দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ ভূমধ্যসাগরে অবস্থিত দক্ষিণ ইউরোপের দ্বীপ দেশ মাল্টা এবার ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে। দেশটির প্রধানমন্ত্রী রবার্ট অ্যাবেলা একথা ঘোষণা দিয়েছেন।

রবার্ট অ্যাবেলা বলেছেন, আগামী মাসে ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে আনুষ্ঠানিকভাবে স্বীকৃতি দেবে তার দেশ। গতকাল রবিবার (২৫ মে) রাতে এক প্রতিবেদনে এই তথ্য দিয়েছে বার্তাসংস্থা আনাদোলু।
রবিবার এক রাজনৈতিক অনুষ্ঠানে দেওয়া বক্তব্যে অ্যাবেলা স্থানীয় এবং আন্তর্জাতিক বিভিন্ন বিষয় নিয়ে কথা বলেন, যার মধ্যে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিয়েছেন গাজায় চলমান মানবিক সংকটের ওপর।
মাল্টা টুডে পত্রিকার বরাতে জানা যায় যে, গাজায় ইসরায়েলের লাগাতার বোমাবর্ষণের সম্পর্কে প্রধানমন্ত্রী অ্যাবেলা বলেন, ‘এই মানবিক ট্র্যাজেডির দিকে আমরা চোখ বন্ধ করে রাখতে পারি না, যা প্রতিদিনই আরও ভয়াবহ হয়ে উঠছে।’
তিনি আরও বলেন, ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দেওয়া মাল্টার নৈতিক দায়িত্ব ও আগামী ২০ জুন এক আন্তর্জাতিক সম্মেলনের পরই এই স্বীকৃতি কার্যকর হবে।
প্রধানমন্ত্রী অ্যাবেলা আরও বলেন, তিনি বিশেষভাবে মর্মাহত হয়েছেন ওই ভয়াবহ ঘটনায়, যেখানে গাজার দক্ষিণের খান ইউনূস শহরে ইসরায়েলি বাহিনীর হামলায় ফিলিস্তিনের শিশু চিকিৎসক ডা. আলা আল-নাজ্জারের ৯ সন্তান নিহত হন। হামলায় ডাক্তারের স্বামীও গুরুতর আহত হন ও এখন একমাত্র জীবিত সন্তান মা-বাবা, ভাইবোন হারিয়ে শোক বয়ে বেড়াচ্ছেন।
প্রধানমন্ত্রী অ্যাবেলা জানিয়েছেন, মাল্টা সরকার ডা. আলা আল-নাজ্জার এবং তার পরিবারকে স্বাগত জানাতে প্রস্তুত।
>>>>>>>>>>>>>>
ডেঙ্গু প্রতিরোধ করবেন যেভাবে
মশা বাহিত একপ্রকার ভাইরাস জ্বর হলো ডেঙ্গু। এই জ্বর অন্যান্য ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়াজনিত জ্বর থেকে ভিন্ন। অবশ্য এই জ্বর কোনোভাবেই ছোঁয়াচে নয়। এই ভাইরাস জ্বর এককভাবে বা অন্যান্য ভাইরাস (চিকুনগুনিয়া, ইয়েলো ফিভার, বার্মা ফরেস্ট, ফ্লু, রেসপাইরেটরি সিনসাইটিয়াল) এবং ব্যাকটেরিয়া (নিউমোক্কাস)-এর সঙ্গেও হতে পারে।
লক্ষণ ও জ্বরের তীব্রতার ওপর নির্ভর করে ডেঙ্গুজ্বরকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে।
১. সাধারণ ডেঙ্গুজ্বর
২. রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বর।
সাধারণ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে চোখে পড়ে মূলত নিচের এই লক্ষণগুলো-
১. হঠাৎ করে তীব্র জ্বর ও তা ২ থেকে ৭ দিন স্থায়ী হওয়া।
২. তীব্র মাথাব্যথা হওয়া।
৩. চোখের পেছনের অংশে ব্যথা হওয়া।
৪. জ্বরের সঙ্গে সঙ্গে সারা শরীরে লালচে ফুসকুড়ি চোখে পড়া।
৫. সম্পূর্ণ শরীরে তীব্র ব্যথা ও সেইসঙ্গে কোমরে ব্যথা।
৬. বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া।
৭. ত্বকে র্যাশ বা লাল দানা দানা দেখা দেওয়া।
রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে :
১. ২ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তীব্র জ্বর সঙ্গে নাক, মুখ বা বমির সঙ্গে রক্ত যাওয়া।
২. জ্বরের পাশাপাশি বুকে বা পেটে পানি জমে যাওয়া।
এইসব লক্ষণের যে কোনো একটি লক্ষণ দেখা দিলেই দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।
অপরদিকে
জ্বরের প্রথম ৩ দিন বাড়িতে অপেক্ষা করুন। অপরদিকে সারা শরীর পানি দিয়ে স্পঞ্জ করুন কিছুক্ষণ পরপর। এতে করে জ্বরের মাত্রা কমে আসবে। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান ও বিশ্রাম নিতে হবে। এরপরেও জ্বর না কমলে বা কিছু সময় পরপর বাড়তে থাকলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন।
ডেঙ্গু প্রতিরোধে করণীয় বিষয়:
১. বাড়ির আশপাশ যতোটা সম্ভব পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে চেষ্টা করুন।
২. ঘরের ভেতরে থাকা ফুলের টব বা ভাঙা প্লাস্টিকের বোতল, ডাবের খোসা, টায়ার অথবা পলিথিন থাকলে তা দ্রুত পরিষ্কার করে ফেলুন ও ফুলের টব থেকে জমে থাকা পানি নিষ্কাশন করুন।
৩. মশা নিধনের জন্য সপ্তাহে অন্তত ৩ বার স্প্রে বা ফগিং করুন।
৪. বাড়ির বাইরে যাওয়ার সময় মশা নিধনে ব্যবহৃত ক্রিম সঙ্গে রাখতে পারেন।
৫. সন্ধ্যার পর বাড়ির ছোট থেকে বড় সদস্যরা মশারি ব্যবহার করুন।
৬. যেখানে-সেখানে জমে থাকা বৃষ্টির পানি পরিষ্কার করে ফেলুন, কারণ এতে এডিস মশা ডিম পেড়ে থাকে এই সময়।
৭. অপরদিকে মশার প্রকোপ থেকে বাঁচতে মশারির সঙ্গে সঙ্গে ম্যাট ব্যবহার করতে পারেন।
৮. এডিস মশা যেহেতু দিনের বেলা কামড়ায় তাই দিনের বেলায় ঘুমানোর সময় অবশ্যই মশারি টানিয়ে ঘুমানোর দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। সূত্র: https://dmpnews.org