দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ খাবার যতো বেশি পুষ্টিকর, স্বাস্থ্যের জন্য ততোই কিন্তু ভালো। তবে যখন তখন পুষ্টিকর খাবার খাওয়া কী আদতেও ঠিক? পুষ্টিকর হলেও সব খাবার সব সময় খাওয়া মোটেও উচিত নয়।

নিউট্রিশনিস্ট সাক্ষী লালওয়ানি জানিয়েছেন, স্বাস্থ্যের জন্য আপনি কোন খাবার কখন খাচ্ছেন, সেটির উপর জোর দেওয়া ভীষণ জরুরি। তিনি কয়েকটি পুষ্টিকর খাবারের কথা উল্লেখ করেছেন, যা ডিনারে মোটেও খাওয়া উচিত নয়।
ডিনারে যে স্বাস্থ্যকর খাবার এড়িয়ে চলবেন
পালংশাক
এই শাকের মধ্যে উচ্চ পরিমাণে ফাইবার ও আয়রণ বিদ্যমান। রাতে এই খাবার হজম করাও কঠিন। ডিনারে পালংশাক খেলে গ্যাসের সমস্যাও হতে পারে।
ফল ও ফলের রস
আমরা সবাই জানি ফল অত্যন্ত স্বাস্থ্যকর খাবার। ফলের মধ্যে যেসব পুষ্টি পাওয়া যায়, সেগুলো অন্য খাবারে চট করে পাওয়া যায় না। তবে ফলের মধ্যে প্রাকৃতিক শর্করার পরিমাণ বেশি থাকে। রাতে ফল খেলে গ্যাসের সমস্যাও হতে পারে ও ঘুমের সমস্যাও দেখা দিতে পারে। একইভাবে, ফলের রস রাতে এড়িয়ে যাওয়া উচিত।
কাঁচা শসা ও বিটরুট
এই দুটি খাবার রাতে না খাওয়াই ভালো। এতে হজমের সমস্যাও দেখা দিতে পারে। এ ছাড়াও এই দুই সব্জিতে পানির পরিমাণ বেশি থাকে। তাই রাতে প্রস্রাবের জন্যও বার বার ঘুম ভেঙে যেতে পারে।
অঙ্কুরিত ছোলা
রাতের ডিনারে অঙ্কুরিত ছোলা, মুগ কলাই ইত্যাদি এড়িয়ে চলায় ভালো। এই খাবার রাতে খেলে গ্যাস, পেট ফাঁপার মতো সমস্যাও হতে পারে।
টক দই
দিনের যে কোনও সময়ই টক দই খাওয়া যায়। তবে আপনার যদি গ্যাসের সমস্যা থাকে বা ঠাণ্ডা লাগার ধাতও থাকে, তাহলে ডিনারে টক দই এড়িয়ে যাওয়া ভালো।
রাতের ডিনারে কী ধরনের খাবার রাখবেন?
পুষ্টিবিদদের মনে করেন, ডিনারে সব সময় হালকা এবং সহজপাচ্য খাবার রাখা উচিত। প্রথমত: যতো তাড়াতাড়ি সম্ভব সন্ধ্যার মধ্যেই ডিনার সেরে ফেলা উচিত। সেইসঙ্গে ডিনারে হালকা খাবার রাখুন, যাতে করে হজমজনিত কোনও সমস্যা না হয়। রাতে হজমের গণ্ডগোল হলে ঘুমের ব্যাঘাতও ঘটতে পারে। তথ্যসূত্র: এই সময়।
>>>>>>>>>>>>>>
ডেঙ্গু প্রতিরোধ করবেন যেভাবে
মশা বাহিত একপ্রকার ভাইরাস জ্বর হলো ডেঙ্গু। এই জ্বর অন্যান্য ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়াজনিত জ্বর থেকে ভিন্ন। অবশ্য এই জ্বর কোনোভাবেই ছোঁয়াচে নয়। এই ভাইরাস জ্বর এককভাবে বা অন্যান্য ভাইরাস (চিকুনগুনিয়া, ইয়েলো ফিভার, বার্মা ফরেস্ট, ফ্লু, রেসপাইরেটরি সিনসাইটিয়াল) এবং ব্যাকটেরিয়া (নিউমোক্কাস)-এর সঙ্গেও হতে পারে।
লক্ষণ ও জ্বরের তীব্রতার ওপর নির্ভর করে ডেঙ্গুজ্বরকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে।
১. সাধারণ ডেঙ্গুজ্বর
২. রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বর।
সাধারণ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে চোখে পড়ে মূলত নিচের এই লক্ষণগুলো-
১. হঠাৎ করে তীব্র জ্বর ও তা ২ থেকে ৭ দিন স্থায়ী হওয়া।
২. তীব্র মাথাব্যথা হওয়া।
৩. চোখের পেছনের অংশে ব্যথা হওয়া।
৪. জ্বরের সঙ্গে সঙ্গে সারা শরীরে লালচে ফুসকুড়ি চোখে পড়া।
৫. সম্পূর্ণ শরীরে তীব্র ব্যথা ও সেইসঙ্গে কোমরে ব্যথা।
৬. বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া।
৭. ত্বকে র্যাশ বা লাল দানা দানা দেখা দেওয়া।
রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে :
১. ২ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তীব্র জ্বর সঙ্গে নাক, মুখ বা বমির সঙ্গে রক্ত যাওয়া।
২. জ্বরের পাশাপাশি বুকে বা পেটে পানি জমে যাওয়া।
এইসব লক্ষণের যে কোনো একটি লক্ষণ দেখা দিলেই দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।
অপরদিকে
জ্বরের প্রথম ৩ দিন বাড়িতে অপেক্ষা করুন। অপরদিকে সারা শরীর পানি দিয়ে স্পঞ্জ করুন কিছুক্ষণ পরপর। এতে করে জ্বরের মাত্রা কমে আসবে। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান ও বিশ্রাম নিতে হবে। এরপরেও জ্বর না কমলে বা কিছু সময় পরপর বাড়তে থাকলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন।
ডেঙ্গু প্রতিরোধে করণীয় বিষয়:
১. বাড়ির আশপাশ যতোটা সম্ভব পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে চেষ্টা করুন।
২. ঘরের ভেতরে থাকা ফুলের টব বা ভাঙা প্লাস্টিকের বোতল, ডাবের খোসা, টায়ার অথবা পলিথিন থাকলে তা দ্রুত পরিষ্কার করে ফেলুন ও ফুলের টব থেকে জমে থাকা পানি নিষ্কাশন করুন।
৩. মশা নিধনের জন্য সপ্তাহে অন্তত ৩ বার স্প্রে বা ফগিং করুন।
৪. বাড়ির বাইরে যাওয়ার সময় মশা নিধনে ব্যবহৃত ক্রিম সঙ্গে রাখতে পারেন।
৫. সন্ধ্যার পর বাড়ির ছোট থেকে বড় সদস্যরা মশারি ব্যবহার করুন।
৬. যেখানে-সেখানে জমে থাকা বৃষ্টির পানি পরিষ্কার করে ফেলুন, কারণ এতে এডিস মশা ডিম পেড়ে থাকে এই সময়।
৭. অপরদিকে মশার প্রকোপ থেকে বাঁচতে মশারির সঙ্গে সঙ্গে ম্যাট ব্যবহার করতে পারেন।
৮. এডিস মশা যেহেতু দিনের বেলা কামড়ায় তাই দিনের বেলায় ঘুমানোর সময় অবশ্যই মশারি টানিয়ে ঘুমানোর দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। সূত্র: https://dmpnews.org