দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ নিজেদের অরেঞ্জ ক্লাব মেম্বারদের বিশেষ স্বাস্থ্য সুবিধা দিতে সম্প্রতি ব্র্যাক হেলথকেয়ারের সাথে এক সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) স্বাক্ষর করেছে দেশের শীর্ষস্থানীয় উদ্ভাবনী ডিজিটাল অপারেটর বাংলালিংক।

এই অংশীদারত্বের কারণে, বাংলালিংকের অরেঞ্জ ক্লাবের সদস্যরা এখন থেকে ব্র্যাক হেলথকেয়ারের বিভিন্ন স্বাস্থ্যসেবায় বিশেষ ছাড় উপভোগ করতে পারবেন। এর মধ্যে রয়েছে নারীদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা প্যাকেজে ৩০ শতাংশ ছাড়, কিডনি ফাংশন টেস্টে ২৫ শতাংশ ছাড়, রেডিওলজি ও ইমেজিং পরীক্ষায় ১০ শতাংশ ছাড় এবং ফার্মেসি থেকে নির্ধারিত ওষুধ ক্রয়ে ৫ শতাংশ ছাড়।
সম্প্রতি, বাংলালিংকের প্রধান কার্যালয় টাইগার্স ডেনে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে এ সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়। অনুষ্ঠানে দুই প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
বাংলালিংকের পক্ষ থেকে উপস্থিত ছিলেন প্রতিষ্ঠানটির লয়্যালটি প্রোগ্রামের সিনিয়র ম্যানেজার জাইন জামান ও লয়্যালটি পার্টনারশিপ ম্যানেজার শাহাদাত এইচ মজুমদার। ব্র্যাক হেলথকেয়ারের পক্ষ থেকে উপস্থিত ছিলেন প্রতিষ্ঠানটির সিনিয়র ম্যানেজার অ্যান্ড হেড অব বিজনেস ডেভেলপমেন্ট অ্যান্ড পার্টনারশিপ মো. রোকনুজ্জামান এবং মার্কেট আউটরিচ অ্যান্ড কমিউনিকেশনসের ডেপুটি ম্যানেজার একেএম মঈনউদ্দিন।
বিষয়টি সম্পর্কে বাংলালিংকের চিফ করপোরেট অ্যান্ড রেগুলেটরি অ্যাফেয়ার্স অফিসার তাইমুর রহমান বলেন, “বাংলালিংকে আমরা সবসময় আমাদের গ্রাহকদের জীবন আরও উন্নত ও সহজ করতে কাজ করি। ব্র্যাক হেলথকেয়ারের সাথে এই অংশীদারত্বের মাধ্যমে আমরা চাই আমাদের অরেঞ্জ ক্লাব সদস্যরা যেন আরও সহজে ও কম খরচে মানসম্মত স্বাস্থ্যসেবা নিতে পারেন এবং স্বাচ্ছন্দ্যে প্রয়োজনীয় চিকিৎসা সেবা গ্রহণের অভিজ্ঞতা লাভ করেন।”
ব্র্যাক হেলথকেয়ারের সিনিয়র ম্যানেজার অ্যান্ড হেড অব বিজনেস ডেভেলপমেন্ট অ্যান্ড পার্টনারশিপ মো. রোকনুজ্জামান বলেন, “বাংলালিংকের সাথে এই উদ্যোগে যুক্ত হতে পেরে আমরা আনন্দিত। আমরা চাই আরও বেশি মানুষ সাশ্রয়ী মূল্যে আমাদের স্বাস্থ্যসেবা গ্রহণের সুযোগ পাক। আমরা সবাইকে নিজেদের স্বাস্থ্যের যত্ন নিতে এবং নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষাকে অভ্যাসে পরিণত করতে উৎসাহিত করতে চাই।”
খবর সংবাদ বিজ্ঞপ্তির।
>>>>>>>>>>>>>>
ডেঙ্গু প্রতিরোধ করবেন যেভাবে
