দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ ব্রিটিশ কাউন্সিলের উদ্যোগে “আর্ট এক্সচেঞ্জ: মুভিং ইমেজ” প্রকল্পের আওতায় কিউরেটর কেহকাশা সাবাহর তত্ত্বাবধানে আয়োজিত আন্তর্জাতিক দলীয় প্রদর্শনী “হোয়্যার দ্য স্পিরিট মিটস দ্য বোন” আগামী ২৫ এপ্রিল বিকেল ৪:৩০ টায় বনানীর সাতোরি একাডেমি অফ আর্টস-এ, উদ্বোধিত হতে যাচ্ছে।
প্রদর্শনীটি প্রতিদিন সকাল ১১টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত সবার জন্য উন্মুক্ত থাকবে এবং চলবে ১৬ মে পর্যন্ত। এই প্রদর্শনীটি ব্রিটিশ কাউন্সিলের “আর্ট এক্সচেঞ্জ: মুভিং ইমেজ” প্রকল্পের অংশ, যা সাব- সাহারান আফ্রিকা এবং দক্ষিণ এশিয়ার উদীয়মান এবং ইতিমধ্যে কর্মরত ভিজ্যুয়াল আর্ট কিউরেটরদের জন্য একটি আন্তঃসংস্কৃতিক পেশাগত উন্নয়ন ও প্রদর্শনী প্রোগ্রাম। প্রদর্শনীটি সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন: https://kehkasha.name/index.php
প্রদর্শনীটির প্রথম অধ্যায় চলবে ২৫ এপ্রিল হতে ০৭ মে অব্দি। প্রদর্শনীর এই অধ্যায়ে সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও মানসিক প্রেক্ষাপটে সংবেদনশীল পরিবেশের অন্বেষণ করা হয়েছে, যেখানে যত্নকে একটি নিরাময়প্রক্রিয়া হিসেবে উপস্থাপন করা হয়েছে। এই অধ্যায়ে সাতজন বাংলাদেশী শিল্পী, চারজন আন্তর্জাতিক শিল্পী এবং চারজন বাংলাদেশী শিল্প শিক্ষার্থীর কাজ প্রদর্শিত হবে।
এছাড়া ব্রিটিশ কাউন্সিল কালেকশন থেকে নেয়া শিল্পকর্মও অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। প্রদর্শনীর উদ্বোধন করবেন খ্যাতিমান শিল্পী ঢালী আল মামুন ও দিলারা বেগম জলি (বাংলাদেশ) ও স্টিফেন ফোর্বস, কান্ট্রি ডিরেক্টর, ব্রিটিশ কাউন্সিল বাংলাদেশ।
অংশগ্রহণকারী শিল্পীরা হলেন, আফরাহ শফিক (ভারত), সিল ফ্লয়ার (যুক্তরাজ্য), হেতেন পাটেল (যুক্তরাজ্য), হং-কাই ওয়াং (তাইওয়ান), নাঈম মোহাইমেন (বাংলাদেশ), ঋতু সাত্তার (বাংলাদেশ), শরদ দাস (বাংলাদেশ), সোহরাব জাহান (বাংলাদেশ), শৌণক দাশ (বাংলাদেশ/নেদারল্যান্ডস), সুজান ফিলিপ্স (যুক্তরাজ্য), ইয়াসমিন জাহান নূপুর (বাংলাদেশ), জিহান করিম (বাংলাদেশ) এঁদের মাঝে সিল ফ্লয়ার, হেতেন পাটেল, এবং সুজান ফিলিপ্স-এর শিল্পকর্ম ব্রিটিশ কাউন্সিল কালেকশন হতে সংগৃহীত এবং প্রদর্শিত হবে।
প্রদর্শনীটির দ্বিতীয় অধ্যায় চলবে ০৯ মে হতে ১৬ মে অব্দি। প্রদর্শনীর এই পর্যায়ে শিল্পী- শিক্ষক সোহরাব জাহান ও জিহান করিম পরিচালিত এক্সপেরিমেন্টাল কর্মশালার ফলাফল উপস্থাপিত হবে। মাধ্যম হিসেবে “মুভিং ইমেজ”-কে শিল্পচর্চার কেন্দ্রে রেখে আয়োজিত এই প্রদর্শনীটিতে চলমান চিত্র, ইন্টার্যাক্টিভ শিল্পমাধ্যম এবং বিষয়ভিত্তিক আলোচনার আয়োজন থাকবে।
কর্মশালার অংশগ্রহণকারী শিল্পীরা হলেন, আবিদ হাসান (বাংলাদেশ), আরশাদুল হক (বাংলাদেশ), নাজনীন আহমেদ (বাংলাদেশ), এবং সাদিয়া আফরোজ (বাংলাদেশ) কিউরেটর কেহকাশা সাবাহ বলেন, “হোয়্যার দ্য স্পিরিট মিটস দ্য বোন” একটি সম্ভাবনাময় অন্বেষণমূলক প্রকল্প— যা দেহ এবং মনের আন্তঃসম্পর্ক সংযোগে সামাজিক-রাজনৈতিক- সাংস্কৃতিক প্রেক্ষাপটে যত্নের অবহেলিত অধ্যায়গুলি অন্বেষণ এবং আলোচনা করতে আগ্রহী ।
যত্ন শুধুমাত্র একটি মানসিক বিষয় নয় বরং দৈনন্দিন চর্চা এবং অংশগ্রহণের মাধ্যমে যত্ন একটি সম্মিলিত শক্তির বহিঃপ্রকাশ হয়ে উঠতে পারে। এই শিরোনামটি নেয়া হয়েছে মিলার উইলিয়ামস-এর কবিতা ‘Compassion’ থেকে, যা মানবজীবনের দুর্বলতাকে সহমর্মিতার চোখে দেখার আহ্বান জানায়।”
