দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ কন্নর চলচ্চিত্রও বার বার ইতিহাসি সৃষ্টি করছে। এবার সেই পথেই যাচ্ছে নতুন চলচ্চিত্র ‘কানতারা’। মাত্র ৩ দিনের মাথায় দেড়শ কোটি পার করেছে এটির আয়!

চিন্তা করা যায়! ভারতের বক্স অফিসে বর্তমানে রাজত্ব করছে কন্নড় সিনেমা। দুর্গাপুজার ছুটির শুরুতে মুক্তি পাওয়া ঋষভ শেঠির নতুন চলচ্চিত্র ‘কানতারা: চ্যাপ্টার ১’ বর্তমানে ছুটে চলেছে দুর্বার গতিতে। মুক্তির মাত্র ৩ দিনের মাথায় এই কন্নড় সিনেমা আয় করেছে ১৬২ কোটি রুপি, যা চলতি বছরের অন্যতম সেরা ওপেনিং হিসেবে ধরা হচ্ছে।
৫ অক্টোবর পর্যন্ত (তৃতীয় দিন) এই সিনেমাটি ভারতের অভ্যন্তরীণ বাজারে ১৬২ দশমিক ৮৫ কোটি রুপি সংগ্রহ করেছে। বিশ্লেষণ সংস্থা স্যাকনিল্কের তথ্য অনুযায়ী জানা যায়, প্রথম দিনে ‘কানতারা: চ্যাপ্টার ১’ আয় করে ৬১ দশমিক ৮৫ কোটি রুপি, পরের দিন আয় করে ৪৬ কোটি এবং তৃতীয় দিনে আরও ৫৫ কোটি রুপি। মাত্র ৩ দিনে এই অঙ্ক ছুঁয়েছে ১৫০ কোটির গণ্ডি। মাত্র ৩ দিনেই সিনেমাটি বছরের সর্বোচ্চ আয়কারী কন্নড় সিনেমা হিসেবে স্থান করে নিয়েছে।
ঋষভ শেঠির এই সিনেমাটি শুধু আঞ্চলিক সিনেমার মধ্যেই নয়; বরং পুরো ভারতে বড় বাজেটের চলচ্চিত্রগুলোকেও টেক্কা দিতে যাচ্ছে। শনিবারই এটি পেছনে ফেলেছে সালমান খানের ‘সিকান্দার’ (১১০ কোটি রুপি) এবং রামচরণের ‘গেম চেঞ্জার’ (১৩১ কোটি রুপি)-কে। এই অর্জনের সঙ্গে ‘কানতারা: চ্যাপ্টার ১’ বর্তমানে কন্নড় ইন্ডাস্ট্রির ইতিহাসে মাত্র চতুর্থ সিনেমা, যা ১৫০ কোটির ক্লাবে প্রবেশ করেছে।
শুধু ভারতেই নয়, বিদেশেও সিনেমাটির জনপ্রিয়তা ক্রমেই বাড়ছে। মুক্তির প্রথম দুই দিনেই আন্তর্জাতিক বাজারে সিনেমাটি আয় করেছে ২ দশমিক ৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলার (প্রায় ২২ কোটি রুপি)। সপ্তাহান্তে এই আয় আরও বাড়বে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
‘কানতারা: চ্যাপ্টার ১’ প্রকৃতপক্ষে জনপ্রিয় ‘কানতারা’ সিনেমার প্রিকুয়েল। আগের সিনেমাটির অনন্য সাফল্যের পর দর্শকদের প্রত্যাশা ছিল আকাশছোঁয়া, এবং ঋষভ শেঠি যেনো সেই প্রত্যাশারও ঊর্ধ্বে চলে গেছেন। সিনেমাটি ইতিহাস, মিথ এবং লোকজ বিশ্বাসের মেলবন্ধনে গড়ে ওঠা এক শক্তিশালী পিরিয়ড অ্যাকশন ড্রামা, যেখানে ঋষভ আবারও তার পরিচালনা এবং অভিনয়ের দক্ষতার পরিচয়ও দিয়েছেন।
সিনেমাটির প্রতি দর্শকের আগ্রহ কমার কোনো লক্ষণই নেই। সমালোচকদের মতে, যদি এই ধারা অব্যাহত থাকে, তাহলে এটি শীঘ্রই ২০০ কোটির ক্লাবেও জায়গা করে নিতে পারে। তথ্যসূত্র : ইন্ডিয়া টুডে।
>>>>>>>>>>>>>>
ডেঙ্গু প্রতিরোধ করবেন যেভাবে
