দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ আগেকার মানুষরা বলতেন, পেটের স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী ঝিঙে। তবে ঝিঙের উপকারিতা এখানেই কিন্তু সীমাবদ্ধ নয়। এই সব্জির গুণ শুনলে আপনি চমকে উঠবেন।
পুষ্টিকর সব্জি নিয়ে আলোচনা হলেই উঠে আসে ব্রকোলি, গাজর, বিনস, লাউয়ের মতো সব্জির কথা। কিন্তু চট করে মাথায় আসে না ঝিঙের নাম। অথচ এই গরমে কিন্তু ভরসা ঝিঙেই। পুষ্টির দিক দিয়ে এই সব্জিও কোনও অংশেই কম নয়। শুনে হয়তো অবাক হবেন, ঝিঙে খেয়েও ওজন কমানো সম্ভব। এমনকি রোগের ঝুঁকি কমাতেও ঝিঙের জুড়ি নেই। কী কী কারণে ঝিঙে খাবেন, সেটি আজ জেনে নিন।
চোখের জ্যোতি বাড়ায়
গাজরের মতোই ঝিঙেতেও পাওয়া যায় প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন এ কিংবা বিটা ক্যারোটিন। এই উপাদান দৃষ্টিশক্তি উন্নত করতেও সাহায্য করে। বয়স্কদের ক্ষেত্রে অপটিক্যাল স্নায়ুকে ভালো রাখে ও চোখের রক্তনালিকে ক্ষয় কিংবা আঘাতের হাত থেকেও রক্ষা করে।
রক্তাল্পতার ঝুঁকি কমায়
মহিলাদের স্বাস্থ্যের জন্যও ভীষণ উপকারী এই ঝিঙে। এই সব্জির মধ্যে রয়েছে আয়রণ, যা হিমোগ্লোবিনের মাত্রাও বৃদ্ধি করে। সেইসঙ্গে এতে ভিটামিন বি৬ রয়েছে, যা দেহে রক্ত সঞ্চালন আরও উন্নত করে। সব মিলিয়ে রক্তাল্পতার ঝুঁকি কমায় এই সব্জিটি। সেই কারণে মহিলাদের পাতে অবশ্যই ঝিঙে রাখতে হবে।
ঝিঙে ওজন বশে রাখে
ঝিঙের মধ্যে পানির পরিমাণ বেশি ও ক্যালোরি কম। এমনকি এই সব্জিতে ফাইবারও রয়েছে প্রচুর। এগুলো ওজন কমাতেও সাহায্য করে। শুধু ঝিঙের তরকারি খাওয়া যায় না, তারসঙ্গে অন্যান্য খাবারও থাকে, যার মধ্যে প্রোটিন, কার্বোহাইড্রেট ও ফ্যাটও থাকে। এইসব উপাদানকে ভাঙতে ও হজমে সহায়তা করে ঝিঙে। অপরদিকে রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে। সব মিলিয়ে ঝিঙে খেলে ওজন বাড়ার একেবারে ভয় নেই।
পেটের গণ্ডগোল থেকে মুক্তি দেবে
ঝিঙের মধ্যে প্রচুর পরিমাণে ডায়েটরি ফাইবারও রয়েছে ও এতে পানির পরিমাণও অনেক বেশি। তাই ঝিঙে খেলে কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যাবে। হজমে ও বাওয়েল মুভমেন্টে সাহায্য করে এই সব্জিটি।
লিভারের যত্ন নিতে
আজকাল কম বয়সিরাও ভুগছে ফ্যাটি লিভারের সমস্যায়। লিভারে ফ্যাট জমছে ও টক্সিন শরীর থেকে বের হচ্ছে না। এই সমস্যা থেকে মুক্তি পেতেও ঝিঙে খেতে পারেন। ঝিঙে ডিটক্সিফিকেশনেও সাহায্য করে। এটি বর্জ্য পদার্থ শোষণ করে ও তা শরীর থেকে বের করে দিয়ে লিভারকেও ভালো রাখে। জন্ডিস হলে ঝিঙেকে অবশ্যই পাতে রাখতে হবে। তথ্যসূত্র: এই সময়।
>>>>>>>>>>>>>>>>>>
আসুন আমরা আবার মাস্ক পরা শুরু করি। কারণ করোনা তথা COVID-Omicron XBB আগের ভ্যারিয়েন্টগুলোর তুলনায় ভিন্ন ও বিপজ্জনক। এটি সহজে শনাক্তও হয় না, তাই সবার মাস্ক পরা অত্যন্ত জরুরি।
১. COVID-Omicron XBB এর নতুন উপসর্গগুলো:
i) কাশি নেই।
ii) জ্বর নেই।
