দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ ছবি এবং লেখাকে স্বয়ংক্রিয়ভাবে ভিডিওতে রূপান্তর করতে সক্ষম কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) প্রযুক্তির নতুন একটি টুল চালু করেছে টিকটক।

ছোট আকারের ভিডিও খুব সহজেই তৈরি এবং বিনিময়ের সুযোগ থাকায় নিয়মিত টিকটকও ব্যবহার করেন অনেকেই। বিভিন্ন বিষয়ের ভিডিওর পাশাপাশি একাধিক ছবির সমন্বয়ে তৈরি স্লাইড শো বেশ জনপ্রিয় হয়েছে টিকটকে। তাই টিকটকে নিয়মিত বিজ্ঞাপন প্রদর্শনের মাধ্যমে নিজেদের পণ্য এবং সেবার প্রচারণা চালিয়ে থাকে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান। এবার সহজেই বিজ্ঞাপন তৈরির জন্য কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) প্রযুক্তির নতুন একটি টুল চালু করেছে টিকটক। ছবি এবং লেখাকে স্বয়ংক্রিয়ভাবে ভিডিওতে রূপান্তর করতে সক্ষম টুলটি কাজে লাগিয়ে বিজ্ঞাপনদাতারা খুব সহজেই নিজেদের চাহিদামতো ভিডিও বিজ্ঞাপন তৈরিও করতে পারবেন।
টিকটকের তথ্যমতে, নতুন টুলটি দিয়ে খুব সহজেই ছবি বা বার্তা লিখে বিজ্ঞাপনের ভিডিও ক্লিপও তৈরি করা যাবে। শুধু তাই নয়, বিজ্ঞাপনে থাকা এআইনির্ভর অ্যাভাটার বিভিন্ন পণ্য হাতে নিয়ে প্রদর্শনও করতে পারবে। পোশাক পরে দেখানোর পাশাপাশি স্মার্টফোনে কোনো অ্যাপ ব্যবহারের দৃশ্যও তুলে ধরতে পারবে অ্যাভাটার।
গত বছর বিজ্ঞাপনদাতাদের জন্য এআইনির্ভর ‘টিকটক সিম্ফনি’ টুল চালু করেছিলো চিকটক। টুলটিতে ভিডিওর স্ক্রিপ্ট লেখার সহায়ক ভার্চ্যুয়াল অ্যাসিস্ট্যান্ট, ভয়েস ডাবিং এবং জেনারেটিভ অ্যাভাটার তৈরির সুবিধা থাকলেও এবার ছবি এবং বার্তা থেকে ভিডিও তৈরির পাশাপাশি অ্যাভাটারের মাধ্যমে পণ্য উপস্থাপনার সুবিধাও পাওয়া যাবে। যে কারণে আগের তুলনায় খুব সহজেই টিকটকের জন্য ভালো মানের বিজ্ঞাপনও তৈরি করা যাবে। সিম্ফনি ক্রিয়েটিভ স্টুডিওর মাধ্যমে নতুন টুলটি শীঘ্রই বিশ্বজুড়ে বিজ্ঞাপনদাতাদের জন্য উন্মুক্তও করা হবে।
সাম্প্রতিক সময় বিশ্বজুড়ে বিজ্ঞাপন খাতে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা প্রযুক্তির ব্যবহার দিনকে দিন বাড়ছে। কম সময় এবং কম খরচে কনটেন্ট তৈরির সুবিধা থাকায় বিভিন্ন প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান এই প্রযুক্তিটি নিয়মিত ব্যবহার করছে। মেটা ইতিমধ্যেই বিজ্ঞাপন তৈরির প্রতিটি ধাপে এআই ব্যবহারের পরিকল্পনা করেছে ও ২০২৬ সালের মধ্যে সম্পূর্ণ স্বয়ংক্রিয় বিজ্ঞাপন নির্মাণের প্রক্রিয়াও চালু করার কথাও জানানো হয়েছে। তথ্যসূত্র : ম্যাশেবল।
>>>>>>>>>>>>>>
ডেঙ্গু প্রতিরোধ করবেন যেভাবে
