দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ দেশের শোবিজ অঙ্গনের অন্যতম গ্ল্যামার গার্ল জনপ্রিয় সংগীতশিল্পী এবং অভিনেতা তাহসান খানের পত্নী রোজা আহমেদ।

নিজের স্টাইল দিয়ে আবারও উঠে এলেন আলোচনায়। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও বেশ সরব তিনি। নিয়মিতভাবে ব্যক্তিগত বিষয় শেয়ার করেন ভক্তদের সঙ্গে। এবার রঙিন শাড়িতে ছবি দিয়ে ভক্তদের নজর কেড়েছেন এই মেকওভার আর্টিস্ট।
ইতিপূর্বে তাহসান পত্নীকে ওয়েস্টার্নে বা টপসে, কখনও ট্রাডিশনাল স্যালোয়ারে কিংবা গাউনে দেখা গেছে। এবার শাড়িতেও ধরা দিয়েছিলেন এই সুন্দরী। তবে বিয়ের শাড়িতে দেখা যায় প্রথম। এবার ভিন্নভাবে, আকর্ষণীয় লুকে শাড়িতে দেখা গেল রোজাকে।
রোজা আহমেদ প্রায়ই ভক্তদের মধ্যে তার স্টাইলিশ লুক শেয়ার করে থাকেন। এরই ধারাবাহিকতায় রবিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) রাতে দু’টি নতুন ছবিতে নিজেকে ধরা দেন তিনি।
ছবিতে দেখা যায়, হালকা ধাঁচের একটি হলুদ শিফন শাড়িতে নিজেকে সাজিয়েছেন রোজা আহমেদ। শাড়িটির মূল জমিন হলুদাভ হলেও এতে আছে গোলাপি এবং অন্যান্য শৈল্পিক ছোঁয়া, যা এটিকে একটি নান্দনিক রূপও দিয়েছে।
রঙিন শাড়িতে তার এই মোহনীয় রূপ ও মনোমুগ্ধকর চাহনি ভক্তদের মন যে রাঙিয়ে দিয়েছেন, তা বলাই বাহুল্য।
ছবি দু’টি পোস্ট করার সঙ্গে সঙ্গেই তা সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল হয়ে যায়। ভক্তরা শুধু তার রূপের প্রশংসাই করছেন। একজন ভক্ত লিখেছেন- ‘সত্যিকারের সৌন্দর্য’।
উল্লেখ্য, এ বছর দেশের জনপ্রিয় সংগীতশিল্পী এবং অভিনেতা তাহসান খানের সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হওয়ার পর মূলত আলোচনায় উঠে আসেন রোজা আহমেদ। ব্যক্তিগত জীবন এবং পেশাগত সাফল্যের পাশাপাশি রোজার শিক্ষাগত অর্জনও সমানভাবে প্রশংসনীয়।
>>>>>>>>>>>>>>
ডেঙ্গু প্রতিরোধ করবেন যেভাবে
মশা বাহিত একপ্রকার ভাইরাস জ্বর হলো ডেঙ্গু। এই জ্বর অন্যান্য ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়াজনিত জ্বর থেকে ভিন্ন। অবশ্য এই জ্বর কোনোভাবেই ছোঁয়াচে নয়। এই ভাইরাস জ্বর এককভাবে বা অন্যান্য ভাইরাস (চিকুনগুনিয়া, ইয়েলো ফিভার, বার্মা ফরেস্ট, ফ্লু, রেসপাইরেটরি সিনসাইটিয়াল) এবং ব্যাকটেরিয়া (নিউমোক্কাস)-এর সঙ্গেও হতে পারে।
লক্ষণ ও জ্বরের তীব্রতার ওপর নির্ভর করে ডেঙ্গুজ্বরকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে-
১. সাধারণ ডেঙ্গুজ্বর
২. রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বর।
সাধারণ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে চোখে পড়ে মূলত নিচের এই লক্ষণগুলো-
১. হঠাৎ করে তীব্র জ্বর ও তা ২ থেকে ৭ দিন স্থায়ী হওয়া।
২. তীব্র মাথাব্যথা হওয়া।
৩. চোখের পেছনের অংশে ব্যথা হওয়া।
৪. জ্বরের সঙ্গে সঙ্গে সারা শরীরে লালচে ফুসকুড়ি চোখে পড়া।
৫. সম্পূর্ণ শরীরে তীব্র ব্যথা ও সেইসঙ্গে কোমরে ব্যথা।
৬. বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া।
৭. ত্বকে র্যাশ বা লাল দানা দানা দেখা দেওয়া।
রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে :
১. ২ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তীব্র জ্বর সঙ্গে নাক, মুখ বা বমির সঙ্গে রক্ত যাওয়া।
২. জ্বরের পাশাপাশি বুকে বা পেটে পানি জমে যাওয়া।
এইসব লক্ষণের যে কোনো একটি লক্ষণ দেখা দিলেই দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।
অপরদিকে
জ্বরের প্রথম ৩ দিন বাড়িতে অপেক্ষা করুন। অপরদিকে সারা শরীর পানি দিয়ে স্পঞ্জ করুন কিছুক্ষণ পরপর। এতে করে জ্বরের মাত্রা কমে আসবে। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান ও বিশ্রাম নিতে হবে। এরপরেও জ্বর না কমলে বা কিছু সময় পরপর বাড়তে থাকলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন।
ডেঙ্গু প্রতিরোধে করণীয় বিষয়:
১. বাড়ির আশপাশ যতোটা সম্ভব পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে চেষ্টা করুন।
২. ঘরের ভেতরে থাকা ফুলের টব বা ভাঙা প্লাস্টিকের বোতল, ডাবের খোসা, টায়ার অথবা পলিথিন থাকলে তা দ্রুত পরিষ্কার করে ফেলুন ও ফুলের টব থেকে জমে থাকা পানি নিষ্কাশন করুন।
৩. মশা নিধনের জন্য সপ্তাহে অন্তত ৩ বার স্প্রে বা ফগিং করুন।
৪. বাড়ির বাইরে যাওয়ার সময় মশা নিধনে ব্যবহৃত ক্রিম সঙ্গে রাখতে পারেন।
৫. সন্ধ্যার পর বাড়ির ছোট থেকে বড় সদস্যরা মশারি ব্যবহার করুন।
৬. যেখানে-সেখানে জমে থাকা বৃষ্টির পানি পরিষ্কার করে ফেলুন, কারণ এতে এডিস মশা ডিম পেড়ে থাকে এই সময়।
৭. অপরদিকে মশার প্রকোপ থেকে বাঁচতে মশারির সঙ্গে সঙ্গে ম্যাট ব্যবহার করতে পারেন।
৮. এডিস মশা যেহেতু দিনের বেলা কামড়ায় তাই দিনের বেলায় ঘুমানোর সময় অবশ্যই মশারি টানিয়ে ঘুমানোর দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। সূত্র: https://dmpnews.org