দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ সম্প্রতি অনুষ্ঠিত এশিয়া কাপের ম্যাচ লাইভ স্ট্রিমিংয়ে এক ঐতিহাসিক মাইলফলক অর্জন করেছে দেশের শীর্ষস্থানীয় ডিজিটাল এন্টারটেইনমেন্ট প্ল্যাটফর্ম ‘টফি’।

টুর্নামেন্টটি টফিতে সরাসরি সম্প্রচারকালে অভূতপূর্ব দর্শক সম্পৃক্ততা লক্ষ্য করা গেছে, যা বাংলাদেশের ডিজিটাল কনটেন্ট উপভোগের ক্ষেত্রে এক নতুন দিগন্ত উন্মোচন করেছে।
পুরো টুর্নামেন্ট চলাকালে এশিয়া কাপের ম্যাচগুলো টফিতে দেখা হয়েছে মোট ৩ কোটি ৮০ লাখ বার- যা দেশের ক্রীড়ামোদীদের কাছে সর্বাধিক জনপ্রিয় ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম হিসেবে টফির অবস্থানকে আরো সুদৃঢ় করেছে।
বহুল আকাঙ্খিত ভারত বনাম বাংলাদেশ ম্যাচে দর্শকসংখ্যা ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পায় এবং এই ম্যাচে সর্বোচ্চ ৩৩ লক্ষ ভিউ রেকর্ড করা হয়। এটিই এখন পর্যন্ত টফিতে সরাসরি সম্প্রচারিত যেকোনো খেলার মধ্যে সর্বোচ্চ দর্শকসংখ্যার রেকর্ড, যা একইসাথে বাংলাদেশের মানুষের ক্রিকেটের প্রতি ভালোবাসা এবং টফির প্রযুক্তিগত সক্ষমতার একটি প্রতিফলন।
এই মাইলফলক সম্পর্কে বাংলালিংকের প্রধান ডিজিটাল কর্মকর্তা গোলাম কিবরিয়া বলেন, “এশিয়া কাপ লাইভ স্ট্রিমিংয়ে আমরা যে অভাবনীয় সাড়া পেয়েছি, তা প্রমাণ করে যে টফি বাংলাদেশের ডিজিটাল বিনোদন ব্যবস্থাকে নতুনভাবে সংজ্ঞায়িত করছে। এক ম্যাচে ৩৩ লাখ ভিউ প্রমাণ করে, দর্শকেরা এখন মোবাইল-কেন্দ্রিক এবং সব নেটওয়ার্কে দেখা যায় এমন (নেটওয়ার্ক-অ্যাগনস্টিক) কনটেন্টের দিকে বেশি ঝুঁকছেন। আমাদের ওপর আস্থা রাখার জন্য এবং উৎসাহ দেওয়ার জন্য আমাদের দর্শকদের প্রতি আমরা বিশেষভাবে কৃতজ্ঞ। দর্শকদের জন্য আইসিসি নারী বিশ্বকাপ, ইপিএল সহ বিশ্বমানের আরও খেলার সরাসরি সম্প্রচার নিয়ে আসতে আমরা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ”।
যেকোনো মোবাইল নেটওয়ার্কে উচ্চমানের, নির্বিঘ্ন লাইভ স্ট্রিমিং প্রদানের সক্ষমতা টফিকে এই সফলতা এনে দিয়েছে। দেশের যে কোনো প্রান্ত থেকে কোটি দর্শক সরাসরি খেলা উপভোগ করতে পারছেন টফির মাধ্যমে।
খবর সংবাদ বিজ্ঞপ্তির।
>>>>>>>>>>>>>>
ডেঙ্গু প্রতিরোধ করবেন যেভাবে
মশা বাহিত একপ্রকার ভাইরাস জ্বর হলো ডেঙ্গু। এই জ্বর অন্যান্য ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়াজনিত জ্বর থেকে ভিন্ন। অবশ্য এই জ্বর কোনোভাবেই ছোঁয়াচে নয়। এই ভাইরাস জ্বর এককভাবে বা অন্যান্য ভাইরাস (চিকুনগুনিয়া, ইয়েলো ফিভার, বার্মা ফরেস্ট, ফ্লু, রেসপাইরেটরি সিনসাইটিয়াল) এবং ব্যাকটেরিয়া (নিউমোক্কাস)-এর সঙ্গেও হতে পারে।
