দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ নেপালে কেপি শর্মা অলির সরকার পতনের পরই দেশটির গেমারদের জনপ্রিয় প্ল্যাটফর্ম ‘ডিসকর্ডে’ ভোটের মাধ্যমে নির্বাচিত হয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধানমন্ত্রী সুশীলা কার্কিকে।

আলজাজিরার এক প্রতিবেদনে বলা হয়, ‘হামি নেপাল’ সংগঠন তাদের ‘ইয়ুথ এগেইনস্ট করাপশন’ চ্যানেলে দেড় লাখেরও বেশি সদস্যকে নিয়ে আলোচনার পর ভোটের আয়োজন করা হয়। আলোচনার বিষয় ছিল দুর্নীতি দমন, স্বাস্থ্যসেবা, কর্মসংস্থান, বিশ্ববিদ্যালয় সংস্কার এবং পুলিশের জবাবদিহি। শেষ পর্যন্ত দেশটির সাবেক প্রধান বিচারপতি সুশীলা কার্কি সর্বাধিক সমর্থন পেয়ে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে মনোনীত হয়েছেন।
৭৩ বছর বয়সী কার্কি বিচারপতি থাকাকালীন সময় দুর্নীতির বিরুদ্ধে কড়া অবস্থানের জন্য বিশেষভাবে পরিচিত। শপথ নেওয়ার পরই তিনি ঘোষণা দেন যে, ৬ মাসের বেশি ক্ষমতায় থাকবেন না। দায়িত্ব শেষ হলেই নতুন সংসদ এবং মন্ত্রীদের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর করবেন।
নেপালের সাবেক প্রধানমন্ত্রী কেপি শর্মা অলির সরকার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম সীমিত করলে তরুণরা রাজপথে প্রতিবাদে নেমে পড়ে। পার্লামেন্টে অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটার পরই প্রেসিডেন্ট সংসদ ভেঙে দিয়ে মার্চে নির্বাচন ঘোষণার সিদ্ধান্ত দিয়েছেন তিনি।
ডিসকর্ডে প্রার্থী বাছাই প্রক্রিয়া অংশগ্রহণকারীদের মতে, স্বচ্ছ এবং অংশগ্রহণমূলক। তবে বিশেষজ্ঞরা সতর্ক করেছেন, ভুল তথ্য কিংবা ভুয়া অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে ভোটের ফলাফলে প্রভাব পড়ার সম্ভাবনাও রয়েছে।
নেপালের রাজনীতি বর্তমানে তরুণ প্রজন্মের হাতে, যারা রাজপথের পাশাপাশি ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে দেশের ভবিষ্যৎ নেতৃত্ব গড়ে তুলছেন।
>>>>>>>>>>>>>>
ডেঙ্গু প্রতিরোধ করবেন যেভাবে
মশা বাহিত একপ্রকার ভাইরাস জ্বর হলো ডেঙ্গু। এই জ্বর অন্যান্য ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়াজনিত জ্বর থেকে ভিন্ন। অবশ্য এই জ্বর কোনোভাবেই ছোঁয়াচে নয়। এই ভাইরাস জ্বর এককভাবে বা অন্যান্য ভাইরাস (চিকুনগুনিয়া, ইয়েলো ফিভার, বার্মা ফরেস্ট, ফ্লু, রেসপাইরেটরি সিনসাইটিয়াল) এবং ব্যাকটেরিয়া (নিউমোক্কাস)-এর সঙ্গেও হতে পারে।
লক্ষণ ও জ্বরের তীব্রতার ওপর নির্ভর করে ডেঙ্গুজ্বরকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে-
১. সাধারণ ডেঙ্গুজ্বর
২. রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বর।
সাধারণ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে চোখে পড়ে মূলত নিচের এই লক্ষণগুলো-
১. হঠাৎ করে তীব্র জ্বর ও তা ২ থেকে ৭ দিন স্থায়ী হওয়া।
২. তীব্র মাথাব্যথা হওয়া।
৩. চোখের পেছনের অংশে ব্যথা হওয়া।
৪. জ্বরের সঙ্গে সঙ্গে সারা শরীরে লালচে ফুসকুড়ি চোখে পড়া।
৫. সম্পূর্ণ শরীরে তীব্র ব্যথা ও সেইসঙ্গে কোমরে ব্যথা।
৬. বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া।
৭. ত্বকে র্যাশ বা লাল দানা দানা দেখা দেওয়া।
রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে :
১. ২ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তীব্র জ্বর সঙ্গে নাক, মুখ বা বমির সঙ্গে রক্ত যাওয়া।
২. জ্বরের পাশাপাশি বুকে বা পেটে পানি জমে যাওয়া।
এইসব লক্ষণের যে কোনো একটি লক্ষণ দেখা দিলেই দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।
অপরদিকে
জ্বরের প্রথম ৩ দিন বাড়িতে অপেক্ষা করুন। অপরদিকে সারা শরীর পানি দিয়ে স্পঞ্জ করুন কিছুক্ষণ পরপর। এতে করে জ্বরের মাত্রা কমে আসবে। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান ও বিশ্রাম নিতে হবে। এরপরেও জ্বর না কমলে বা কিছু সময় পরপর বাড়তে থাকলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন।
ডেঙ্গু প্রতিরোধে করণীয় বিষয়:
১. বাড়ির আশপাশ যতোটা সম্ভব পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে চেষ্টা করুন।
২. ঘরের ভেতরে থাকা ফুলের টব বা ভাঙা প্লাস্টিকের বোতল, ডাবের খোসা, টায়ার অথবা পলিথিন থাকলে তা দ্রুত পরিষ্কার করে ফেলুন ও ফুলের টব থেকে জমে থাকা পানি নিষ্কাশন করুন।
৩. মশা নিধনের জন্য সপ্তাহে অন্তত ৩ বার স্প্রে বা ফগিং করুন।
৪. বাড়ির বাইরে যাওয়ার সময় মশা নিধনে ব্যবহৃত ক্রিম সঙ্গে রাখতে পারেন।
৫. সন্ধ্যার পর বাড়ির ছোট থেকে বড় সদস্যরা মশারি ব্যবহার করুন।
৬. যেখানে-সেখানে জমে থাকা বৃষ্টির পানি পরিষ্কার করে ফেলুন, কারণ এতে এডিস মশা ডিম পেড়ে থাকে এই সময়।
৭. অপরদিকে মশার প্রকোপ থেকে বাঁচতে মশারির সঙ্গে সঙ্গে ম্যাট ব্যবহার করতে পারেন।
৮. এডিস মশা যেহেতু দিনের বেলা কামড়ায় তাই দিনের বেলায় ঘুমানোর সময় অবশ্যই মশারি টানিয়ে ঘুমানোর দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। সূত্র: https://dmpnews.org