দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ দিনের শুরুটা যদি ভালোভাবে এবং স্বাস্থ্যকর উপায়ে হয়, সারাদিনটাই আপনি ফুরফুরে মেজাজে কাটাতে পারবেন। তাই অনেকেই দিন শুরু করেন ঈষদুষ্ণ লেবু পানি কিংবা আদা দিয়ে চা খেয়ে।

আপনি দিনের শুরুটা বিট-আদা এবং লেবুর রস খেয়ে শুরু করতে পারেন। সাধারণ লেবুর পানি কিংবা আদা চায়ের চেয়ে অনেক বেশি কার্যকর বিটরুট, আদা এবং লেবুর রস।
কাজ করার এনার্জি জোগাবে
বিটরুট দেহে রক্ত সঞ্চালন আরও বৃদ্ধি করে। যে কারণে শরীরের প্রতিটি অংশে অক্সিজেন ছড়িয়ে পড়ে। এতে করে আপনি কাজ করার এনার্জিও পাবেন। অপরদিকে আদা মেটাবলিজম এবং হজমেও সহায়তা করে। এতে ভারি অনুভব করেন না ও সব কাজ এনার্জির সঙ্গেই করতে পারেন। লেবুর রসে ভিটামিন সি থাকে, যা বিটের রস হতে আয়রণ শোষণে ও শরীরে জমে থাকা টক্সিন দূর করতেও সাহায্য করে। সব মিলিয়ে দিনের শুরুটা হয় পুরোপুরি স্বাস্থ্যকরভাবে।
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়বে
প্রতিদিন বিটরুট, আদা এবং লেবুর রস খেলে সংক্রমণ আপনার ধারে কাছেও ঘেঁষতে পারবে না। আসলে এই পানীয়তে ভিটামিন সি, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি রয়েছে। এগুলো সর্দি-কাশি, জ্বর, ব্যথা-যন্ত্রণা, প্রদাহ হতে শরীরকে সুরক্ষিত রাখে। রোগে ভুগতে না চাইলে দিন শুরু করুন এই হেলদি পানীয় খেয়েই।
ত্বকের জেল্লা বাড়িয়ে তোলে
বিটরুট, আদা এবং লেবুর রস- এই তিনটি উপাদানই পুষ্টিতে ভরপুর। এই পানীয়ের মধ্যে পাবেন আয়রণ, ভিটামিন সি, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সবই। এই প্রতিটি উপাদানই ত্বকের দেখভালে সাহায্য করে থাকে। ব্রণ, দাগছোপও কমায়। ত্বকে কোলাজেন গঠনে সাহায্যও করে। চামড়াকেও রাখে টানটান। র্যাশ, চুলকানির হাত হতে রক্ষা করে। খালি পেটে এই পানীয় খেলে ত্বকের উপরে এর প্রভাব সবার আগে দেখতে পাবেন। আর তখন ত্বক অনেক বেশি উজ্জ্বল দেখাবে।
বিটরুট, আদা ও লেবুর রস কীভাবে বানাবেন
দু’টুকরো বিটরুট, এরপর এক টুকরো আদা নিন। অল্প পানি দিয়ে বিটরুট এবং আদা ব্লেন্ডারে বেন্ড করে নিন। জুসটা ছেঁকেও নিতে পারেন। এতে লেবুর রস মিশিয়ে খেয়ে নিন। তথ্যসূত্র: এই সময়।
>>>>>>>>>>>>>>
ডেঙ্গু প্রতিরোধ করবেন যেভাবে
মশা বাহিত একপ্রকার ভাইরাস জ্বর হলো ডেঙ্গু। এই জ্বর অন্যান্য ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়াজনিত জ্বর থেকে ভিন্ন। অবশ্য এই জ্বর কোনোভাবেই ছোঁয়াচে নয়। এই ভাইরাস জ্বর এককভাবে বা অন্যান্য ভাইরাস (চিকুনগুনিয়া, ইয়েলো ফিভার, বার্মা ফরেস্ট, ফ্লু, রেসপাইরেটরি সিনসাইটিয়াল) এবং ব্যাকটেরিয়া (নিউমোক্কাস)-এর সঙ্গেও হতে পারে।
লক্ষণ ও জ্বরের তীব্রতার ওপর নির্ভর করে ডেঙ্গুজ্বরকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে।
১. সাধারণ ডেঙ্গুজ্বর
২. রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বর।
সাধারণ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে চোখে পড়ে মূলত নিচের এই লক্ষণগুলো-
১. হঠাৎ করে তীব্র জ্বর ও তা ২ থেকে ৭ দিন স্থায়ী হওয়া।
২. তীব্র মাথাব্যথা হওয়া।
৩. চোখের পেছনের অংশে ব্যথা হওয়া।
৪. জ্বরের সঙ্গে সঙ্গে সারা শরীরে লালচে ফুসকুড়ি চোখে পড়া।
৫. সম্পূর্ণ শরীরে তীব্র ব্যথা ও সেইসঙ্গে কোমরে ব্যথা।
৬. বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া।
৭. ত্বকে র্যাশ বা লাল দানা দানা দেখা দেওয়া।
রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে :
১. ২ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তীব্র জ্বর সঙ্গে নাক, মুখ বা বমির সঙ্গে রক্ত যাওয়া।
২. জ্বরের পাশাপাশি বুকে বা পেটে পানি জমে যাওয়া।
এইসব লক্ষণের যে কোনো একটি লক্ষণ দেখা দিলেই দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।
অপরদিকে
জ্বরের প্রথম ৩ দিন বাড়িতে অপেক্ষা করুন। অপরদিকে সারা শরীর পানি দিয়ে স্পঞ্জ করুন কিছুক্ষণ পরপর। এতে করে জ্বরের মাত্রা কমে আসবে। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান ও বিশ্রাম নিতে হবে। এরপরেও জ্বর না কমলে বা কিছু সময় পরপর বাড়তে থাকলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন।
ডেঙ্গু প্রতিরোধে করণীয় বিষয়:
১. বাড়ির আশপাশ যতোটা সম্ভব পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে চেষ্টা করুন।
২. ঘরের ভেতরে থাকা ফুলের টব বা ভাঙা প্লাস্টিকের বোতল, ডাবের খোসা, টায়ার অথবা পলিথিন থাকলে তা দ্রুত পরিষ্কার করে ফেলুন ও ফুলের টব থেকে জমে থাকা পানি নিষ্কাশন করুন।
৩. মশা নিধনের জন্য সপ্তাহে অন্তত ৩ বার স্প্রে বা ফগিং করুন।
৪. বাড়ির বাইরে যাওয়ার সময় মশা নিধনে ব্যবহৃত ক্রিম সঙ্গে রাখতে পারেন।
৫. সন্ধ্যার পর বাড়ির ছোট থেকে বড় সদস্যরা মশারি ব্যবহার করুন।
৬. যেখানে-সেখানে জমে থাকা বৃষ্টির পানি পরিষ্কার করে ফেলুন, কারণ এতে এডিস মশা ডিম পেড়ে থাকে এই সময়।
৭. অপরদিকে মশার প্রকোপ থেকে বাঁচতে মশারির সঙ্গে সঙ্গে ম্যাট ব্যবহার করতে পারেন।
৮. এডিস মশা যেহেতু দিনের বেলা কামড়ায় তাই দিনের বেলায় ঘুমানোর সময় অবশ্যই মশারি টানিয়ে ঘুমানোর দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। সূত্র: https://dmpnews.org