বেশিরভাগ উপসর্গ হলো—
iii) অস্থিসন্ধিতে ব্যথা।
iv) মাথাব্যথা।
v) গলাব্যথা।
vi) পিঠে ব্যথা।
vii) নিউমোনিয়া।
viii) ক্ষুধা উল্লেখযোগ্যভাবে কমে যাওয়া।
২. এই ভ্যারিয়েন্টটি ডেল্টার চেয়ে ৫ গুণ বেশি বিষাক্ত এবং মৃত্যুহারও বেশি।
৩. উপসর্গগুলো খুব অল্প সময়েই মারাত্মক আকার ধারণ করে এবং কখনও কখনও কোনো স্পষ্ট উপসর্গ না দেখিয়েই অবস্থা খারাপ হতে শুরু করে।
৪. তাই আরও বেশি সতর্ক থাকা প্রয়োজন।
এই ভ্যারিয়েন্টটি নাসোফ্যারেঞ্জিয়াল (নাকের গভীর অংশ) অঞ্চলে পাওয়া যায় না, বরং সরাসরি ফুসফুসের “উইন্ডো” অংশে আঘাত করে এবং নিউমোনিয়ার লক্ষণ দেখা দেয়।
৫. কিছু রোগীর মধ্যে জ্বর বা ব্যথা না থাকলেও এক্স-রে করলে মৃদু নিউমোনিয়ার লক্ষণ দেখা যাচ্ছে। এছাড়া নাক দিয়ে নেয়া স্যাম্পলে (সোয়াব) পরীক্ষায় নেগেটিভ ফল আসছে, যা পরীক্ষায় ভুল রিপোর্ট (ফলস নেগেটিভ) এর সংখ্যা বাড়াচ্ছে। এ কারণে এই ভাইরাসকে ‘ধূর্ত’ বলা হচ্ছে।
এর মানে হলো— এটি সহজেই ছড়িয়ে পড়ে, সরাসরি ফুসফুসে সংক্রমণ ঘটায়, ভাইরাল নিউমোনিয়া সৃষ্টি করে এবং তীব্র শ্বাসকষ্ট তৈরি করে। এই কারণে COVID-Omicron XBB এত বেশি ছোঁয়াচে ও প্রাণঘাতী হয়ে উঠেছে।
৬. যতটা সম্ভব ভিড় এড়িয়ে চলুন, খোলা জায়গাতেও অন্তত ১.৫ মিটার দূরত্ব বজায় রাখুন, সঠিকভাবে মাস্ক পরুন, এবং নিয়মিত হাত ধুয়ে ফেলুন—even যদি কাশি বা হাঁচি না থাকে।
এই COVID-Omicron XBB “ওয়েভ” প্রথম COVID-19 মহামারির চেয়েও ভয়াবহ।
সতর্কতা, সচেতনতা ও বৈচিত্র্যময় সুরক্ষা ব্যবস্থাই আমাদের রক্ষা করতে পারে।
✅ দয়া করে এই বার্তাটি বন্ধু ও পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে শেয়ার করুন।
✅ শুধুমাত্র নিজের কাছে রেখে দেবেন না।
✅ যত বেশি সম্ভব লোককে জানিয়ে দিন।
ঘরের বাইরে গেলে অবশ্যই মাস্ক পরুন এবং নিজেকে সুরক্ষিত রাখুন।
>>>>>>>>>>>>>>
মশা বাহিত একপ্রকার ভাইরাস জ্বর হলো ডেঙ্গু। এই জ্বর অন্যান্য ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়াজনিত জ্বর থেকে ভিন্ন। অবশ্য এই জ্বর কোনোভাবেই ছোঁয়াচে নয়। এই ভাইরাস জ্বর এককভাবে বা অন্যান্য ভাইরাস (চিকুনগুনিয়া, ইয়েলো ফিভার, বার্মা ফরেস্ট, ফ্লু, রেসপাইরেটরি সিনসাইটিয়াল) এবং ব্যাকটেরিয়া (নিউমোক্কাস)-এর সঙ্গেও হতে পারে।
লক্ষণ ও জ্বরের তীব্রতার ওপর নির্ভর করে ডেঙ্গুজ্বরকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে-
১. সাধারণ ডেঙ্গুজ্বর
২. রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বর।
সাধারণ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে চোখে পড়ে মূলত নিচের এই লক্ষণগুলো-
১. হঠাৎ করে তীব্র জ্বর ও তা ২ থেকে ৭ দিন স্থায়ী হওয়া।
২. তীব্র মাথাব্যথা হওয়া।
৩. চোখের পেছনের অংশে ব্যথা হওয়া।
৪. জ্বরের সঙ্গে সঙ্গে সারা শরীরে লালচে ফুসকুড়ি চোখে পড়া।
৫. সম্পূর্ণ শরীরে তীব্র ব্যথা ও সেইসঙ্গে কোমরে ব্যথা।
