দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ চীনে তৈরি জনপ্রিয় অ্যাপ- রেডনোট, উইবো, টিকটক, উইচ্যাট এবং বাইদু ক্লাউড ব্যবহারের মাধ্যমে ব্যবহারকারীদের ব্যক্তিগত তথ্য সরাসরি হুমকির মুখে পড়ছে বলে সতর্ক করেছে তাইওয়ানের জাতীয় নিরাপত্তা ব্যুরো (এনএসবি)।

সংস্থাটির দাবি হলো, এইসব অ্যাপ প্রয়োজনের চেয়ে অনেক বেশি তথ্য সংগ্রহ করছে ও সেটি চীনের সার্ভারে পাঠিয়ে দিচ্ছে, যা জাতীয় নিরাপত্তার জন্য অত্যন্ত উদ্বেগজনক।
এক বিবৃতিতে এনএসবি জানিয়েছে, চীনা এইসব অ্যাপ অনুমতির সীমা ছাড়িয়ে ব্যবহারকারীর ফোন হতে ব্যক্তিগত তথ্য, অবস্থান, ক্লিপবোর্ড, স্ক্রিনশট ও কন্টাক্ট তালিকা এমনকি ইনস্টল করা অন্যান্য অ্যাপের তথ্য পর্যন্তও সংগ্রহ করে থাকে। শুধু তাই নয়, এইসব তথ্য ব্যবহারকারীর অজান্তেই নিয়মিতভাবে চীনের সার্ভারে পাঠানো হচ্ছে।
এনএসবি আরও জানিয়েছে, নিরাপত্তা ঝুঁকি বিশ্লেষণে প্রতিটি অ্যাপকে ৫টি শ্রেণিতে ভাগ করে ১৫টি সূচকের ভিত্তিতেই মূল্যায়ন করা হয়েছে। যারমধ্যে রেডনোট সব ১৫টি সূচকে গোপনীয়তা লঙ্ঘনের প্রমাণও দিয়েছে। উইবো এবং টিকটক ১৩টি, উইচ্যাট ১০টি ও বাইদু ক্লাউড ৯টি সূচকে অনিয়ম করেছে বলে জানা যায়।
তাইওয়ানের নিরাপত্তা বিশ্লেষকরা মনে করেন, চীনা আইনের আওতায় এইসব কোম্পানিকে ব্যবহারকারীর তথ্য সরকারকে সরবরাহ করতে বাধ্য করা হচ্ছে। যে কারণে অ্যাপ ব্যবহারকারীদের তথ্য চীনা সরকারের নজরে চলে যাওয়ার আশঙ্কাও থেকেই যাচ্ছে।
তাইওয়ানের জাতীয় নিরাপত্তা ব্যুরো এনএসবির পক্ষ হতে তাইওয়ানের নাগরিকদের এইসব অ্যাপ ব্যবহারে সতর্কতা অবলম্বনের আহ্বান জানানো হয়। তথ্যসূত্র : দ্য হ্যাকার নিউজ
>>>>>>>>>>>>>>
ডেঙ্গু প্রতিরোধ করবেন যেভাবে
মশা বাহিত একপ্রকার ভাইরাস জ্বর হলো ডেঙ্গু। এই জ্বর অন্যান্য ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়াজনিত জ্বর থেকে ভিন্ন। অবশ্য এই জ্বর কোনোভাবেই ছোঁয়াচে নয়। এই ভাইরাস জ্বর এককভাবে বা অন্যান্য ভাইরাস (চিকুনগুনিয়া, ইয়েলো ফিভার, বার্মা ফরেস্ট, ফ্লু, রেসপাইরেটরি সিনসাইটিয়াল) এবং ব্যাকটেরিয়া (নিউমোক্কাস)-এর সঙ্গেও হতে পারে।
লক্ষণ ও জ্বরের তীব্রতার ওপর নির্ভর করে ডেঙ্গুজ্বরকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে।
১. সাধারণ ডেঙ্গুজ্বর
২. রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বর।
সাধারণ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে চোখে পড়ে মূলত নিচের এই লক্ষণগুলো-
১. হঠাৎ করে তীব্র জ্বর ও তা ২ থেকে ৭ দিন স্থায়ী হওয়া।
২. তীব্র মাথাব্যথা হওয়া।
৩. চোখের পেছনের অংশে ব্যথা হওয়া।
৪. জ্বরের সঙ্গে সঙ্গে সারা শরীরে লালচে ফুসকুড়ি চোখে পড়া।
৫. সম্পূর্ণ শরীরে তীব্র ব্যথা ও সেইসঙ্গে কোমরে ব্যথা।
৬. বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া।
৭. ত্বকে র্যাশ বা লাল দানা দানা দেখা দেওয়া।
রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে :
১. ২ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তীব্র জ্বর সঙ্গে নাক, মুখ বা বমির সঙ্গে রক্ত যাওয়া।
২. জ্বরের পাশাপাশি বুকে বা পেটে পানি জমে যাওয়া।
এইসব লক্ষণের যে কোনো একটি লক্ষণ দেখা দিলেই দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।
অপরদিকে
জ্বরের প্রথম ৩ দিন বাড়িতে অপেক্ষা করুন। অপরদিকে সারা শরীর পানি দিয়ে স্পঞ্জ করুন কিছুক্ষণ পরপর। এতে করে জ্বরের মাত্রা কমে আসবে। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান ও বিশ্রাম নিতে হবে। এরপরেও জ্বর না কমলে বা কিছু সময় পরপর বাড়তে থাকলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন।
ডেঙ্গু প্রতিরোধে করণীয় বিষয়:
১. বাড়ির আশপাশ যতোটা সম্ভব পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে চেষ্টা করুন।
২. ঘরের ভেতরে থাকা ফুলের টব বা ভাঙা প্লাস্টিকের বোতল, ডাবের খোসা, টায়ার অথবা পলিথিন থাকলে তা দ্রুত পরিষ্কার করে ফেলুন ও ফুলের টব থেকে জমে থাকা পানি নিষ্কাশন করুন।
৩. মশা নিধনের জন্য সপ্তাহে অন্তত ৩ বার স্প্রে বা ফগিং করুন।
৪. বাড়ির বাইরে যাওয়ার সময় মশা নিধনে ব্যবহৃত ক্রিম সঙ্গে রাখতে পারেন।
৫. সন্ধ্যার পর বাড়ির ছোট থেকে বড় সদস্যরা মশারি ব্যবহার করুন।
৬. যেখানে-সেখানে জমে থাকা বৃষ্টির পানি পরিষ্কার করে ফেলুন, কারণ এতে এডিস মশা ডিম পেড়ে থাকে এই সময়।
৭. অপরদিকে মশার প্রকোপ থেকে বাঁচতে মশারির সঙ্গে সঙ্গে ম্যাট ব্যবহার করতে পারেন।
৮. এডিস মশা যেহেতু দিনের বেলা কামড়ায় তাই দিনের বেলায় ঘুমানোর সময় অবশ্যই মশারি টানিয়ে ঘুমানোর দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। সূত্র: https://dmpnews.org