দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী হতে চান নারীশিক্ষা আন্দোলনের সাহসী কন্যা কিশোরী মালালা ইউসুফজাই। সিএনএনকে দেওয়া এক সাক্ষাৎাকরে তিনি এ মনোভাব ব্যক্ত করেন।
সংবাদ মাধ্যম বলেছে, নারীশিক্ষা আন্দোলনের সাহসী অগ্রপথিক এই ১৬ বছরের কিশোরী মালালা ইউসুফজাই পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী হওয়ার ইচ্ছা ব্যক্ত করেছেন। দেশকে রক্ষার জন্য বড় হয়ে প্রধানমন্ত্রী হতে চান তিনি। গত বৃহস্পতিবার সিএনএন’কে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে মালালা বলেছেন, চিকিৎসক ও রাজনীতিবিদ এ দুটি পেশাকে ভবিষ্যতে নেয়ার ক্ষেত্রে দ্বিধায় থাকা মালালা বলেন, আমি পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী হতে চাই। আমি মনে করি এটা সত্যিই ভাল হবে। কারণ, রাজনীতির মাধ্যমেই আমি আমার দেশকে রক্ষা করতে পারব। মালালা আরও বলেন, বাজেটের একটি বড় অংশ শিক্ষায় ব্যয় করতে চাই। এরপর আমি দেশের পররাষ্ট্রনীতির দিকেও মনোযোগ দেব। তালেবান গোষ্ঠী তার মতো মেয়ে শিশুদের কিভাবে স্কুলে যেতে বাধা দিচ্ছে সেই বিষয়ের ওপর ব্লগে ২০০৯ সালে একটি লেখা প্রকাশের মাধ্যমে মালালা তার প্রচারাভিযান শুরু করেছিলেন।
মালালা ‘আই এম মালালা’ নামের সমপ্রতি একটি আত্মজীবনীও লিখেছেন। মালালার আত্মজীবনীমূলক এ বই বৃহস্পতিবার অ্যামাজন ডটকমের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ বিক্রীত বইয়ে পরিণত হয়। অপরদিকে এ বইয়ের বিক্রি নিয়ে হুঁশিয়ারি দিয়েছে তেহেরিক ই তালিবান পাকিস্তান। তারা বলেছে, যাকে এ বই বিক্রি করতে দেখা যাবে তাকে কঠিন পরিণতি ভোগ করতে হবে। বৃহস্পতিবার মালালা ইউরোপিয়ান পার্লামেন্টের মর্যাদাপূর্ণ সাখারভ মানবাধিকার পুরস্কার লাভ করেছে। এবারের শান্তিতে নোবেল পুরস্কার সে পেতে পারেন এমন গুঞ্জনও বেশ জোরালো ছিল। তবে শেষ মুহূর্তে তা হয়নি। এ সম্পর্কে মালালা বলেছেন, যদি আমি নোবেল পাই তা হবে অনেক বড় সম্মানের। আমি এ পুরস্কার পেলে সে অর্থ মেয়ে শিক্ষার প্রচারের কাজে ব্যবহার করতে পারবো। তালেবানরা তার ওপর হামলা করার হুমকির প্রেক্ষিতে নিউ ইয়র্কের অনুষ্ঠানেও তার নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছিল। স্কুলের বাসে তার ওপর তালেবানের হামলা সম্পর্কে মালালা বলেছেন, তারা আমার শরীরের ওপর হামলা করতে পারে। কিন্তু তারা আমার স্বপ্নকে হত্যা করতে পারেনি। মালালা বলেছেন, এক সময়ে তার স্বপ্ন ছিল ডাক্তার হওয়া। কিন্তু এখন সে রাজনীতিতে অংশ নিতে চায় এবং এর মাধ্যমেই একদিন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী হতে চায়। মালালা বিষয়টি পরিষ্কার করতে বলেন, ডাক্তার হলে আমি আমার সমপ্রদায়ের সেবা করতে পারবো। আর একজন রাজনীতিবিদ হলে আমি সারা দেশের জনগণের সেবা করতে পারবো। এই মনোভাব প্রকাশের পর তালেবান গোষ্ঠী হয়তো আরও মরিয়া হয়ে উঠতে পারে বলে অনেকেই মত দিয়েছেন। সূত্র: অনলাইন।