দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ থাইল্যান্ডে এমন এক আইন রয়েছে- যা সাধারণভাবে “চাল–হাতিয়ার সঙ্গে যোগাযোগ” নিয়ন্ত্রণে রাখা হয়েছে। বিশেষভাবে বলা হয়, ১২০ টি-এর বেশি খেলার কার্ড বহন করা আইনানুগ নয়, কারণ হলো সেটি অন্যধরনের কার্যক্রমের ইঙ্গিত দিতে পারে।

কারণ এবং প্রেক্ষাপট
থাইল্যান্ডে জুয়া আইন কঠোর। তাই “খেলার কার্ড” কিংবা জুয়া-সংক্রান্ত সামগ্রী নিয়ন্ত্রণ করা হয়।
অপ্রচলিত বা পর্যটক-হাত ধরে কার্ড সুবহের্লাহ বিশেষ নিয়মের অংশ হয়েছে, যার উদ্দেশ্য জুয়া ও অপরাধ-কার্যের প্রতিরোধ।
বিস্ময়ের দৃষ্টিকোণ
সাধারণ যুক্তিতে মনে হয়- “১২১ টি কার্ড বহন করা কী আইনভঙ্গ?”র ধারণা হাস্যকর মনে হয়।
যদিও আইনটির বয়স পুরনো (১৯৩৫ সাল থেকে) হলেও আজও বাতিল হয়নি বা পর্যটকদের জন্য সচেতন করা হয়েছে।
এটি আইন ও দৈনন্দিন জীবনের মিল নিয়ে চিন্তা করার বিষয়। এমন বিষয়গুলোও আইন হতে পারে যা আমাদের মনে হয় অপ্রাসঙ্গিক।
প্রভাব এবং প্রতিফলন
পর্যটকরা এই আইন জানলে বিপদে পড়তে পারেন- বিশেষ করে কার্ড গেমসহ যাত্রা করলে।
দেশীয় নাগরিকদের ক্ষেত্রে এটি জুয়া নিয়ন্ত্রণের একটি অংশ হয়। আইন সচেতনতা বাড়ায়, কিন্তু অধিকাংশ সময় সংঘটিত হয়তো হয় না।
এই ধরনের আইন দেখায়- আইন শুধু মৌলিক অধিকার-নিয়ন্ত্রণই নয়, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক বিশেষ প্রেক্ষাপটেও তৈরি হয়।
সীমাবদ্ধতা এবং ভাবনার বিষয়
কতটা enforcement হচ্ছে, তা স্পষ্ট নয়। অনেক আইন হয়তো আজ “টেকসইভাবে প্রয়োগ” হয় না।
এমন আইন তালিকায় আছে কিন্তু বাস্তবে মানুষ হয়তো ভুলেও “১২১ টি কার্ড” নিয়েই চলেছে। আইন ও বাস্তবতার মধ্যে ফারাক রয়েছে।
ভবিষ্যতে এই ধরনের আইন পুনর্মূল্যায়ন হওয়াটা জরুরি। বিশেষ করে পর্যটক এবং আন্তর্জাতিক চলাচলের যুগে। -The Sun
>>>>>>>>>>>>>>
ডেঙ্গু প্রতিরোধ করবেন যেভাবে
মশা বাহিত একপ্রকার ভাইরাস জ্বর হলো ডেঙ্গু। এই জ্বর অন্যান্য ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়াজনিত জ্বর থেকে ভিন্ন। অবশ্য এই জ্বর কোনোভাবেই ছোঁয়াচে নয়। এই ভাইরাস জ্বর এককভাবে বা অন্যান্য ভাইরাস (চিকুনগুনিয়া, ইয়েলো ফিভার, বার্মা ফরেস্ট, ফ্লু, রেসপাইরেটরি সিনসাইটিয়াল) এবং ব্যাকটেরিয়া (নিউমোক্কাস)-এর সঙ্গেও হতে পারে।
লক্ষণ ও জ্বরের তীব্রতার ওপর নির্ভর করে ডেঙ্গুজ্বরকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে-
১. সাধারণ ডেঙ্গুজ্বর
২. রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বর।
সাধারণ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে চোখে পড়ে মূলত নিচের এই লক্ষণগুলো-
১. হঠাৎ করে তীব্র জ্বর ও তা ২ থেকে ৭ দিন স্থায়ী হওয়া।
২. তীব্র মাথাব্যথা হওয়া।
৩. চোখের পেছনের অংশে ব্যথা হওয়া।
৪. জ্বরের সঙ্গে সঙ্গে সারা শরীরে লালচে ফুসকুড়ি চোখে পড়া।
৫. সম্পূর্ণ শরীরে তীব্র ব্যথা ও সেইসঙ্গে কোমরে ব্যথা।
৬. বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া।
৭. ত্বকে র্যাশ বা লাল দানা দানা দেখা দেওয়া।
রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে :
১. ২ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তীব্র জ্বর সঙ্গে নাক, মুখ বা বমির সঙ্গে রক্ত যাওয়া।
২. জ্বরের পাশাপাশি বুকে বা পেটে পানি জমে যাওয়া।
এইসব লক্ষণের যে কোনো একটি লক্ষণ দেখা দিলেই দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।
অপরদিকে
জ্বরের প্রথম ৩ দিন বাড়িতে অপেক্ষা করুন। অপরদিকে সারা শরীর পানি দিয়ে স্পঞ্জ করুন কিছুক্ষণ পরপর। এতে করে জ্বরের মাত্রা কমে আসবে। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান ও বিশ্রাম নিতে হবে। এরপরেও জ্বর না কমলে বা কিছু সময় পরপর বাড়তে থাকলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন।
ডেঙ্গু প্রতিরোধে করণীয় বিষয়:
১. বাড়ির আশপাশ যতোটা সম্ভব পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে চেষ্টা করুন।
২. ঘরের ভেতরে থাকা ফুলের টব বা ভাঙা প্লাস্টিকের বোতল, ডাবের খোসা, টায়ার অথবা পলিথিন থাকলে তা দ্রুত পরিষ্কার করে ফেলুন ও ফুলের টব থেকে জমে থাকা পানি নিষ্কাশন করুন।
৩. মশা নিধনের জন্য সপ্তাহে অন্তত ৩ বার স্প্রে বা ফগিং করুন।
৪. বাড়ির বাইরে যাওয়ার সময় মশা নিধনে ব্যবহৃত ক্রিম সঙ্গে রাখতে পারেন।
৫. সন্ধ্যার পর বাড়ির ছোট থেকে বড় সদস্যরা মশারি ব্যবহার করুন।
৬. যেখানে-সেখানে জমে থাকা বৃষ্টির পানি পরিষ্কার করে ফেলুন, কারণ এতে এডিস মশা ডিম পেড়ে থাকে এই সময়।
৭. অপরদিকে মশার প্রকোপ থেকে বাঁচতে মশারির সঙ্গে সঙ্গে ম্যাট ব্যবহার করতে পারেন।
৮. এডিস মশা যেহেতু দিনের বেলা কামড়ায় তাই দিনের বেলায় ঘুমানোর সময় অবশ্যই মশারি টানিয়ে ঘুমানোর দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। সূত্র: https://dmpnews.org