দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ প্রযুক্তির এই যুগে মুঠোফোন মানুষের জীবনে দারুণ এক অনুসঙ্গী হিসেবে স্থান করে নিয়েছে। দিনের আলো বা রাতের আলোতে মুঠোফোনে ছবি তোলাকে বিশেষভাবে গুরুত্ব দিয়ে বাংলাদেশে রেনো–১৪ সিরিজ ফাইভজি দু’টি মডেল বাজারে ছেড়েছে অপো।

এই স্মার্টফোন দু’টি হলো ১২ জিবি র্যাম ও ২৫৬ জিবি স্টোরেজের রেনো–১৪ ফাইভজি এবং ৮ জিবি র্যাম ও ২৫৬ জিবি স্টোরেজের রেনো–১৪ এফ ফাইভজি। সম্প্রতি রাজধানীর আলোকি কনভেনশন সেন্টারে এক অনুষ্ঠানে এই দু’টি ফোন দেখানো হয়।
অনুষ্ঠানে অপো বাংলাদেশ অথোরাইজড এক্সক্লুসিভ ডিস্ট্রিবিউটরের ম্যানেজিং ডিরেক্টর ডেমন ইয়াং বলেন যে, রেনো–১৪ সিরিজ ফাইভজির মাধ্যমে ব্যবহারকারীদের লাইফস্টাইলে মুঠোফোন ব্যবহার আরও বাড়বে। রেনো–১৪ ফাইভজির মাধ্যমে ছবি তোলার জন্য সর্বশেষ এআই প্রযুক্তি এবং দারুণ সব কনটেন্ট তৈরি করার সুযোগও পাবেন ব্যবহারকারীরা।
রেনো–১৪ ফাইভজি স্মার্টফোনে এআই ‘লো লাইট ফটোগ্রাফি সিস্টেম’ ব্যবহার করা হয়। রাতের অনুষ্ঠান হোক বা পারিবারিক যে কোনো আয়োজনে এই স্মার্টফোন বেশ ভালো কাজ করবে। উন্নত ফ্ল্যাশ ও ৫০ মেগাপিক্সেল ৩.৫x টেলিফটো ক্যামেরায় ভালো ছবি তোলার সুযোগও রয়েছে। রেনো–১৪ ফাইভজিতে আগের মডেলগুলোর চেয়েও ১০ গুণ বেশি উজ্জ্বল ডেডিকেটেড ফোকাস ফ্ল্যাশসহ ট্রিপল-ফ্ল্যাশ ক্যামেরা এতে যুক্ত করা হয়েছে। রেনো–১৪ এফ ফাইভজিতে আরও রয়েছে ডুয়াল-ফ্ল্যাশ সেটআপ, যা পূর্বের তুলনায় দ্বিগুণ উজ্জ্বলতা নিশ্চিত করে। এআই এডিটর ২.০–এর মাধ্যমে ব্যবহারকারীরা তাদের সৃজনশীলতা আরও বিকশিত করার সুযোগও রয়েছে।
দু’টি মডেলে ৪কে আলট্রা-এইচডি আন্ডারওয়াটার ভিডিও রেকর্ডিংও সংযুক্ত করা হয়েছে। সেইসঙ্গে, আইপি৬৯ রেটিংয়ের ওয়াটার অ্যান্ড ডাস্ট রেজিস্ট্যান্স যুক্ত হওয়ায় বর্তমানে পানির নিচেও দারুণ স্বচ্ছ ভিডিও ধারণ করতে পারবেন এর ব্যবহারকারীরা। রেনো–১৪ সিরিজ ফাইভজিতে আরও রয়েছে ৬০০০ মিলিঅ্যাম্পিয়ার ব্যাটারি। এই স্মার্টফোনটির মার্মেইড-অনুপ্রাণিত ডিজাইন এবং অ্যামোলেড ডিসপ্লে একইসঙ্গে নান্দনিক এবং সমৃদ্ধ অভিজ্ঞতা নিশ্চিত করবে। ব্যবহারকারীদের প্রতিদিনের কার্যক্ষমতা বাড়তে এই ডিভাইসটিতে এআই কল ট্রান্সলেটর, এআই কল সামারি, ভয়েসস্ক্রাইব এবং মাইন্ডস্পেসের মতো এআই সুপার টুলবক্সও ব্যবহার করা হয়েছে।
আগাম বুকিং (প্রি–অর্ডার) দেওয়া ক্রেতাদের জন্য একাধিক বিশেষ সুবিধাও দিচ্ছে অপো। সাদা এবং সবুজ রঙের রেনো–১৪ ফাইভজির দাম ধরা হয়েছে ৭৯ হাজার ৯৯০ টাকা ও ওপাল ব্লু এবং লুমিনাস গ্রিন রঙের রেনো–১৪ এফ ফাইভজির দাম ধরা হয়েছে ৪২ হাজার ৯৯০ টাকা।
