দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ বলিউড অভিনেত্রী ও সাবেক বিশ্বসুন্দরী ঐশ্বরিয়া রাই এবং অভিনেতা অভিষেক বচ্চনের ডিভোর্সের খবর নিয়ে বেশ কিছুদিন যাবত সরগরম ছিল নেটদুনিয়া। সেই সময় এই তারকাদম্পতি কোনো প্রতিক্রিয়া দেননি।

তবে ধীরে ধীরে নানাভাবে বুঝিয়ে দিয়েছেন যে- বিবাহবিচ্ছেদের খবর সম্পূর্ণই ভিত্তিহীন। তবে ঐশ্বরিয়া তাহলে কেনোই বা তার মায়ের কাছে গিয়ে থাকেন? নেটিজেনরা প্রশ্ন তুলছেন বিষয়টি নিয়ে। এবার সেইদ প্রশ্নের উত্তর দিলেন পরিচালক প্রহ্লাদ কক্কড়।
হিন্দুস্তান টাইমসের প্রতিবেদন অনুযায়ী জানা যায়, সাবেক বিশ্বসুন্দরী ঐশ্বরিয়া রাই বচ্চনের মা ভিরান্দা রাইয়ের প্রতিবেশী হচ্ছেন এই পরিচালক প্রহ্লাদ কক্কড়। বচ্চনদের বাড়ি ছেড়ে ঐশ্বরিয়া কেনো তার মায়ের কাছে থাকেন, সেই বিষয়ে এবার কথা বলেছেন পরিচালক প্রহ্লাদ কক্কড় নিজেই।
প্রহ্লাদ কক্কড় সংবাদ মাধ্যমকে বলেন, ‘বিচ্ছেদের যে খবর উঠেছে বিভিন্ন সময়, তা পুরোপুরিই মিথ্যা। ঐশ্বরিয়া এখনও বচ্চন পরিবারের পুত্রবধূ।
তিনি নিজের মায়ের কাছে যেতেন কিংবা থাকেন অন্য কারণে। কারণ ঐশ্বরিয়ার মা বেশ অসুস্থ। ঐশ্বরিয়া তার মায়ের বিষয়ে যথেষ্ট সচেতন। তাকে দেখাশোনাও করতে হয়।’
প্রহ্লাদ কক্কড় বলেছেন, আগে মেয়ে আরাধিয়া বচ্চনকে স্কুলে দিয়েই মায়ের বাড়িতে চলে আসতেন ঐশ্বরিয়া। এরপর ছুটির সময় আবার মেয়েকে স্কুল থেকে নিয়ে শ্বশুর বাড়িতে ফিরতেন।
প্রহ্লাদ কক্কড় বলেছেন, ‘মায়ের সঙ্গে ঐশ্বরিয়ার সম্পর্ক খুবই ভালো। তাই মায়ের অসুস্থতায় খেয়াল রাখায় যাতে কোনও গাফিলতি না হয়, সেই দিকেও সতর্ক থাকেন তিনি।’
শোনা যায় যে, শাশুড়ি জয়া বচ্চন এবং ননদ শ্বেতা বচ্চনের সঙ্গে বনিবনা নেই ঐশ্বরিয়ার। এই সম্পর্কে প্রশ্ন করা হলে এই পরিচালক বলেন, ‘তাতে কীইবা হয়েছে! ঐশ্বরিয়া এখনও বচ্চন পরিবারেরই বউ। এখনও তার সংসার ওটা। আমি জানি বিবাহবিচ্ছেদের খবর আসলে মিথ্যা।
‘আবার মাঝেমধ্যে অভিষেকও আসেন ওর মাকে দেখতে। বিচ্ছেদ হলে, তিনি কী আসতেন? এই জন্যই ওইসব গুজবে আমরা কোনো পাত্তা দিইনি।’
>>>>>>>>>>>>>>
ডেঙ্গু প্রতিরোধ করবেন যেভাবে
মশা বাহিত একপ্রকার ভাইরাস জ্বর হলো ডেঙ্গু। এই জ্বর অন্যান্য ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়াজনিত জ্বর থেকে ভিন্ন। অবশ্য এই জ্বর কোনোভাবেই ছোঁয়াচে নয়। এই ভাইরাস জ্বর এককভাবে বা অন্যান্য ভাইরাস (চিকুনগুনিয়া, ইয়েলো ফিভার, বার্মা ফরেস্ট, ফ্লু, রেসপাইরেটরি সিনসাইটিয়াল) এবং ব্যাকটেরিয়া (নিউমোক্কাস)-এর সঙ্গেও হতে পারে।
