দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ দক্ষিণ কোরিয়ার রাজধানী সোলের গ্যাংনাম স্টেশনের কাছে একটি বহুতলের পাঁচিল ধরে ঝুলে ছিলেন জনৈকা তরুণী। লাফ দেওয়ার ঠিক আগের মুহূর্তেই এক তরুণ এসে অসামান্য ক্ষিপ্রতার গতিতে তরুণীর একটি হাত এবং চুল ধরে নেন।
২০তলা বহুতলের উপর থেকে ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যা করার চেষ্টা করছিলেন ওই তরুণী। দেখতে পেয়ে কোনও রকমে চুল ধরে টেনে তুললেন ওই তরুণ। আকাশচুম্বী একটি ভবনের ছাদের পাঁচিল ধরে ঝুলছিলেন ওই তরুণী। তিনি সেখান থেকে লাফ দিয়ে নীচে ঝাঁপিয়ে পড়ার চেষ্টা করছিলেন। লাফ দেওয়ার চেষ্টা করার সঙ্গে সঙ্গেই এক তরুণ ছুটে এসে তরুণীর চুল ধরে তাকে আটকে রাখেন। সেই ভয়াবহ দৃশ্যের একটি ভিডিও ছড়িয়ে পড়েছে নেটমাধ্যমে। ভাইরাল হয়েছে ওই ভিডিওটি।
সংবাদ মাধ্যমের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, ওই ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ কোরিয়ার রাজধানী সোলে। গ্যাংনাম স্টেশনের কাছে একটি বহুতল ভবনের পাঁচিল ধরে ঝুলে ছিলেন তরুণী। লাফ দেওয়ার ঠিক আগ মুহূর্তেই এক তরুণ এসে অসামান্য ক্ষিপ্রতার গতিতে তরুণীর একটি হাত এবং চুল ধরে নেন। যে কারণে প্রাণরক্ষা হয় তরুণীর। যদিও তাকে ধরে ফেলার সময় তরুণী হাত-পা নাড়িয়ে নিজেকে মুক্ত করার চেষ্টাও করেন। তা সত্ত্বেও উদ্ধারকারী তরুণ শক্ত করে তরুণীর চুল এবং হাত ধরে রাখেন। তরুণকে সাহায্য করতে ওই সময় আরও দুইজন ছুটে আসেন ছাদে। দু’জনে মিলে তরুণীকে টেনে-হিচড়ে তুলে আনেন নিরাপদে।
এমন একটি ঘটনা দেখে প্রত্যক্ষদর্শীরা হতবাক হন। একইভাবে নেটমাধ্যমেও ভিডিওটি দেখে শিউরে উঠেছেন অনেকেই। উদ্ধারকারী ব্যক্তির সাহসের প্রশংসাও করেছেন অনেক নেটিজেন। তথ্যসূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা অনলাইন।
এক্স এর ভিডিওটি দেখতে এই লিংকে ক্লিক করুন
>>>>>>>>>>>>>>
ডেঙ্গু প্রতিরোধ করবেন যেভাবে
মশা বাহিত একপ্রকার ভাইরাস জ্বর হলো ডেঙ্গু। এই জ্বর অন্যান্য ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়াজনিত জ্বর থেকে ভিন্ন। অবশ্য এই জ্বর কোনোভাবেই ছোঁয়াচে নয়। এই ভাইরাস জ্বর এককভাবে বা অন্যান্য ভাইরাস (চিকুনগুনিয়া, ইয়েলো ফিভার, বার্মা ফরেস্ট, ফ্লু, রেসপাইরেটরি সিনসাইটিয়াল) এবং ব্যাকটেরিয়া (নিউমোক্কাস)-এর সঙ্গেও হতে পারে।
লক্ষণ ও জ্বরের তীব্রতার ওপর নির্ভর করে ডেঙ্গুজ্বরকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে।
১. সাধারণ ডেঙ্গুজ্বর
২. রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বর।
সাধারণ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে চোখে পড়ে মূলত নিচের এই লক্ষণগুলো-
১. হঠাৎ করে তীব্র জ্বর ও তা ২ থেকে ৭ দিন স্থায়ী হওয়া।
২. তীব্র মাথাব্যথা হওয়া।
৩. চোখের পেছনের অংশে ব্যথা হওয়া।
৪. জ্বরের সঙ্গে সঙ্গে সারা শরীরে লালচে ফুসকুড়ি চোখে পড়া।
৫. সম্পূর্ণ শরীরে তীব্র ব্যথা ও সেইসঙ্গে কোমরে ব্যথা।
৬. বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া।
৭. ত্বকে র্যাশ বা লাল দানা দানা দেখা দেওয়া।
রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে :
১. ২ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তীব্র জ্বর সঙ্গে নাক, মুখ বা বমির সঙ্গে রক্ত যাওয়া।
২. জ্বরের পাশাপাশি বুকে বা পেটে পানি জমে যাওয়া।
এইসব লক্ষণের যে কোনো একটি লক্ষণ দেখা দিলেই দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।
অপরদিকে
জ্বরের প্রথম ৩ দিন বাড়িতে অপেক্ষা করুন। অপরদিকে সারা শরীর পানি দিয়ে স্পঞ্জ করুন কিছুক্ষণ পরপর। এতে করে জ্বরের মাত্রা কমে আসবে। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান ও বিশ্রাম নিতে হবে। এরপরেও জ্বর না কমলে বা কিছু সময় পরপর বাড়তে থাকলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন।
ডেঙ্গু প্রতিরোধে করণীয় বিষয়:
১. বাড়ির আশপাশ যতোটা সম্ভব পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে চেষ্টা করুন।
২. ঘরের ভেতরে থাকা ফুলের টব বা ভাঙা প্লাস্টিকের বোতল, ডাবের খোসা, টায়ার অথবা পলিথিন থাকলে তা দ্রুত পরিষ্কার করে ফেলুন ও ফুলের টব থেকে জমে থাকা পানি নিষ্কাশন করুন।
৩. মশা নিধনের জন্য সপ্তাহে অন্তত ৩ বার স্প্রে বা ফগিং করুন।
৪. বাড়ির বাইরে যাওয়ার সময় মশা নিধনে ব্যবহৃত ক্রিম সঙ্গে রাখতে পারেন।
৫. সন্ধ্যার পর বাড়ির ছোট থেকে বড় সদস্যরা মশারি ব্যবহার করুন।
৬. যেখানে-সেখানে জমে থাকা বৃষ্টির পানি পরিষ্কার করে ফেলুন, কারণ এতে এডিস মশা ডিম পেড়ে থাকে এই সময়।
৭. অপরদিকে মশার প্রকোপ থেকে বাঁচতে মশারির সঙ্গে সঙ্গে ম্যাট ব্যবহার করতে পারেন।
৮. এডিস মশা যেহেতু দিনের বেলা কামড়ায় তাই দিনের বেলায় ঘুমানোর সময় অবশ্যই মশারি টানিয়ে ঘুমানোর দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। সূত্র: https://dmpnews.org