দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ স্যামসাং সম্প্রতি সুপারফাস্ট কানেক্টিভিটি এবং শক্তিশালী পারফরমেন্সের নতুন স্মার্টফোন গ্যালাক্সি এ০৬ উন্মোচন করেছে। দেশের বাজারে আকর্ষণীয় তিনটি আকর্ষণীয় রঙে ডিভাইসটি পাওয়া যাবে; যথা: গোল্ড, লাইট ব্লু ও ব্ল্যাক।
গ্যালাক্সি এ০৬ -এ রয়েছে ৫০ মেগাপিক্সেলের প্রাইমারি লেন্স, যে কারণে ছবি হবে আরও ডিটেইলড এবং ঝকঝকে। স্মার্টফোনটির ২ মেগাপিক্সেলের ডেপথ ক্যামেরা ছবিকে করবে আরও স্পষ্ট ও এর ৮ মেগাপিক্সেলের ফ্রন্ট ক্যামেরার মাধ্যমে তোলা যাবে দুর্দান্ত সেলফি এবং স্বাচ্ছন্দ্যে করা যাবে হাই-কোয়ালিটি ভিডিও কল। স্টাইলিশ এবং স্লিম ডিজাইনের স্মার্টফোনটির ৬.৭ ইঞ্চির এইচডি+ ডিসপ্লের অ্যাসপেক্ট রেশিও ২০.৯; যে কারণে, ফোনটির ব্যবহারকারীদের ভিজ্যুয়াল অভিজ্ঞতা হবে আরও প্রাণবন্ত। স্মার্টফোনটিতে আরও রয়েছে ৫,০০০ মিলিঅ্যাম্পিয়ার আওয়ারের বিশাল ব্যাটারি, সঙ্গে ২৫ ওয়াটের ফাস্ট চার্জিং।
শক্তিশালী পারফরমেন্সের জন্য গ্যালাক্সি এ০৬ -এ রয়েছে মিডিয়াটেক হেলিও জি৮৫ প্রসেসর, যা মাল্টিটাস্কিং, স্ট্রিমিং এবং গেমিংকে করবে আরও স্বাচ্ছন্দ্যদায়ক। তিনটি সংস্করণে ডিভাইসটি পাওয়া যাবে; যথা: ৪ জিবি র্যাম + ৬৪ জিবি রম, ৪ জিবি র্যাম + ১২৮ জিবি রম ও ৬ জিবি র্যাম + ১২৮ জিবি রম; থাকছে ১ টেরাবাইট পর্যন্ত মেমরি বাড়ানোর সুবিধা। ক্রেতারা ডিভাইসটির সাথে পাবেন চার বছরের সিকিউরিটি আপডেট ও দ্বিতীয় প্রজন্মের অপারেটিং সিস্টেম (ওএস) আপডেট।
গ্যালাক্সি এ০৬ স্মার্টফোনটিতে রয়েছে ফিঙ্গারপ্রিন্ট স্ক্যানার ও ইএএল৫+ সার্টিফায়েড নক্স ভল্ট, যা এ প্রাইস রেঞ্জের ফোনে এক দুর্দান্ত সংযোজন। ইএএল৫+ নিশ্চিত করবে উচ্চমানের সুরক্ষা। হার্ডওয়্যারসহ নিরাপত্তা লঙ্ঘন সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন পরিস্থিতিতে স্মার্টফোনটি পরীক্ষা এবং এর পারফরমেন্স পর্যালোচনা করা হয়েছে এবং এক্ষেত্রে সফলভাবে উত্তীর্ণ হয়েছে গ্যালাক্সি এ০৬।
বিষয়টি নিয়ে স্যামসাং ইলেকট্রনিকসের এমএক্স ডিভিশনের বাংলাদেশ ব্রাঞ্চের হেড অব প্রোডাক্ট অ্যান্ড মারকম সৈয়দ মো. বদরুল আরিফিন বলেন, “আমরা বিশ্বাস করি, সবার উদ্ভাবনের সুবিধা উপভোগের সুযোগ থাকা উচিত। সেজন্য আমরা শক্তিশালী পারফরমেন্স, দুর্দান্ত ক্যামেরা, স্টাইলিশ ডিজাইন, শক্তিশালী ব্যাটারি ও আকর্ষণীয় ডিসপ্লের সমন্বয়ে গ্যালাক্সি এ০৬ নিয়ে এসেছি। আকর্ষণীয় রঙে এই স্মার্টফোন বাংলাদেশি ক্রেতাদের জন্য উন্মোচন করতে পেরে আমরা আনন্দিত। আমরা মনে করি, স্মার্টফোনটি তাদের ব্যক্তিত্ব এবং লাইফস্টাইলের সঙ্গে চমৎকারভাবে মানিয়ে যাবে।”
স্যামসাং আউটলেট থেকে আগ্রহী ক্রেতারা গ্যালাক্সি এ০৬ কিনতে পারবেন ১৩,৯৯৯ টাকায়।
খবর সংবাদ বিজ্ঞপ্তির।
>>>>>>>>>>>>>>
ডেঙ্গু প্রতিরোধ করবেন যেভাবে
