দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মর্যাদাপূর্ণ এনভায়রনমেন্টাল মিডিয়া অ্যাসোসিয়েশন (এমা) অ্যাওয়ার্ডের স্বল্পদৈর্ঘ্য বিভাগে প্রথমবারের মতো জায়গা করে নিলো বাংলাদেশের চলচ্চিত্র ‘নিশি’।

এবারের ৩৫তম আসরে প্রদর্শিত হবে গোলাম রাব্বানী এবং জহিরুল ইসলামের যৌথ পরিচালনায় নির্মিত স্বল্পদৈর্ঘ্য সিনেমা ‘নিশি’। বাংলাদেশ সময় রবিবার (১২ অক্টোবর) সকালে সিনেমাটি প্রদর্শিত হওয়ার কথা।
প্রযোজনা সংস্থা ইন্টারন্যাশনাল একাডেমি অব ফিল্ম অ্যান্ড মিডিয়া জানিয়েছে, এই মনোনয়ন পাওয়ার মাধ্যমে ‘নিশি’ এখন বিশ্বের সেরা ৩টি স্টুডেন্ট ফিল্মের একটি হিসেবেও বিবেচিত হচ্ছে, যা বাংলাদেশের চলচ্চিত্রশিল্পের জন্য একটি বড় ধরনের অর্জন।
ইউরোপীয় ইউনিয়ন বাংলাদেশ, গ্রিন ফিল্ম স্কুল অ্যালায়েন্স এবং ইউনেসকো ঢাকার সহযোগিতায় নির্মিত হয়েছে ‘নিশি’। গল্পে দেখা যায় যে, এক চা-শ্রমিকের কন্যাসন্তানের পড়ালেখা বন্ধ হয়ে যায় পানির সংকটে। বাড়িতে একটি টিউবওয়েল বসানোর প্রলোভন দেখিয়ে নাবালিকা নিশিকে বিয়ে করতে চান কাঠ ব্যবসায়ী লালচাঁন।
সিনেমাটির চূড়ান্ত সম্পাদনা, কালার এবং সাউন্ডের কাজ হয়েছে পোল্যান্ডের বিখ্যাত লড ফিল্ম স্কুলে। চিত্রগ্রহণে ছিলেন ওই প্রতিষ্ঠানের প্রাক্তনী নাতালিয়া পুসনিক। সিলেটের একটি চা-বাগান এবং আশপাশের এলাকায় হয়েছে এটির শুটিং, যেখানে অভিনয় করেছেন চা-বাগানের শ্রমিকরাও।
নির্মাতা গোলাম রাব্বানী জানিয়েছেন যে, ‘নিশি’ বর্তমানে বিশ্বের বিভিন্ন চলচ্চিত্র উৎসবেই অংশগ্রহণের জন্য পাঠানো হচ্ছে। খুব শীঘ্রই বাংলাদেশেও এই সিনেমাটির প্রদর্শনীর ব্যবস্থা করা হবে।
উল্লেখ্য, ইতিপূর্বে গোলাম রাব্বানী পরিচালিত ‘ছুরত’ এবংও ‘আনটাং’ স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র দু’টি ভেনিস ইন্টারকালচার ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল, বুদাপেস্ট চলচ্চিত্র উৎসব এবং ঢাকা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে পুরস্কৃত হয়।
>>>>>>>>>>>>>>
ডেঙ্গু প্রতিরোধ করবেন যেভাবে
মশা বাহিত একপ্রকার ভাইরাস জ্বর হলো ডেঙ্গু। এই জ্বর অন্যান্য ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়াজনিত জ্বর থেকে ভিন্ন। অবশ্য এই জ্বর কোনোভাবেই ছোঁয়াচে নয়। এই ভাইরাস জ্বর এককভাবে বা অন্যান্য ভাইরাস (চিকুনগুনিয়া, ইয়েলো ফিভার, বার্মা ফরেস্ট, ফ্লু, রেসপাইরেটরি সিনসাইটিয়াল) এবং ব্যাকটেরিয়া (নিউমোক্কাস)-এর সঙ্গেও হতে পারে।
লক্ষণ ও জ্বরের তীব্রতার ওপর নির্ভর করে ডেঙ্গুজ্বরকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে-
১. সাধারণ ডেঙ্গুজ্বর
২. রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বর।
সাধারণ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে চোখে পড়ে মূলত নিচের এই লক্ষণগুলো-
১. হঠাৎ করে তীব্র জ্বর ও তা ২ থেকে ৭ দিন স্থায়ী হওয়া।
২. তীব্র মাথাব্যথা হওয়া।
৩. চোখের পেছনের অংশে ব্যথা হওয়া।
৪. জ্বরের সঙ্গে সঙ্গে সারা শরীরে লালচে ফুসকুড়ি চোখে পড়া।
৫. সম্পূর্ণ শরীরে তীব্র ব্যথা ও সেইসঙ্গে কোমরে ব্যথা।
৬. বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া।
৭. ত্বকে র্যাশ বা লাল দানা দানা দেখা দেওয়া।
রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে :
১. ২ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তীব্র জ্বর সঙ্গে নাক, মুখ বা বমির সঙ্গে রক্ত যাওয়া।
২. জ্বরের পাশাপাশি বুকে বা পেটে পানি জমে যাওয়া।
এইসব লক্ষণের যে কোনো একটি লক্ষণ দেখা দিলেই দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।
অপরদিকে
জ্বরের প্রথম ৩ দিন বাড়িতে অপেক্ষা করুন। অপরদিকে সারা শরীর পানি দিয়ে স্পঞ্জ করুন কিছুক্ষণ পরপর। এতে করে জ্বরের মাত্রা কমে আসবে। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান ও বিশ্রাম নিতে হবে। এরপরেও জ্বর না কমলে বা কিছু সময় পরপর বাড়তে থাকলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন।
ডেঙ্গু প্রতিরোধে করণীয় বিষয়:
১. বাড়ির আশপাশ যতোটা সম্ভব পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে চেষ্টা করুন।
২. ঘরের ভেতরে থাকা ফুলের টব বা ভাঙা প্লাস্টিকের বোতল, ডাবের খোসা, টায়ার অথবা পলিথিন থাকলে তা দ্রুত পরিষ্কার করে ফেলুন ও ফুলের টব থেকে জমে থাকা পানি নিষ্কাশন করুন।
৩. মশা নিধনের জন্য সপ্তাহে অন্তত ৩ বার স্প্রে বা ফগিং করুন।
৪. বাড়ির বাইরে যাওয়ার সময় মশা নিধনে ব্যবহৃত ক্রিম সঙ্গে রাখতে পারেন।
৫. সন্ধ্যার পর বাড়ির ছোট থেকে বড় সদস্যরা মশারি ব্যবহার করুন।
৬. যেখানে-সেখানে জমে থাকা বৃষ্টির পানি পরিষ্কার করে ফেলুন, কারণ এতে এডিস মশা ডিম পেড়ে থাকে এই সময়।
৭. অপরদিকে মশার প্রকোপ থেকে বাঁচতে মশারির সঙ্গে সঙ্গে ম্যাট ব্যবহার করতে পারেন।
৮. এডিস মশা যেহেতু দিনের বেলা কামড়ায় তাই দিনের বেলায় ঘুমানোর সময় অবশ্যই মশারি টানিয়ে ঘুমানোর দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। সূত্র: https://dmpnews.org