দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ বাংলাদেশের বাজারে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) প্রযুক্তিনির্ভর নতুন তিন ফাইভ-জি স্মার্টফোন নিয়ে এলো টেকনো বাংলাদেশ।

পোভা ফাইভ–জি সিরিজের আওতায় বাজারে আসা এই ‘পোভা স্লিম ফাইভ–জি’, ‘পোভা কার্ভ ফাইভ–জি’ এবং ‘পোভা ৭ প্রো ফাইভ–জি’ মডেলের ফোনগুলো সম্প্রতি রাজধানীর উত্তরায় টেকনো ফ্ল্যাগশিপ স্টোরে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে উন্মোচন করা হয়েছে।
অনুষ্ঠানে আইস্মার্ট টেকনোলজি বাংলাদেশ লিমিটেডের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা রেজওয়ানুল হক বলেছেন, বাংলাদেশে ইতিমধ্যেই ফাইভ–জি যুগ শুরু হয়েছে। টেকনো এমন ৩টি স্মার্টফোন গ্রাহকদের সামনে তুলে দিলো, যা এআইনির্ভর বুদ্ধিমত্তা এবং উন্নত প্রযুক্তিসুবিধা ব্যবহারের অভিজ্ঞতাও দেবে।
অনুষ্ঠানে জানানো হয় যে, হাইওএস ১৫ স্পেশাল ওএসে চলা নতুন মডেলের তিন স্মার্টফোনেই ২৫৬ গিগাবাইট ধারণক্ষমতা এবং ৮ গিগাবাইট র্যাম রয়েছে। চাইলেই বাড়তি ৮ গিগাবাইট র্যাম যুক্ত করা সম্ভব। ডলবি অ্যাটমোস ডুয়েল স্পিকারযুক্ত স্মার্টফোনগুলোতে এনএফসি এবং আইআর রিমোট কন্ট্রোল সুবিধাসহ এআই রাইটিং, কল অ্যাসিস্ট্যান্ট, সার্কেল টু সার্চ এবং এআই স্টুডিও যুক্ত রয়েছে। ‘পোভা স্লিম ফাইভ–জি’ মডেলে ডায়মেনসিটি ৬৪০০ ফাইভ–জি প্রসেসর এবং হাইপার গেমিং ইঞ্জিন থাকায় সহজেই পাবজি গেমসহ বিভিন্ন গেম খেলা যাবে। এই স্মার্টফোনটিতে ৫১৬০ মিলিঅ্যাম্পিয়ার ব্যাটারি থাকার পাশাপাশি ৪৫ ওয়াট ফ্ল্যাশ চার্জের সুবিধা থাকায় চার্জ শেষ হওয়া নিয়ে চিন্তাও করতে হয় না। মিলিটারি-গ্রেড শক রেসিস্ট্যান্স–সুবিধার এই স্মার্টফোনটির পর্দার আকার ৬ দশমিক ৭৮ ইঞ্চি। অ্যামোলেড পর্দার স্মার্টফোনটির রিফ্রেশ রেট ১৪৪ হার্ডজ হওয়ায় গেম খেলার পাশাপাশি উন্নত রেজল্যুশনের ভিডিও দেখা যাবে। স্মার্টফোনটির পেছনে ৫০ এবং ২ মেগাপিক্সেলের ক্যামেরা রয়েছে। আর সামনে রয়েছে ১৩ মেগাপিক্সেলের সেলফি ক্যামেরা। স্মার্টফোনটির দাম ২৯ হাজার ৯৯৯ টাকা।
‘পোভা কার্ভ ফাইভ–জি’ মডেলটিতে ডায়মেনসিটি ৭৩০০ ফাইভ–জি প্রসেসর এবং হাইপার গেমিং ইঞ্জিন রয়েছে। যে কারণে সহজেই পাবজি গেমসহ উন্নত রেজল্যুশনের বিভিন্ন গেম খেলা যায়। ৬ দশমিক ৭৮ ইঞ্চির অ্যামোলেড পর্দার এই স্মার্টফোনটির রিফ্রেশ রেট ১৪৪ হার্ডজ। যে কারণে স্বচ্ছন্দে ভিডিও দেখার পাশাপাশি গেম খেলা যায়। স্মার্টফোনটির সামনে-পেছনে ১৩ এবং ৬৪ মেগাপিক্সেলের ক্যামেরা রয়েছে। ১৫এক্স ডিজিটাল জুম–সুবিধার এই স্মার্টফোনটির দাম ৩২ হাজার ৯৯৯ টাকা।
‘পোভা ৭ প্রো ফাইভ–জি’ মডেলের স্মার্টফোনটিতে রয়েছে বিশেষ স্ট্যাটাস লাইট, যা নোটিফিকেশন এবং গেমিংয়ের সময় বেশ কার্যকর। এই স্মার্টফোনটিতে ডায়মেনসিটি ৭৩০০ আলটিমেট ফাইভ–জি প্রসেসর এবং হাইপার গেমিং ইঞ্জিন থাকায় সহজেই উন্নত রেজল্যুশনের গেম খেলার পাশাপাশি দ্রুত বিভিন্ন কাজও করা যাবে। ৬ দশমিক ৭৮ ইঞ্চির অ্যামোলেড পর্দার এই স্মার্টফোনটির রিফ্রেশ রেট ১৪৪ হার্ডজ। স্মার্টফোনটির পেছনে ৬৪ এবং ৮ মেগাপিক্সেলের ক্যামেরা রয়েছে। আর সামনে রয়েছে ১৩ মেগাপিক্সেলের সেলফি ক্যামেরা। এই স্মার্টফোনটিতে ৬০০০ মিলিঅ্যাম্পিয়ার ব্যাটারি থাকার পাশাপাশি ৪৫ ওয়াট ফ্ল্যাশ চার্জের সুবিধা ধাকায় চার্জ শেষ হওয়া নিয়ে কোনো চিন্তা করতে হবে না। এই স্মার্টফোনটির দাম ধরা হয়েছে ৩৪ হাজার ৯৯৯ টাকা।