>>>>>>>>>>>>>>>>>>
করনা সম্পর্কে নতুন করে জরুরী সতর্কতা
আসুন আমরা আবার মাস্ক পরা শুরু করি। কারণ করোনা তথা COVID-Omicron XBB আগের ভ্যারিয়েন্টগুলোর তুলনায় ভিন্ন ও বিপজ্জনক। এটি সহজে শনাক্তও হয় না, তাই সবার মাস্ক পরা অত্যন্ত জরুরি।
১. COVID-Omicron XBB এর নতুন উপসর্গগুলো:
i) কাশি নেই।
ii) জ্বর নেই।
বেশিরভাগ উপসর্গ হলো—
iii) অস্থিসন্ধিতে ব্যথা।
iv) মাথাব্যথা।
v) গলাব্যথা।
vi) পিঠে ব্যথা।
vii) নিউমোনিয়া।
viii) ক্ষুধা উল্লেখযোগ্যভাবে কমে যাওয়া।
২. এই ভ্যারিয়েন্টটি ডেল্টার চেয়ে ৫ গুণ বেশি বিষাক্ত এবং মৃত্যুহারও বেশি।
৩. উপসর্গগুলো খুব অল্প সময়েই মারাত্মক আকার ধারণ করে এবং কখনও কখনও কোনো স্পষ্ট উপসর্গ না দেখিয়েই অবস্থা খারাপ হতে শুরু করে।
৪. তাই আরও বেশি সতর্ক থাকা প্রয়োজন।
এই ভ্যারিয়েন্টটি নাসোফ্যারেঞ্জিয়াল (নাকের গভীর অংশ) অঞ্চলে পাওয়া যায় না, বরং সরাসরি ফুসফুসের “উইন্ডো” অংশে আঘাত করে এবং নিউমোনিয়ার লক্ষণ দেখা দেয়।
৫. কিছু রোগীর মধ্যে জ্বর বা ব্যথা না থাকলেও এক্স-রে করলে মৃদু নিউমোনিয়ার লক্ষণ দেখা যাচ্ছে। এছাড়া নাক দিয়ে নেয়া স্যাম্পলে (সোয়াব) পরীক্ষায় নেগেটিভ ফল আসছে, যা পরীক্ষায় ভুল রিপোর্ট (ফলস নেগেটিভ) এর সংখ্যা বাড়াচ্ছে। এ কারণে এই ভাইরাসকে ‘ধূর্ত’ বলা হচ্ছে।
এর মানে হলো— এটি সহজেই ছড়িয়ে পড়ে, সরাসরি ফুসফুসে সংক্রমণ ঘটায়, ভাইরাল নিউমোনিয়া সৃষ্টি করে এবং তীব্র শ্বাসকষ্ট তৈরি করে। এই কারণে COVID-Omicron XBB এত বেশি ছোঁয়াচে ও প্রাণঘাতী হয়ে উঠেছে।
৬. যতটা সম্ভব ভিড় এড়িয়ে চলুন, খোলা জায়গাতেও অন্তত ১.৫ মিটার দূরত্ব বজায় রাখুন, সঠিকভাবে মাস্ক পরুন, এবং নিয়মিত হাত ধুয়ে ফেলুন—even যদি কাশি বা হাঁচি না থাকে।
এই COVID-Omicron XBB “ওয়েভ” প্রথম COVID-19 মহামারির চেয়েও ভয়াবহ।
সতর্কতা, সচেতনতা ও বৈচিত্র্যময় সুরক্ষা ব্যবস্থাই আমাদের রক্ষা করতে পারে।
✅ দয়া করে এই বার্তাটি বন্ধু ও পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে শেয়ার করুন।
✅ শুধুমাত্র নিজের কাছে রেখে দেবেন না।
✅ যত বেশি সম্ভব লোককে জানিয়ে দিন।
ঘরের বাইরে গেলে অবশ্যই মাস্ক পরুন এবং নিজেকে সুরক্ষিত রাখুন।
>>>>>>>>>>>>>>
ডেঙ্গু প্রতিরোধ করবেন যেভাবে
মশা বাহিত একপ্রকার ভাইরাস জ্বর হলো ডেঙ্গু। এই জ্বর অন্যান্য ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়াজনিত জ্বর থেকে ভিন্ন। অবশ্য এই জ্বর কোনোভাবেই ছোঁয়াচে নয়। এই ভাইরাস জ্বর এককভাবে বা অন্যান্য ভাইরাস (চিকুনগুনিয়া, ইয়েলো ফিভার, বার্মা ফরেস্ট, ফ্লু, রেসপাইরেটরি সিনসাইটিয়াল) এবং ব্যাকটেরিয়া (নিউমোক্কাস)-এর সঙ্গেও হতে পারে।