লক্ষণ ও জ্বরের তীব্রতার ওপর নির্ভর করে ডেঙ্গুজ্বরকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে-
১. সাধারণ ডেঙ্গুজ্বর
২. রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বর।
সাধারণ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে চোখে পড়ে মূলত নিচের এই লক্ষণগুলো-
১. হঠাৎ করে তীব্র জ্বর ও তা ২ থেকে ৭ দিন স্থায়ী হওয়া।
২. তীব্র মাথাব্যথা হওয়া।
৩. চোখের পেছনের অংশে ব্যথা হওয়া।
৪. জ্বরের সঙ্গে সঙ্গে সারা শরীরে লালচে ফুসকুড়ি চোখে পড়া।
৫. সম্পূর্ণ শরীরে তীব্র ব্যথা ও সেইসঙ্গে কোমরে ব্যথা।
৬. বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া।
৭. ত্বকে র্যাশ বা লাল দানা দানা দেখা দেওয়া।
রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে :
১. ২ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তীব্র জ্বর সঙ্গে নাক, মুখ বা বমির সঙ্গে রক্ত যাওয়া।
২. জ্বরের পাশাপাশি বুকে বা পেটে পানি জমে যাওয়া।
এইসব লক্ষণের যে কোনো একটি লক্ষণ দেখা দিলেই দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।
অপরদিকে
জ্বরের প্রথম ৩ দিন বাড়িতে অপেক্ষা করুন। অপরদিকে সারা শরীর পানি দিয়ে স্পঞ্জ করুন কিছুক্ষণ পরপর। এতে করে জ্বরের মাত্রা কমে আসবে। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান ও বিশ্রাম নিতে হবে। এরপরেও জ্বর না কমলে বা কিছু সময় পরপর বাড়তে থাকলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন।
ডেঙ্গু প্রতিরোধে করণীয় বিষয়:
১. বাড়ির আশপাশ যতোটা সম্ভব পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে চেষ্টা করুন।
২. ঘরের ভেতরে থাকা ফুলের টব বা ভাঙা প্লাস্টিকের বোতল, ডাবের খোসা, টায়ার অথবা পলিথিন থাকলে তা দ্রুত পরিষ্কার করে ফেলুন ও ফুলের টব থেকে জমে থাকা পানি নিষ্কাশন করুন।
৩. মশা নিধনের জন্য সপ্তাহে অন্তত ৩ বার স্প্রে বা ফগিং করুন।
৪. বাড়ির বাইরে যাওয়ার সময় মশা নিধনে ব্যবহৃত ক্রিম সঙ্গে রাখতে পারেন।
৫. সন্ধ্যার পর বাড়ির ছোট থেকে বড় সদস্যরা মশারি ব্যবহার করুন।
৬. যেখানে-সেখানে জমে থাকা বৃষ্টির পানি পরিষ্কার করে ফেলুন, কারণ এতে এডিস মশা ডিম পেড়ে থাকে এই সময়।
৭. অপরদিকে মশার প্রকোপ থেকে বাঁচতে মশারির সঙ্গে সঙ্গে ম্যাট ব্যবহার করতে পারেন।
৮. এডিস মশা যেহেতু দিনের বেলা কামড়ায় তাই দিনের বেলায় ঘুমানোর সময় অবশ্যই মশারি টানিয়ে ঘুমানোর দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। সূত্র: https://dmpnews.org