>>>>>>>>>>>>>>
ডেঙ্গু প্রতিরোধ করবেন যেভাবে
মশা বাহিত একপ্রকার ভাইরাস জ্বর হলো ডেঙ্গু। এই জ্বর অন্যান্য ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়াজনিত জ্বর থেকে ভিন্ন। অবশ্য এই জ্বর কোনোভাবেই ছোঁয়াচে নয়। এই ভাইরাস জ্বর এককভাবে বা অন্যান্য ভাইরাস (চিকুনগুনিয়া, ইয়েলো ফিভার, বার্মা ফরেস্ট, ফ্লু, রেসপাইরেটরি সিনসাইটিয়াল) এবং ব্যাকটেরিয়া (নিউমোক্কাস)-এর সঙ্গেও হতে পারে।
লক্ষণ ও জ্বরের তীব্রতার ওপর নির্ভর করে ডেঙ্গুজ্বরকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে-
১. সাধারণ ডেঙ্গুজ্বর
২. রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বর।
সাধারণ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে চোখে পড়ে মূলত নিচের এই লক্ষণগুলো-
১. হঠাৎ করে তীব্র জ্বর ও তা ২ থেকে ৭ দিন স্থায়ী হওয়া।
২. তীব্র মাথাব্যথা হওয়া।
৩. চোখের পেছনের অংশে ব্যথা হওয়া।
৪. জ্বরের সঙ্গে সঙ্গে সারা শরীরে লালচে ফুসকুড়ি চোখে পড়া।
৫. সম্পূর্ণ শরীরে তীব্র ব্যথা ও সেইসঙ্গে কোমরে ব্যথা।
৬. বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া।
৭. ত্বকে র্যাশ বা লাল দানা দানা দেখা দেওয়া।
রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে :
১. ২ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তীব্র জ্বর সঙ্গে নাক, মুখ বা বমির সঙ্গে রক্ত যাওয়া।
২. জ্বরের পাশাপাশি বুকে বা পেটে পানি জমে যাওয়া।
এইসব লক্ষণের যে কোনো একটি লক্ষণ দেখা দিলেই দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।
অপরদিকে
জ্বরের প্রথম ৩ দিন বাড়িতে অপেক্ষা করুন। অপরদিকে সারা শরীর পানি দিয়ে স্পঞ্জ করুন কিছুক্ষণ পরপর। এতে করে জ্বরের মাত্রা কমে আসবে। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান ও বিশ্রাম নিতে হবে। এরপরেও জ্বর না কমলে বা কিছু সময় পরপর বাড়তে থাকলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন।
ডেঙ্গু প্রতিরোধে করণীয় বিষয়:
১. বাড়ির আশপাশ যতোটা সম্ভব পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে চেষ্টা করুন।
২. ঘরের ভেতরে থাকা ফুলের টব বা ভাঙা প্লাস্টিকের বোতল, ডাবের খোসা, টায়ার অথবা পলিথিন থাকলে তা দ্রুত পরিষ্কার করে ফেলুন ও ফুলের টব থেকে জমে থাকা পানি নিষ্কাশন করুন।
৩. মশা নিধনের জন্য সপ্তাহে অন্তত ৩ বার স্প্রে বা ফগিং করুন।
৪. বাড়ির বাইরে যাওয়ার সময় মশা নিধনে ব্যবহৃত ক্রিম সঙ্গে রাখতে পারেন।
৫. সন্ধ্যার পর বাড়ির ছোট থেকে বড় সদস্যরা মশারি ব্যবহার করুন।
৬. যেখানে-সেখানে জমে থাকা বৃষ্টির পানি পরিষ্কার করে ফেলুন, কারণ এতে এডিস মশা ডিম পেড়ে থাকে এই সময়।
৭. অপরদিকে মশার প্রকোপ থেকে বাঁচতে মশারির সঙ্গে সঙ্গে ম্যাট ব্যবহার করতে পারেন।
৮. এডিস মশা যেহেতু দিনের বেলা কামড়ায় তাই দিনের বেলায় ঘুমানোর সময় অবশ্যই মশারি টানিয়ে ঘুমানোর দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। সূত্র: https://dmpnews.org