স্টিফেন ফর্বস, কান্ট্রি ডিরেক্টর, ব্রিটিশ কাউন্সিল বাংলাদেশ বলেন, “ব্রিটিশ কাউন্সিল বিভিন্ন যুক্তরাজ্য-বাংলাদেশ যৌথ উদ্যোগের মাধ্যমে সম্ভাবনাময় শিল্পীদের সমর্থন যোগাতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। সেই প্রতিশ্রুতির অংশ হিসেবেই আমরা কেহকাশা সাবাহ এবং তাঁর প্রদশনীকে “আর্ট এক্সচেঞ্জঃ মুভিং ইমেজ’ কিউরেটোরিয়াল ফেলোশিপের মাধ্যমে সমর্থন করতে পেরে খুবই আনন্দিত। এই সমসাময়িক ও চিন্তাজাগানিয়া প্রদশনীটি শুধুমাত্র শিল্পী কেহকাশা’র সামাজিক দায়বদ্ধতাই তুলে ধরেনি, সেইসঙ্গে যুক্তরাজ্য ও বাংলাদেশের মধ্যকার সাংস্কৃতিক সম্পর্ককে আরও সমৃদ্ধ করেছে। কেবল শিল্পপ্রেমীদের নয়, আমি সকলকে এই অসাধারণ প্রদর্শনীটি উপভোগ করবার আন্তরিক আমন্ত্রণ জানাছি”
খবর সংবাদ বিজ্ঞপ্তির।
>>>>>>>>>>>>>>
ডেঙ্গু প্রতিরোধ করবেন যেভাবে
মশা বাহিত একপ্রকার ভাইরাস জ্বর হলো ডেঙ্গু। এই জ্বর অন্যান্য ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়াজনিত জ্বর থেকে ভিন্ন। অবশ্য এই জ্বর কোনোভাবেই ছোঁয়াচে নয়। এই ভাইরাস জ্বর এককভাবে বা অন্যান্য ভাইরাস (চিকুনগুনিয়া, ইয়েলো ফিভার, বার্মা ফরেস্ট, ফ্লু, রেসপাইরেটরি সিনসাইটিয়াল) এবং ব্যাকটেরিয়া (নিউমোক্কাস)-এর সঙ্গেও হতে পারে।
লক্ষণ ও জ্বরের তীব্রতার ওপর নির্ভর করে ডেঙ্গুজ্বরকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে।
১. সাধারণ ডেঙ্গুজ্বর
২. রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বর।
সাধারণ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে চোখে পড়ে মূলত নিচের এই লক্ষণগুলো-
১. হঠাৎ করে তীব্র জ্বর ও তা ২ থেকে ৭ দিন স্থায়ী হওয়া।
২. তীব্র মাথাব্যথা হওয়া।
৩. চোখের পেছনের অংশে ব্যথা হওয়া।
৪. জ্বরের সঙ্গে সঙ্গে সারা শরীরে লালচে ফুসকুড়ি চোখে পড়া।
৫. সম্পূর্ণ শরীরে তীব্র ব্যথা ও সেইসঙ্গে কোমরে ব্যথা।
৬. বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া।
৭. ত্বকে র্যাশ বা লাল দানা দানা দেখা দেওয়া।
রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে :
১. ২ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তীব্র জ্বর সঙ্গে নাক, মুখ বা বমির সঙ্গে রক্ত যাওয়া।
২. জ্বরের পাশাপাশি বুকে বা পেটে পানি জমে যাওয়া।
এইসব লক্ষণের যে কোনো একটি লক্ষণ দেখা দিলেই দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।
অপরদিকে
জ্বরের প্রথম ৩ দিন বাড়িতে অপেক্ষা করুন। অপরদিকে সারা শরীর পানি দিয়ে স্পঞ্জ করুন কিছুক্ষণ পরপর। এতে করে জ্বরের মাত্রা কমে আসবে। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান ও বিশ্রাম নিতে হবে। এরপরেও জ্বর না কমলে বা কিছু সময় পরপর বাড়তে থাকলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন।
ডেঙ্গু প্রতিরোধে করণীয় বিষয়:
১. বাড়ির আশপাশ যতোটা সম্ভব পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে চেষ্টা করুন।
২. ঘরের ভেতরে থাকা ফুলের টব বা ভাঙা প্লাস্টিকের বোতল, ডাবের খোসা, টায়ার অথবা পলিথিন থাকলে তা দ্রুত পরিষ্কার করে ফেলুন ও ফুলের টব থেকে জমে থাকা পানি নিষ্কাশন করুন।
৩. মশা নিধনের জন্য সপ্তাহে অন্তত ৩ বার স্প্রে বা ফগিং করুন।
৪. বাড়ির বাইরে যাওয়ার সময় মশা নিধনে ব্যবহৃত ক্রিম সঙ্গে রাখতে পারেন।
৫. সন্ধ্যার পর বাড়ির ছোট থেকে বড় সদস্যরা মশারি ব্যবহার করুন।
৬. যেখানে-সেখানে জমে থাকা বৃষ্টির পানি পরিষ্কার করে ফেলুন, কারণ এতে এডিস মশা ডিম পেড়ে থাকে এই সময়।
৭. অপরদিকে মশার প্রকোপ থেকে বাঁচতে মশারির সঙ্গে সঙ্গে ম্যাট ব্যবহার করতে পারেন।
৮. এডিস মশা যেহেতু দিনের বেলা কামড়ায় তাই দিনের বেলায় ঘুমানোর সময় অবশ্যই মশারি টানিয়ে ঘুমানোর দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। সূত্র: https://dmpnews.org