দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ স্ত্রী চিতা ও তার চার শাবককে পানি খেতে দিচ্ছেন এক তরুণ। চিতাগুলোও তাদের তৃষ্ণা মেটাতে পানি খেতে এগিয়ে যাচ্ছে। তরুণকে নিয়ে তাদের কোনও রকম ভ্রুক্ষেপ নেই।
শাবকদের নিয়ে গাছের তলায় বসেছিল স্ত্রী চিতা। চিতার দলবল দেখে না পালিয়ে প্রাণ হাতে করে সেদিকেই এগিয়ে গেলেন এক তরুণ। একটি থালায় পানি ঢেলে চিতাদের খেতেও দিলেন তিনি। নেটমাধ্যমে এমনই একটি ভিডিও সম্প্রতি ছড়িয়ে পড়েছে।
‘ফিল্মিমন্ত্রমিডিয়া’ নামে অ্যাকাউন্ট থেকে ইনস্টাগ্রামে একটি ভিডিও পোস্ট করা হয়েছে। ওই ভিডিয়োয় দেখা যায় যে, স্ত্রী চিতা ও তার চার শাবককে পানি খেতে দিচ্ছেন এক তরুণ। চিতাগুলোও তাদের তৃষ্ণা মেটাতে পানি খেতে এগিয়ে যাচ্ছে। তরুণকে নিয়ে তাদের কোনও ভ্রুক্ষেপই নেই। চিতাদের তেষ্টা মেটাতে পেরেছেন বলে সেখান থেকে হাসিমুখে সরে গেলেন ওই তরুণ। দৃশ্যটি ক্যামেরাবন্দি করে রাখতেও ভুলেননি তিনি। স্থানীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রের খবরে জানা যায়, ঘটনাটি ঘটেছে সম্প্রতি ভারতের মধ্যপ্রদেশের কুনো জাতীয় উদ্যানে। ওই তরুণের নাম সত্যনারায়ণ গুরজার। তিনি বিজয়পুর এলাকার উমারি গ্রামের বাসিন্দা। কুনো জাতীয় উদ্যানের কাছেই রয়েছে ওই গ্রামটি।
জানা যায়, সম্প্রতি জঙ্গলের ভিতর বেশ কয়েকটি চিতাকে ছেড়ে দেওয়া হয়। তবে স্থানীয়দের একাংশের দাবি হলো, জঙ্গল ছেড়ে গ্রামের ভিতর কখনও কখনও ঢুকে পড়ছে চিতাগুলো। তাদের গৃহপালিত পশু শিকার করে নিয়ে যাচ্ছে হিংস্র শ্বাপদগুলো। স্ত্রী চিতা তার শাবকদের নিয়ে উন্মুক্ত এলাকায় ঘুরে বেড়াচ্ছে। চিতাদের আক্রমণের কারণে ভয়াবহ পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে আশেপাশের গ্রামগুলোতে। এমন পরিস্থিতিতে তরুণের এই ভিডিওটি আরও আশঙ্কারও সৃষ্টি করেছে বলে মনে করছেন অনেকেই। তথ্যসূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা অনলাইন।
ইনস্টাগ্রামের ভিডিওটি দেখতে এই লিংকে ক্লিক করুন।
>>>>>>>>>>>>>>
ডেঙ্গু প্রতিরোধ করবেন যেভাবে
মশা বাহিত একপ্রকার ভাইরাস জ্বর হলো ডেঙ্গু। এই জ্বর অন্যান্য ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়াজনিত জ্বর থেকে ভিন্ন। অবশ্য এই জ্বর কোনোভাবেই ছোঁয়াচে নয়। এই ভাইরাস জ্বর এককভাবে বা অন্যান্য ভাইরাস (চিকুনগুনিয়া, ইয়েলো ফিভার, বার্মা ফরেস্ট, ফ্লু, রেসপাইরেটরি সিনসাইটিয়াল) এবং ব্যাকটেরিয়া (নিউমোক্কাস)-এর সঙ্গেও হতে পারে।
লক্ষণ ও জ্বরের তীব্রতার ওপর নির্ভর করে ডেঙ্গুজ্বরকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে।
১. সাধারণ ডেঙ্গুজ্বর
২. রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বর।
সাধারণ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে চোখে পড়ে মূলত নিচের এই লক্ষণগুলো-
১. হঠাৎ করে তীব্র জ্বর ও তা ২ থেকে ৭ দিন স্থায়ী হওয়া।
২. তীব্র মাথাব্যথা হওয়া।
৩. চোখের পেছনের অংশে ব্যথা হওয়া।
৪. জ্বরের সঙ্গে সঙ্গে সারা শরীরে লালচে ফুসকুড়ি চোখে পড়া।
৫. সম্পূর্ণ শরীরে তীব্র ব্যথা ও সেইসঙ্গে কোমরে ব্যথা।
৬. বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া।
৭. ত্বকে র্যাশ বা লাল দানা দানা দেখা দেওয়া।
রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে :
১. ২ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তীব্র জ্বর সঙ্গে নাক, মুখ বা বমির সঙ্গে রক্ত যাওয়া।
২. জ্বরের পাশাপাশি বুকে বা পেটে পানি জমে যাওয়া।
এইসব লক্ষণের যে কোনো একটি লক্ষণ দেখা দিলেই দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।
অপরদিকে
জ্বরের প্রথম ৩ দিন বাড়িতে অপেক্ষা করুন। অপরদিকে সারা শরীর পানি দিয়ে স্পঞ্জ করুন কিছুক্ষণ পরপর। এতে করে জ্বরের মাত্রা কমে আসবে। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান ও বিশ্রাম নিতে হবে। এরপরেও জ্বর না কমলে বা কিছু সময় পরপর বাড়তে থাকলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন।
ডেঙ্গু প্রতিরোধে করণীয় বিষয়:
১. বাড়ির আশপাশ যতোটা সম্ভব পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে চেষ্টা করুন।
২. ঘরের ভেতরে থাকা ফুলের টব বা ভাঙা প্লাস্টিকের বোতল, ডাবের খোসা, টায়ার অথবা পলিথিন থাকলে তা দ্রুত পরিষ্কার করে ফেলুন ও ফুলের টব থেকে জমে থাকা পানি নিষ্কাশন করুন।
৩. মশা নিধনের জন্য সপ্তাহে অন্তত ৩ বার স্প্রে বা ফগিং করুন।
৪. বাড়ির বাইরে যাওয়ার সময় মশা নিধনে ব্যবহৃত ক্রিম সঙ্গে রাখতে পারেন।
৫. সন্ধ্যার পর বাড়ির ছোট থেকে বড় সদস্যরা মশারি ব্যবহার করুন।
৬. যেখানে-সেখানে জমে থাকা বৃষ্টির পানি পরিষ্কার করে ফেলুন, কারণ এতে এডিস মশা ডিম পেড়ে থাকে এই সময়।
৭. অপরদিকে মশার প্রকোপ থেকে বাঁচতে মশারির সঙ্গে সঙ্গে ম্যাট ব্যবহার করতে পারেন।
৮. এডিস মশা যেহেতু দিনের বেলা কামড়ায় তাই দিনের বেলায় ঘুমানোর সময় অবশ্যই মশারি টানিয়ে ঘুমানোর দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। সূত্র: https://dmpnews.org