতে মশারির সঙ্গে সঙ্গে ম্যাট ব্যবহার করতে পারেন।
৮. এডিস মশা যেহেতু দিনের বেলা কামড়ায় তাই দিনের বেলায় ঘুমানোর সময় অবশ্যই মশারি টানিয়ে ঘুমানোর দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। সূত্র: https://dmpnews.org