মশা বাহিত একপ্রকার ভাইরাস জ্বর হলো ডেঙ্গু। এই জ্বর অন্যান্য ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়াজনিত জ্বর থেকে ভিন্ন। অবশ্য এই জ্বর কোনোভাবেই ছোঁয়াচে নয়। এই ভাইরাস জ্বর এককভাবে বা অন্যান্য ভাইরাস (চিকুনগুনিয়া, ইয়েলো ফিভার, বার্মা ফরেস্ট, ফ্লু, রেসপাইরেটরি সিনসাইটিয়াল) এবং ব্যাকটেরিয়া (নিউমোক্কাস)-এর সঙ্গেও হতে পারে।
লক্ষণ ও জ্বরের তীব্রতার ওপর নির্ভর করে ডেঙ্গুজ্বরকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে।
১. সাধারণ ডেঙ্গুজ্বর
২. রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বর।
সাধারণ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে চোখে পড়ে মূলত নিচের এই লক্ষণগুলো-
১. হঠাৎ করে তীব্র জ্বর ও তা ২ থেকে ৭ দিন স্থায়ী হওয়া।
২. তীব্র মাথাব্যথা হওয়া।
৩. চোখের পেছনের অংশে ব্যথা হওয়া।
৪. জ্বরের সঙ্গে সঙ্গে সারা শরীরে লালচে ফুসকুড়ি চোখে পড়া।
৫. সম্পূর্ণ শরীরে তীব্র ব্যথা ও সেইসঙ্গে কোমরে ব্যথা।
৬. বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া।
৭. ত্বকে র্যাশ বা লাল দানা দানা দেখা দেওয়া।
রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে :
১. ২ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তীব্র জ্বর সঙ্গে নাক, মুখ বা বমির সঙ্গে রক্ত যাওয়া।
২. জ্বরের পাশাপাশি বুকে বা পেটে পানি জমে যাওয়া।
এইসব লক্ষণের যে কোনো একটি লক্ষণ দেখা দিলেই দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।
অপরদিকে
জ্বরের প্রথম ৩ দিন বাড়িতে অপেক্ষা করুন। অপরদিকে সারা শরীর পানি দিয়ে স্পঞ্জ করুন কিছুক্ষণ পরপর। এতে করে জ্বরের মাত্রা কমে আসবে। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান ও বিশ্রাম নিতে হবে। এরপরেও জ্বর না কমলে বা কিছু সময় পরপর বাড়তে থাকলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন।
ডেঙ্গু প্রতিরোধে করণীয় বিষয়:
১. বাড়ির আশপাশ যতোটা সম্ভব পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে চেষ্টা করুন।
২. ঘরের ভেতরে থাকা ফুলের টব বা ভাঙা প্লাস্টিকের বোতল, ডাবের খোসা, টায়ার অথবা পলিথিন থাকলে তা দ্রুত পরিষ্কার করে ফেলুন ও ফুলের টব থেকে জমে থাকা পানি নিষ্কাশন করুন।
৩. মশা নিধনের জন্য সপ্তাহে অন্তত ৩ বার স্প্রে বা ফগিং করুন।
৪. বাড়ির বাইরে যাওয়ার সময় মশা নিধনে ব্যবহৃত ক্রিম সঙ্গে রাখতে পারেন।
৫. সন্ধ্যার পর বাড়ির ছোট থেকে বড় সদস্যরা মশারি ব্যবহার করুন।
৬. যেখানে-সেখানে জমে থাকা বৃষ্টির পানি পরিষ্কার করে ফেলুন, কারণ এতে এডিস মশা ডিম পেড়ে থাকে এই সময়।
৭. অপরদিকে মশার প্রকোপ থেকে বাঁচতে মশারির সঙ্গে সঙ্গে ম্যাট ব্যবহার করতে পারেন।
৮. এডিস মশা যেহেতু দিনের বেলা কামড়ায় তাই দিনের বেলায় ঘুমানোর সময় অবশ্যই মশারি টানিয়ে ঘুমানোর দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। সূত্র: https://dmpnews.org