দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ শিশুটি জানিয়েছে যে, তার বাবা তাকে রাস্তায় একা ফেলে রেখেই গাড়ি নিয়ে চলে গেছেন। শিশুটির অভিযোগ হলো, তারা যখন সপরিবারে গাড়ি নিয়ে যাচ্ছিলেন তখন তার ভাইয়ের সঙ্গে তার ঝগড়া বেধে যায়।

জাতীয় সড়ক দিয়ে একের পর এক চলে যাচ্ছে গাড়ি। সড়কের এক ধারে বসে একা একা হাপুস নয়নে কেঁদে যাচ্ছিল এক ছোট্ট শিশু। সেই সময় বাইক নিয়ে যাচ্ছিলেন সমাজমাধ্যম প্রভাবী জনৈক তরুণ। শিশুটিকে কাঁদতে দেখে তিনি এগিয়ে গিয়ে কারণ জানার চেষ্টা করেন। ৭-৮ বছরের শিশুটি জানায় তাকে রাস্তায় গাড়ি থেকে নামিয়ে দিয়ে চলে গেছেন বাবা। সমাজমাধ্যম প্রভাবী ওই তরুণ শিশুটির একটি ভিডিও সম্প্রতি নেটমাধ্যমে পোস্ট করে দেন। ঘটনাটি প্রকাশ্যে আসতেই হইচই পড়ে যায় পুরো নেটমাধ্যমে।
ঘটনাটি ঘটেছে চীনের জিনজিয়াং এলাকাতে। সাউথ চায়না মর্নিং পোস্টের প্রতিবেদনে বলা হয়, ভাইয়ের সঙ্গে ঝগড়া এবং মারধর করার শাস্তি হিসাবে ছোট ওই ছেলেটিকে গাড়ি থেকে নামিয়ে দেন তারই বাবা। কোনও কথা কানে তোলেননি তিনি। ছেলেটি এবং তার পরিবার পূর্ব চীনের ঝেজিয়াং প্রদেশের বাসিন্দা।
নেটপ্রভাবী তরুণ শিশুর বাবার নম্বর নিয়ে তার সঙ্গে মোবাইলে যোগাযোগ করেন। এর উত্তরে শিশুটির বাবা বলেন, তিনি বিষয়টি ভালোভাবেই জানেন। তার স্ত্রী ছেলেকে ফেরত আনতে হাঁটা পথে সেখানে পৌঁছোচ্ছেন। তারা প্রায় দেড় কিলোমিটার এগিয়ে গিয়েছিলেন তারা। তবে গাড়ি নিয়ে ফেরত আসেননি শিশুর বাবা। জিনজিয়াংয়ের তুর্পান কোর্ট থেকে একটি গাড়ি হাইওয়েতে টহল পুলিশের হাতে ছেলেটিকে হাতে তুলে দেওয়া হয়। পরে নেটমাধ্যমে শিশুর বাবা ওয়াং অবশ্য ক্ষমা চেয়ে নিয়েছিলেন বলে জানা যায়। তথ্যসূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা অনলাইন।
>>>>>>>>>>>>>>
ডেঙ্গু প্রতিরোধ করবেন যেভাবে
মশা বাহিত একপ্রকার ভাইরাস জ্বর হলো ডেঙ্গু। এই জ্বর অন্যান্য ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়াজনিত জ্বর থেকে ভিন্ন। অবশ্য এই জ্বর কোনোভাবেই ছোঁয়াচে নয়। এই ভাইরাস জ্বর এককভাবে বা অন্যান্য ভাইরাস (চিকুনগুনিয়া, ইয়েলো ফিভার, বার্মা ফরেস্ট, ফ্লু, রেসপাইরেটরি সিনসাইটিয়াল) এবং ব্যাকটেরিয়া (নিউমোক্কাস)-এর সঙ্গেও হতে পারে।
লক্ষণ ও জ্বরের তীব্রতার ওপর নির্ভর করে ডেঙ্গুজ্বরকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে-
১. সাধারণ ডেঙ্গুজ্বর
২. রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বর।
সাধারণ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে চোখে পড়ে মূলত নিচের এই লক্ষণগুলো-
১. হঠাৎ করে তীব্র জ্বর ও তা ২ থেকে ৭ দিন স্থায়ী হওয়া।
২. তীব্র মাথাব্যথা হওয়া।
৩. চোখের পেছনের অংশে ব্যথা হওয়া।
৪. জ্বরের সঙ্গে সঙ্গে সারা শরীরে লালচে ফুসকুড়ি চোখে পড়া।
৫. সম্পূর্ণ শরীরে তীব্র ব্যথা ও সেইসঙ্গে কোমরে ব্যথা।
৬. বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া।
৭. ত্বকে র্যাশ বা লাল দানা দানা দেখা দেওয়া।
রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে :
১. ২ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তীব্র জ্বর সঙ্গে নাক, মুখ বা বমির সঙ্গে রক্ত যাওয়া।
২. জ্বরের পাশাপাশি বুকে বা পেটে পানি জমে যাওয়া।
এইসব লক্ষণের যে কোনো একটি লক্ষণ দেখা দিলেই দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।
অপরদিকে
জ্বরের প্রথম ৩ দিন বাড়িতে অপেক্ষা করুন। অপরদিকে সারা শরীর পানি দিয়ে স্পঞ্জ করুন কিছুক্ষণ পরপর। এতে করে জ্বরের মাত্রা কমে আসবে। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান ও বিশ্রাম নিতে হবে। এরপরেও জ্বর না কমলে বা কিছু সময় পরপর বাড়তে থাকলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন।
ডেঙ্গু প্রতিরোধে করণীয় বিষয়:
১. বাড়ির আশপাশ যতোটা সম্ভব পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে চেষ্টা করুন।
২. ঘরের ভেতরে থাকা ফুলের টব বা ভাঙা প্লাস্টিকের বোতল, ডাবের খোসা, টায়ার অথবা পলিথিন থাকলে তা দ্রুত পরিষ্কার করে ফেলুন ও ফুলের টব থেকে জমে থাকা পানি নিষ্কাশন করুন।
৩. মশা নিধনের জন্য সপ্তাহে অন্তত ৩ বার স্প্রে বা ফগিং করুন।
৪. বাড়ির বাইরে যাওয়ার সময় মশা নিধনে ব্যবহৃত ক্রিম সঙ্গে রাখতে পারেন।
৫. সন্ধ্যার পর বাড়ির ছোট থেকে বড় সদস্যরা মশারি ব্যবহার করুন।
৬. যেখানে-সেখানে জমে থাকা বৃষ্টির পানি পরিষ্কার করে ফেলুন, কারণ এতে এডিস মশা ডিম পেড়ে থাকে এই সময়।
৭. অপরদিকে মশার প্রকোপ থেকে বাঁচতে মশারির সঙ্গে সঙ্গে ম্যাট ব্যবহার করতে পারেন।
৮. এডিস মশা যেহেতু দিনের বেলা কামড়ায় তাই দিনের বেলায় ঘুমানোর সময় অবশ্যই মশারি টানিয়ে ঘুমানোর দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। সূত্র: https://dmpnews.org