মশা বাহিত একপ্রকার ভাইরাস জ্বর হলো ডেঙ্গু। এই জ্বর অন্যান্য ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়াজনিত জ্বর থেকে ভিন্ন। অবশ্য এই জ্বর কোনোভাবেই ছোঁয়াচে নয়। এই ভাইরাস জ্বর এককভাবে বা অন্যান্য ভাইরাস (চিকুনগুনিয়া, ইয়েলো ফিভার, বার্মা ফরেস্ট, ফ্লু, রেসপাইরেটরি সিনসাইটিয়াল) এবং ব্যাকটেরিয়া (নিউমোক্কাস)-এর সঙ্গেও হতে পারে।
লক্ষণ ও জ্বরের তীব্রতার ওপর নির্ভর করে ডেঙ্গুজ্বরকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে-
১. সাধারণ ডেঙ্গুজ্বর
২. রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বর।
সাধারণ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে চোখে পড়ে মূলত নিচের এই লক্ষণগুলো-
১. হঠাৎ করে তীব্র জ্বর ও তা ২ থেকে ৭ দিন স্থায়ী হওয়া।
২. তীব্র মাথাব্যথা হওয়া।
৩. চোখের পেছনের অংশে ব্যথা হওয়া।
৪. জ্বরের সঙ্গে সঙ্গে সারা শরীরে লালচে ফুসকুড়ি চোখে পড়া।
৫. সম্পূর্ণ শরীরে তীব্র ব্যথা ও সেইসঙ্গে কোমরে ব্যথা।
৬. বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া।
৭. ত্বকে র্যাশ বা লাল দানা দানা দেখা দেওয়া।
রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে :
১. ২ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তীব্র জ্বর সঙ্গে নাক, মুখ বা বমির সঙ্গে রক্ত যাওয়া।
২. জ্বরের পাশাপাশি বুকে বা পেটে পানি জমে যাওয়া।
এইসব লক্ষণের যে কোনো একটি লক্ষণ দেখা দিলেই দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।
অপরদিকে
জ্বরের প্রথম ৩ দিন বাড়িতে অপেক্ষা করুন। অপরদিকে সারা শরীর পানি দিয়ে স্পঞ্জ করুন কিছুক্ষণ পরপর। এতে করে জ্বরের মাত্রা কমে আসবে। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান ও বিশ্রাম নিতে হবে। এরপরেও জ্বর না কমলে বা কিছু সময় পরপর বাড়তে থাকলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন।
ডেঙ্গু প্রতিরোধে করণীয় বিষয়:
১. বাড়ির আশপাশ যতোটা সম্ভব পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে চেষ্টা করুন।
২. ঘরের ভেতরে থাকা ফুলের টব বা ভাঙা প্লাস্টিকের বোতল, ডাবের খোসা, টায়ার অথবা পলিথিন থাকলে তা দ্রুত পরিষ্কার করে ফেলুন ও ফুলের টব থেকে জমে থাকা পানি নিষ্কাশন করুন।
৩. মশা নিধনের জন্য সপ্তাহে অন্তত ৩ বার স্প্রে বা ফগিং করুন।
৪. বাড়ির বাইরে যাওয়ার সময় মশা নিধনে ব্যবহৃত ক্রিম সঙ্গে রাখতে পারেন।
৫. সন্ধ্যার পর বাড়ির ছোট থেকে বড় সদস্যরা মশারি ব্যবহার করুন।
৬. যেখানে-সেখানে জমে থাকা বৃষ্টির পানি পরিষ্কার করে ফেলুন, কারণ এতে এডিস মশা ডিম পেড়ে থাকে এই সময়।
৭. অপরদিকে মশার প্রকোপ থেকে বাঁচতে মশারির সঙ্গে সঙ্গে ম্যাট ব্যবহার করতে পারেন।
৮. এডিস মশা যেহেতু দিনের বেলা কামড়ায় তাই দিনের বেলায় ঘুমানোর সময় অবশ্যই মশারি টানিয়ে ঘুমানোর দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। সূত্র: https://dmpnews.org