লক্ষণ ও জ্বরের তীব্রতার ওপর নির্ভর করে ডেঙ্গুজ্বরকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে-
১. সাধারণ ডেঙ্গুজ্বর
২. রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বর।
সাধারণ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে চোখে পড়ে মূলত নিচের এই লক্ষণগুলো-
১. হঠাৎ করে তীব্র জ্বর ও তা ২ থেকে ৭ দিন স্থায়ী হওয়া।
২. তীব্র মাথাব্যথা হওয়া।
৩. চোখের পেছনের অংশে ব্যথা হওয়া।
৪. জ্বরের সঙ্গে সঙ্গে সারা শরীরে লালচে ফুসকুড়ি চোখে পড়া।
৫. সম্পূর্ণ শরীরে তীব্র ব্যথা ও সেইসঙ্গে কোমরে ব্যথা।
৬. বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া।
৭. ত্বকে র্যাশ বা লাল দানা দানা দেখা দেওয়া।
রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে :
১. ২ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তীব্র জ্বর সঙ্গে নাক, মুখ বা বমির সঙ্গে রক্ত যাওয়া।
২. জ্বরের পাশাপাশি বুকে বা পেটে পানি জমে যাওয়া।
এইসব লক্ষণের যে কোনো একটি লক্ষণ দেখা দিলেই দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।
অপরদিকে
জ্বরের প্রথম ৩ দিন বাড়িতে অপেক্ষা করুন। অপরদিকে সারা শরীর পানি দিয়ে স্পঞ্জ করুন কিছুক্ষণ পরপর। এতে করে জ্বরের মাত্রা কমে আসবে। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান ও বিশ্রাম নিতে হবে। এরপরেও জ্বর না কমলে বা কিছু সময় পরপর বাড়তে থাকলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন।
ডেঙ্গু প্রতিরোধে করণীয় বিষয়:
১. বাড়ির আশপাশ যতোটা সম্ভব পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে চেষ্টা করুন।
২. ঘরের ভেতরে থাকা ফুলের টব বা ভাঙা প্লাস্টিকের বোতল, ডাবের খোসা, টায়ার অথবা পলিথিন থাকলে তা দ্রুত পরিষ্কার করে ফেলুন ও ফুলের টব থেকে জমে থাকা পানি নিষ্কাশন করুন।
৩. মশা নিধনের জন্য সপ্তাহে অন্তত ৩ বার স্প্রে বা ফগিং করুন।
৪. বাড়ির বাইরে যাওয়ার সময় মশা নিধনে ব্যবহৃত ক্রিম সঙ্গে রাখতে পারেন।
৫. সন্ধ্যার পর বাড়ির ছোট থেকে বড় সদস্যরা মশারি ব্যবহার করুন।
৬. যেখানে-সেখানে জমে থাকা বৃষ্টির পানি পরিষ্কার করে ফেলুন, কারণ এতে এডিস মশা ডিম পেড়ে থাকে এই সময়।
৭. অপরদিকে মশার প্রকোপ থেকে বাঁচতে মশারির সঙ্গে সঙ্গে ম্যাট ব্যবহার করতে পারেন।
৮. এডিস মশা যেহেতু দিনের বেলা কামড়ায় তাই দিনের বেলায় ঘুমানোর সময় অবশ্যই মশারি টানিয়ে ঘুমানোর দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। সূত্র: https://dmpnews.org