মশা বাহিত একপ্রকার ভাইরাস জ্বর হলো ডেঙ্গু। এই জ্বর অন্যান্য ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়াজনিত জ্বর থেকে ভিন্ন। অবশ্য এই জ্বর কোনোভাবেই ছোঁয়াচে নয়। এই ভাইরাস জ্বর এককভাবে বা অন্যান্য ভাইরাস (চিকুনগুনিয়া, ইয়েলো ফিভার, বার্মা ফরেস্ট, ফ্লু, রেসপাইরেটরি সিনসাইটিয়াল) এবং ব্যাকটেরিয়া (নিউমোক্কাস)-এর সঙ্গেও হতে পারে।
লক্ষণ ও জ্বরের তীব্রতার ওপর নির্ভর করে ডেঙ্গুজ্বরকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে-
১. সাধারণ ডেঙ্গুজ্বর
২. রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বর।
সাধারণ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে চোখে পড়ে মূলত নিচের এই লক্ষণগুলো-
১. হঠাৎ করে তীব্র জ্বর ও তা ২ থেকে ৭ দিন স্থায়ী হওয়া।
২. তীব্র মাথাব্যথা হওয়া।
৩. চোখের পেছনের অংশে ব্যথা হওয়া।
৪. জ্বরের সঙ্গে সঙ্গে সারা শরীরে লালচে ফুসকুড়ি চোখে পড়া।
৫. সম্পূর্ণ শরীরে তীব্র ব্যথা ও সেইসঙ্গে কোমরে ব্যথা।
৬. বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া।
৭. ত্বকে র্যাশ বা লাল দানা দানা দেখা দেওয়া।
রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে :
১. ২ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তীব্র জ্বর সঙ্গে নাক, মুখ বা বমির সঙ্গে রক্ত যাওয়া।
২. জ্বরের পাশাপাশি বুকে বা পেটে পানি জমে যাওয়া।
এইসব লক্ষণের যে কোনো একটি লক্ষণ দেখা দিলেই দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।
অপরদিকে
জ্বরের প্রথম ৩ দিন বাড়িতে অপেক্ষা করুন। অপরদিকে সারা শরীর পানি দিয়ে স্পঞ্জ করুন কিছুক্ষণ পরপর। এতে করে জ্বরের মাত্রা কমে আসবে। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান ও বিশ্রাম নিতে হবে। এরপরেও জ্বর না কমলে বা কিছু সময় পরপর বাড়তে থাকলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন।
ডেঙ্গু প্রতিরোধে করণীয় বিষয়:
১. বাড়ির আশপাশ যতোটা সম্ভব পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে চেষ্টা করুন।
২. ঘরের ভেতরে থাকা ফুলের টব বা ভাঙা প্লাস্টিকের বোতল, ডাবের খোসা, টায়ার অথবা পলিথিন থাকলে তা দ্রুত পরিষ্কার করে ফেলুন ও ফুলের টব থেকে জমে থাকা পানি নিষ্কাশন করুন।
৩. মশা নিধনের জন্য সপ্তাহে অন্তত ৩ বার স্প্রে বা ফগিং করুন।
৪. বাড়ির বাইরে যাওয়ার সময় মশা নিধনে ব্যবহৃত ক্রিম সঙ্গে রাখতে পারেন।
৫. সন্ধ্যার পর বাড়ির ছোট থেকে বড় সদস্যরা মশারি ব্যবহার করুন।
৬. যেখানে-সেখানে জমে থাকা বৃষ্টির পানি পরিষ্কার করে ফেলুন, কারণ এতে এডিস মশা ডিম পেড়ে থাকে এই সময়।
৭. অপরদিকে মশার প্রকোপ থেকে বাঁচতে মশারির সঙ্গে সঙ্গে ম্যাট ব্যবহার করতে পারেন।
৮. এডিস মশা যেহেতু দিনের বেলা কামড়ায় তাই দিনের বেলায় ঘুমানোর সময় অবশ্যই মশারি টানিয়ে ঘুমানোর দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। সূত্র: https://dmpnews.org