দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ দেখা যাচ্ছে বয়স ৪৫ ছুঁই ছুঁই। তবে বয়স তার চেহারা, রূপকে যেনো ছুঁতেই পারেনি। আজও তিনি টেক্কা দেন নবাগতাদের। এমন অনেক নারী রয়েছেন যাদের এখনও যুবতীই মনে হয়। কিন্তু এটি কেনো সম্ভব হয়েছে? এর সমাধান হলো সঠিক সময়ে ডিনার করা।

সম্প্রতি এক ইন্টারভিউতে বলিউডের এক সময়ের সাড়া জাগানো নায়িকা করিনা তাঁর দৈনন্দিন জীবন নিয়ে কথা বলেছেন। নিজেকে ফিট রাখতে তিনি প্রতিদিন কী করেন, তাও শেয়ার করেছেন। দুই সন্তানের মা হওয়ার পরও বেশ পরিবর্তন এসেছে তার জীবনে।
করিনা জানিয়েছেন যে, তিনি সন্ধে ৬টার মধ্যে ডিনার সেরে ফেলেন। রাত ৯.৩০ মিনিটেই ঘুমোতে যান। শুধু তাই নয়, ভোর ভোর ঘুম থেকে উঠেই ওয়ার্কআউট করেন এই নায়িকা। করিনা আরও বলেন, ‘আমি যদি ওয়ার্কআউট না করি, আমার মন-মেজাজই ভালো থাকে না। পোস্ট-কোভিডে বিষয়টি আরও বেশি করে বুঝেছি, ফিটনেস কতোটা জরুরি- বিশেষ করে সুস্থ জীবনের জন্য। এটি আমার মুড স্টেবিলাইজ়ার।’ এ ছাড়াও খাওয়া-দাওয়া নিয়েও অনেক সচেতন করিনা। নায়িকা পিৎজ়া খেতে ভালোবাসলেও খিচুড়ি ছাড়া এক দিনও তার চলে না। খিচুড়ি পুষ্টিকর এবং সহজপাচ্য একটি খাবার।
তাড়াতাড়ি ডিনার করলে এবং ঘুমোলে কী লাভ হয়?
ভারতের ন্যাশানাল ইনস্টিটিউট অফ হেলথ-এর মতে, দেরি করে কিংবা অনেক রাতে ডিনার সারলে বিভিন্ন ধরনের মেটাবলিক ডিসঅর্ডারও দেখা দেয়। ব্রেকফাস্ট হোক কিংবা ডিনার, সময় মতো তাড়াতাড়ি খাবার খেলে রক্তে শর্করার মাত্রা স্বাভাবিক থাকে ও রোগের ঝুঁকিও কমে যায়।
অপরদিকে, ঘড়ি ধরে ঘুমোতে যাওয়া ও সঠিক সময় ঘুম থেকে ওঠাও স্বাস্থ্যের জন্য বিশেষভাবে জরুরি। এতে শরীরের জৈবিক ঘড়ির কোনও ছন্দপতনও হয় না ও মানসিক এবং শারীরিক স্বাস্থ্যও ভালো থাকে। তথ্যসূত্র: এই সময়।
>>>>>>>>>>>>>>
ডেঙ্গু প্রতিরোধ করবেন যেভাবে
মশা বাহিত একপ্রকার ভাইরাস জ্বর হলো ডেঙ্গু। এই জ্বর অন্যান্য ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়াজনিত জ্বর থেকে ভিন্ন। অবশ্য এই জ্বর কোনোভাবেই ছোঁয়াচে নয়। এই ভাইরাস জ্বর এককভাবে বা অন্যান্য ভাইরাস (চিকুনগুনিয়া, ইয়েলো ফিভার, বার্মা ফরেস্ট, ফ্লু, রেসপাইরেটরি সিনসাইটিয়াল) এবং ব্যাকটেরিয়া (নিউমোক্কাস)-এর সঙ্গেও হতে পারে।
লক্ষণ ও জ্বরের তীব্রতার ওপর নির্ভর করে ডেঙ্গুজ্বরকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে।
১. সাধারণ ডেঙ্গুজ্বর
২. রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বর।
সাধারণ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে চোখে পড়ে মূলত নিচের এই লক্ষণগুলো-
১. হঠাৎ করে তীব্র জ্বর ও তা ২ থেকে ৭ দিন স্থায়ী হওয়া।
২. তীব্র মাথাব্যথা হওয়া।
৩. চোখের পেছনের অংশে ব্যথা হওয়া।
৪. জ্বরের সঙ্গে সঙ্গে সারা শরীরে লালচে ফুসকুড়ি চোখে পড়া।
৫. সম্পূর্ণ শরীরে তীব্র ব্যথা ও সেইসঙ্গে কোমরে ব্যথা।
৬. বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া।
৭. ত্বকে র্যাশ বা লাল দানা দানা দেখা দেওয়া।
রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে :
১. ২ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তীব্র জ্বর সঙ্গে নাক, মুখ বা বমির সঙ্গে রক্ত যাওয়া।
২. জ্বরের পাশাপাশি বুকে বা পেটে পানি জমে যাওয়া।
এইসব লক্ষণের যে কোনো একটি লক্ষণ দেখা দিলেই দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।
অপরদিকে
জ্বরের প্রথম ৩ দিন বাড়িতে অপেক্ষা করুন। অপরদিকে সারা শরীর পানি দিয়ে স্পঞ্জ করুন কিছুক্ষণ পরপর। এতে করে জ্বরের মাত্রা কমে আসবে। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান ও বিশ্রাম নিতে হবে। এরপরেও জ্বর না কমলে বা কিছু সময় পরপর বাড়তে থাকলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন।
ডেঙ্গু প্রতিরোধে করণীয় বিষয়:
১. বাড়ির আশপাশ যতোটা সম্ভব পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে চেষ্টা করুন।
২. ঘরের ভেতরে থাকা ফুলের টব বা ভাঙা প্লাস্টিকের বোতল, ডাবের খোসা, টায়ার অথবা পলিথিন থাকলে তা দ্রুত পরিষ্কার করে ফেলুন ও ফুলের টব থেকে জমে থাকা পানি নিষ্কাশন করুন।
৩. মশা নিধনের জন্য সপ্তাহে অন্তত ৩ বার স্প্রে বা ফগিং করুন।
৪. বাড়ির বাইরে যাওয়ার সময় মশা নিধনে ব্যবহৃত ক্রিম সঙ্গে রাখতে পারেন।
৫. সন্ধ্যার পর বাড়ির ছোট থেকে বড় সদস্যরা মশারি ব্যবহার করুন।
৬. যেখানে-সেখানে জমে থাকা বৃষ্টির পানি পরিষ্কার করে ফেলুন, কারণ এতে এডিস মশা ডিম পেড়ে থাকে এই সময়।
৭. অপরদিকে মশার প্রকোপ থেকে বাঁচতে মশারির সঙ্গে সঙ্গে ম্যাট ব্যবহার করতে পারেন।
৮. এডিস মশা যেহেতু দিনের বেলা কামড়ায় তাই দিনের বেলায় ঘুমানোর সময় অবশ্যই মশারি টানিয়ে ঘুমানোর দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। সূত্র: https://dmpnews.org