মশা বাহিত একপ্রকার ভাইরাস জ্বর হলো ডেঙ্গু। এই জ্বর অন্যান্য ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়াজনিত জ্বর থেকে ভিন্ন। অবশ্য এই জ্বর কোনোভাবেই ছোঁয়াচে নয়। এই ভাইরাস জ্বর এককভাবে বা অন্যান্য ভাইরাস (চিকুনগুনিয়া, ইয়েলো ফিভার, বার্মা ফরেস্ট, ফ্লু, রেসপাইরেটরি সিনসাইটিয়াল) এবং ব্যাকটেরিয়া (নিউমোক্কাস)-এর সঙ্গেও হতে পারে।
লক্ষণ ও জ্বরের তীব্রতার ওপর নির্ভর করে ডেঙ্গুজ্বরকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে।
১. সাধারণ ডেঙ্গুজ্বর
২. রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বর।
সাধারণ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে চোখে পড়ে মূলত নিচের এই লক্ষণগুলো-
১. হঠাৎ করে তীব্র জ্বর ও তা ২ থেকে ৭ দিন স্থায়ী হওয়া।
২. তীব্র মাথাব্যথা হওয়া।
৩. চোখের পেছনের অংশে ব্যথা হওয়া।
৪. জ্বরের সঙ্গে সঙ্গে সারা শরীরে লালচে ফুসকুড়ি চোখে পড়া।
৫. সম্পূর্ণ শরীরে তীব্র ব্যথা ও সেইসঙ্গে কোমরে ব্যথা।
৬. বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া।
৭. ত্বকে র্যাশ বা লাল দানা দানা দেখা দেওয়া।
রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে :
১. ২ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তীব্র জ্বর সঙ্গে নাক, মুখ বা বমির সঙ্গে রক্ত যাওয়া।
২. জ্বরের পাশাপাশি বুকে বা পেটে পানি জমে যাওয়া।
এইসব লক্ষণের যে কোনো একটি লক্ষণ দেখা দিলেই দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।
অপরদিকে
জ্বরের প্রথম ৩ দিন বাড়িতে অপেক্ষা করুন। অপরদিকে সারা শরীর পানি দিয়ে স্পঞ্জ করুন কিছুক্ষণ পরপর। এতে করে জ্বরের মাত্রা কমে আসবে। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান ও বিশ্রাম নিতে হবে। এরপরেও জ্বর না কমলে বা কিছু সময় পরপর বাড়তে থাকলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন।
ডেঙ্গু প্রতিরোধে করণীয় বিষয়:
১. বাড়ির আশপাশ যতোটা সম্ভব পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে চেষ্টা করুন।
২. ঘরের ভেতরে থাকা ফুলের টব বা ভাঙা প্লাস্টিকের বোতল, ডাবের খোসা, টায়ার অথবা পলিথিন থাকলে তা দ্রুত পরিষ্কার করে ফেলুন ও ফুলের টব থেকে জমে থাকা পানি নিষ্কাশন করুন।
৩. মশা নিধনের জন্য সপ্তাহে অন্তত ৩ বার স্প্রে বা ফগিং করুন।
৪. বাড়ির বাইরে যাওয়ার সময় মশা নিধনে ব্যবহৃত ক্রিম সঙ্গে রাখতে পারেন।
৫. সন্ধ্যার পর বাড়ির ছোট থেকে বড় সদস্যরা মশারি ব্যবহার করুন।
৬. যেখানে-সেখানে জমে থাকা বৃষ্টির পানি পরিষ্কার করে ফেলুন, কারণ এতে এডিস মশা ডিম পেড়ে থাকে এই সময়।
৭. অপরদিকে মশার প্রকোপ থেকে বাঁচতে মশারির সঙ্গে সঙ্গে ম্যাট ব্যবহার করতে পারেন।
৮. এডিস মশা যেহেতু দিনের বেলা কামড়ায় তাই দিনের বেলায় ঘুমানোর সময় অবশ্যই মশারি টানিয়ে ঘুমানোর দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। সূত্র: https://dmpnews.org