লক্ষণ ও জ্বরের তীব্রতার ওপর নির্ভর করে ডেঙ্গুজ্বরকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে-
১. সাধারণ ডেঙ্গুজ্বর
২. রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বর।
সাধারণ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে চোখে পড়ে মূলত নিচের এই লক্ষণগুলো-
১. হঠাৎ করে তীব্র জ্বর ও তা ২ থেকে ৭ দিন স্থায়ী হওয়া।
২. তীব্র মাথাব্যথা হওয়া।
৩. চোখের পেছনের অংশে ব্যথা হওয়া।
৪. জ্বরের সঙ্গে সঙ্গে সারা শরীরে লালচে ফুসকুড়ি চোখে পড়া।
৫. সম্পূর্ণ শরীরে তীব্র ব্যথা ও সেইসঙ্গে কোমরে ব্যথা।
৬. বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া।
৭. ত্বকে র্যাশ বা লাল দানা দানা দেখা দেওয়া।
রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে :
১. ২ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তীব্র জ্বর সঙ্গে নাক, মুখ বা বমির সঙ্গে রক্ত যাওয়া।
২. জ্বরের পাশাপাশি বুকে বা পেটে পানি জমে যাওয়া।
এইসব লক্ষণের যে কোনো একটি লক্ষণ দেখা দিলেই দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।
অপরদিকে
জ্বরের প্রথম ৩ দিন বাড়িতে অপেক্ষা করুন। অপরদিকে সারা শরীর পানি দিয়ে স্পঞ্জ করুন কিছুক্ষণ পরপর। এতে করে জ্বরের মাত্রা কমে আসবে। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান ও বিশ্রাম নিতে হবে। এরপরেও জ্বর না কমলে বা কিছু সময় পরপর বাড়তে থাকলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন।
ডেঙ্গু প্রতিরোধে করণীয় বিষয়:
১. বাড়ির আশপাশ যতোটা সম্ভব পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে চেষ্টা করুন।
২. ঘরের ভেতরে থাকা ফুলের টব বা ভাঙা প্লাস্টিকের বোতল, ডাবের খোসা, টায়ার অথবা পলিথিন থাকলে তা দ্রুত পরিষ্কার করে ফেলুন ও ফুলের টব থেকে জমে থাকা পানি নিষ্কাশন করুন।
৩. মশা নিধনের জন্য সপ্তাহে অন্তত ৩ বার স্প্রে বা ফগিং করুন।
৪. বাড়ির বাইরে যাওয়ার সময় মশা নিধনে ব্যবহৃত ক্রিম সঙ্গে রাখতে পারেন।
৫. সন্ধ্যার পর বাড়ির ছোট থেকে বড় সদস্যরা মশারি ব্যবহার করুন।
৬. যেখানে-সেখানে জমে থাকা বৃষ্টির পানি পরিষ্কার করে ফেলুন, কারণ এতে এডিস মশা ডিম পেড়ে থাকে এই সময়।
৭. অপরদিকে মশার প্রকোপ থেকে বাঁচতে মশারির সঙ্গে সঙ্গে ম্যাট ব্যবহার করতে পারেন।
৮. এডিস মশা যেহেতু দিনের বেলা কামড়ায় তাই দিনের বেলায় ঘুমানোর সময় অবশ্যই মশারি টানিয়ে ঘুমানোর দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। সূত্র: https://dmpnews.org