দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে অনুষ্ঠিত ৩৫তম এনভায়রনমেন্টাল মিডিয়া অ্যাওয়ার্ডস (এমা)-এর স্টুডেন্ট ক্যাটাগরিতে পুরস্কার জিতলো বাংলাদেশি স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র ‘নিশি’।

এই সিনেমাটি পরিচালনা করেছেন গোলাম রাব্বানী। এই প্রথমবারের মতো কোনো বাংলাদেশি চলচ্চিত্র এমা অ্যাওয়ার্ডে বিজয়ী হলো।
স্থানীয় সময় ১১ অক্টোবর লস অ্যাঞ্জেলসের রেডফোর্ড স্টুডিও সেন্টারে বিজয়ীদের নাম ঘোষণা করা হয়েছে। পুরস্কার ঘোষণার পর প্রযোজনা সংস্থা ইন্টারন্যাশনাল একাডেমি অব ফিল্ম অ্যান্ড মিডিয়া জানায় যে, ‘নিশি’ এখন বিশ্বের সেরা ৩টি স্টুডেন্ট ফিল্মের মধ্যে অন্যতম।
চলচ্চিত্রটির গল্প, চিত্রনাট্য এবং পরিচালনায় ছিলেন গোলাম রাব্বানী; আর সহপরিচালক হিসেবে কাজ করেছেন জহিরুল ইসলাম। পুরস্কার সম্পর্কে নির্মাতা রাব্বানী বলেছেন, “এটি বাংলা চলচ্চিত্রের জন্য এক গৌরবময় অর্জন। আমি সবসময় প্রাণ প্রকৃতির গল্প বলতে চাই, এই অর্জন আমাদের যাত্রাকে আরও গতিময় করবে।”
‘নিশি’র গল্পে উঠে এসেছে পরিবেশ, সমাজ এবং মানবিক বাস্তবতা। এক চা শ্রমিক পরিবারের কন্যার পানির সংকটের কারণে শিক্ষা বন্ধ হয়ে যাওয়ার গল্প বলা হয় এই চলচ্চিত্রে। সেই সুযোগে এক কাঠ ব্যবসায়ী টিউবওয়েল দেওয়ার অজুহাত দেখিয়ে মেয়েটিকে বাল্যবিবাহে বাধ্য করতে চায়।
এতে অভিনয় করেছেন নিশি, বিশ্বজিৎ, গণেষ ও ভারতী। শুটিং হয়েছে সিলেটের একটি চা বাগানে।
চলচ্চিত্রটির পোস্ট-প্রোডাকশনের কাজ হয়েছে পোল্যান্ডের লজ ফিল্ম স্কুলে, যা বাংলাদেশের কোনো সিনেমার ক্ষেত্রে এটিই প্রথম। সিনেমাটোগ্রাফিতে ছিলেন ওই স্কুলের প্রাক্তনী নাতালিয়া পুসনিক।
‘নিশি’ বর্তমানে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে পাঠানো হচ্ছে ও শীঘ্রই বাংলাদেশেও প্রদর্শিত হবে বলে জানিয়েছেন এর নির্মাতা রাব্বানী।
>>>>>>>>>>>>>>
ডেঙ্গু প্রতিরোধ করবেন যেভাবে
মশা বাহিত একপ্রকার ভাইরাস জ্বর হলো ডেঙ্গু। এই জ্বর অন্যান্য ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়াজনিত জ্বর থেকে ভিন্ন। অবশ্য এই জ্বর কোনোভাবেই ছোঁয়াচে নয়। এই ভাইরাস জ্বর এককভাবে বা অন্যান্য ভাইরাস (চিকুনগুনিয়া, ইয়েলো ফিভার, বার্মা ফরেস্ট, ফ্লু, রেসপাইরেটরি সিনসাইটিয়াল) এবং ব্যাকটেরিয়া (নিউমোক্কাস)-এর সঙ্গেও হতে পারে।
লক্ষণ ও জ্বরের তীব্রতার ওপর নির্ভর করে ডেঙ্গুজ্বরকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে-
১. সাধারণ ডেঙ্গুজ্বর
২. রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বর।
সাধারণ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে চোখে পড়ে মূলত নিচের এই লক্ষণগুলো-
১. হঠাৎ করে তীব্র জ্বর ও তা ২ থেকে ৭ দিন স্থায়ী হওয়া।
২. তীব্র মাথাব্যথা হওয়া।
৩. চোখের পেছনের অংশে ব্যথা হওয়া।
৪. জ্বরের সঙ্গে সঙ্গে সারা শরীরে লালচে ফুসকুড়ি চোখে পড়া।
৫. সম্পূর্ণ শরীরে তীব্র ব্যথা ও সেইসঙ্গে কোমরে ব্যথা।
৬. বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া।
৭. ত্বকে র্যাশ বা লাল দানা দানা দেখা দেওয়া।
রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে :
১. ২ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তীব্র জ্বর সঙ্গে নাক, মুখ বা বমির সঙ্গে রক্ত যাওয়া।
২. জ্বরের পাশাপাশি বুকে বা পেটে পানি জমে যাওয়া।
এইসব লক্ষণের যে কোনো একটি লক্ষণ দেখা দিলেই দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।
অপরদিকে
জ্বরের প্রথম ৩ দিন বাড়িতে অপেক্ষা করুন। অপরদিকে সারা শরীর পানি দিয়ে স্পঞ্জ করুন কিছুক্ষণ পরপর। এতে করে জ্বরের মাত্রা কমে আসবে। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান ও বিশ্রাম নিতে হবে। এরপরেও জ্বর না কমলে বা কিছু সময় পরপর বাড়তে থাকলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন।
ডেঙ্গু প্রতিরোধে করণীয় বিষয়:
১. বাড়ির আশপাশ যতোটা সম্ভব পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে চেষ্টা করুন।
২. ঘরের ভেতরে থাকা ফুলের টব বা ভাঙা প্লাস্টিকের বোতল, ডাবের খোসা, টায়ার অথবা পলিথিন থাকলে তা দ্রুত পরিষ্কার করে ফেলুন ও ফুলের টব থেকে জমে থাকা পানি নিষ্কাশন করুন।
৩. মশা নিধনের জন্য সপ্তাহে অন্তত ৩ বার স্প্রে বা ফগিং করুন।
৪. বাড়ির বাইরে যাওয়ার সময় মশা নিধনে ব্যবহৃত ক্রিম সঙ্গে রাখতে পারেন।
৫. সন্ধ্যার পর বাড়ির ছোট থেকে বড় সদস্যরা মশারি ব্যবহার করুন।
৬. যেখানে-সেখানে জমে থাকা বৃষ্টির পানি পরিষ্কার করে ফেলুন, কারণ এতে এডিস মশা ডিম পেড়ে থাকে এই সময়।
৭. অপরদিকে মশার প্রকোপ থেকে বাঁচতে মশারির সঙ্গে সঙ্গে ম্যাট ব্যবহার করতে পারেন।
৮. এডিস মশা যেহেতু দিনের বেলা কামড়ায় তাই দিনের বেলায় ঘুমানোর সময় অবশ্যই মশারি টানিয়ে ঘুমানোর দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। সূত্র: https://dmpnews.org