৬. বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া।
৭. ত্বকে র্যাশ বা লাল দানা দানা দেখা দেওয়া।
রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে :
১. ২ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তীব্র জ্বর সঙ্গে নাক, মুখ বা বমির সঙ্গে রক্ত যাওয়া।
২. জ্বরের পাশাপাশি বুকে বা পেটে পানি জমে যাওয়া।
এইসব লক্ষণের যে কোনো একটি লক্ষণ দেখা দিলেই দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।
অপরদিকে
জ্বরের প্রথম ৩ দিন বাড়িতে অপেক্ষা করুন। অপরদিকে সারা শরীর পানি দিয়ে স্পঞ্জ করুন কিছুক্ষণ পরপর। এতে করে জ্বরের মাত্রা কমে আসবে। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান ও বিশ্রাম নিতে হবে। এরপরেও জ্বর না কমলে বা কিছু সময় পরপর বাড়তে থাকলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন।
ডেঙ্গু প্রতিরোধে করণীয় বিষয়:
১. বাড়ির আশপাশ যতোটা সম্ভব পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে চেষ্টা করুন।
২. ঘরের ভেতরে থাকা ফুলের টব বা ভাঙা প্লাস্টিকের বোতল, ডাবের খোসা, টায়ার অথবা পলিথিন থাকলে তা দ্রুত পরিষ্কার করে ফেলুন ও ফুলের টব থেকে জমে থাকা পানি নিষ্কাশন করুন।
৩. মশা নিধনের জন্য সপ্তাহে অন্তত ৩ বার স্প্রে বা ফগিং করুন।
৪. বাড়ির বাইরে যাওয়ার সময় মশা নিধনে ব্যবহৃত ক্রিম সঙ্গে রাখতে পারেন।
৫. সন্ধ্যার পর বাড়ির ছোট থেকে বড় সদস্যরা মশারি ব্যবহার করুন।
৬. যেখানে-সেখানে জমে থাকা বৃষ্টির পানি পরিষ্কার করে ফেলুন, কারণ এতে এডিস মশা ডিম পেড়ে থাকে এই সময়।
৭. অপরদিকে মশার প্রকোপ থেকে বাঁচতে মশারির সঙ্গে সঙ্গে ম্যাট ব্যবহার করতে পারেন।
৮. এডিস মশা যেহেতু দিনের বেলা কামড়ায় তাই দিনের বেলায় ঘুমানোর সময় অবশ্যই মশারি টানিয়ে ঘুমানোর দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। সূত্র: https://dmpnews.org
This post was last modified on জুলাই ১৭, ২০২৫ 5:44 অপরাহ্ন
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ শসা আমাদের দৈনন্দিন খাদ্যতালিকায় অন্যতম পরিচিত এবং সহজলভ্য একটি সবজি।…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ অ্যাপল ও গুগল বিশ্বজুড়ে তাদের ব্যবহারকারীদের আবারও নতুন করে সাইবার…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ আমাদের দৈনন্দিন খাদ্যতালিকায় সবচেয়ে পরিচিত ও সহজলভ্য একটি সবজি হলো…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ বলিউডের দুই অভিনেত্রী কাজল-টুইঙ্কেলের ‘টু মাচ উইথ কাজল অ্যান্ড টুইঙ্কেল’…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ গত কয়েক দিন ধরে, নিউ সাউথ ওয়েলস (অস্ট্রেলিয়া) এবং দ্বীপ…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ চীনা বিজ্ঞানীরা দাবি করেছেন, তারা এমন একটি কৃত্রিম চিপ উদ্ভাবন…