দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ ভারত ও বাংলাদেশ দুই বাংলার জনপ্রিয় অভিনেত্রী নুসরাত ফারিয়া। মডেলিং এর মাধ্যমে বিনোদন জগতে প্রবেশ করার পর ২০১৫ সালে ‘আশিকী’ সিনেমার মাধ্যমে আত্মপ্রকাশ করেন রুপালি পর্দায়।

ভারতীয়-বাংলাদেশি যৌথ প্রযোজনার এই সিনেমাটি বাণিজ্যিকভাবেও সফল হয়। তার বিপরীতে অভিনয় করেন কলকাতার অঙ্কুশ হাজরা। এই সিনেমাটিই মূলত নুসরাত ফারিয়াকে জনপ্রিয় করে তোলে। তবে সাম্প্রতিক সময় সিনেমার গ্ল্যামারাস অভিনেত্রী অভিনয়ে এখন অনেকটা অনিয়মিত হয়ে পড়েছেন।
তবে স্যোশাল মিডিয়ায়তে নুসরাত ফারিয়া বেশ সরব। সম্প্রতি সামাজিক মাধ্যমে একটি পোস্টে বাবা-মায়ের ছবি পোস্ট করে আবেগঘন বার্তাও দিয়েছেন এই নায়িকা।

বাবা-মায়ের ৩৭ বছরের দাম্পত্য জীবনের প্রসঙ্গ টেনে ওই ছবির ক্যাপশনে ফারিয়া লিখেছেন যে, আম্মু-আব্বু, তোমরা এমন এক ভালোবাসার উদাহরণ তৈরি করেছো যে, যা ভাঙা তো দূরের কথা, স্পর্শ করাও অনেক কঠিন। ৩৭ বছরের একসঙ্গে পথচলা, যত ঝড়-ঝাপটাই আসুক তোমাদের বন্ধন আজও ততোটাই মজবুত।
বাবা-মায়ের কাছ থেকে পাওয়া জীবনের বড় শিক্ষার প্রসঙ্গ তুলে অভিনেত্রী আরও লেখেন, তোমরাই শিখিয়েছো ভালোবাসা মানে ধৈর্য, ত্যাগ ও একে অপরের পাশে থাকা। তোমরাই আমার জীবনের সবচেয়ে সুন্দর এক উদাহরণ।
নুসরাত ফারিয়ার ব্যক্তিগত জীবনের এমন পারিবারিক ভালোবাসার প্রকাশ ভক্ত-অনুরাগীদের কাছ থেকেও প্রশংসা কুড়িয়েছে। সেইসঙ্গে নুসরাত ভক্তরা তার বাবা-মায়ের প্রতিও শুভকামনা জানিয়েছেন।
>>>>>>>>>>>>>>
ডেঙ্গু প্রতিরোধ করবেন যেভাবে
মশা বাহিত একপ্রকার ভাইরাস জ্বর হলো ডেঙ্গু। এই জ্বর অন্যান্য ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়াজনিত জ্বর থেকে ভিন্ন। অবশ্য এই জ্বর কোনোভাবেই ছোঁয়াচে নয়। এই ভাইরাস জ্বর এককভাবে বা অন্যান্য ভাইরাস (চিকুনগুনিয়া, ইয়েলো ফিভার, বার্মা ফরেস্ট, ফ্লু, রেসপাইরেটরি সিনসাইটিয়াল) এবং ব্যাকটেরিয়া (নিউমোক্কাস)-এর সঙ্গেও হতে পারে।
লক্ষণ ও জ্বরের তীব্রতার ওপর নির্ভর করে ডেঙ্গুজ্বরকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে-
১. সাধারণ ডেঙ্গুজ্বর
২. রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বর।
সাধারণ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে চোখে পড়ে মূলত নিচের এই লক্ষণগুলো-
১. হঠাৎ করে তীব্র জ্বর ও তা ২ থেকে ৭ দিন স্থায়ী হওয়া।
২. তীব্র মাথাব্যথা হওয়া।
৩. চোখের পেছনের অংশে ব্যথা হওয়া।
৪. জ্বরের সঙ্গে সঙ্গে সারা শরীরে লালচে ফুসকুড়ি চোখে পড়া।
৫. সম্পূর্ণ শরীরে তীব্র ব্যথা ও সেইসঙ্গে কোমরে ব্যথা।
৬. বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া।
৭. ত্বকে র্যাশ বা লাল দানা দানা দেখা দেওয়া।
রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে :
১. ২ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তীব্র জ্বর সঙ্গে নাক, মুখ বা বমির সঙ্গে রক্ত যাওয়া।
২. জ্বরের পাশাপাশি বুকে বা পেটে পানি জমে যাওয়া।
এইসব লক্ষণের যে কোনো একটি লক্ষণ দেখা দিলেই দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।
অপরদিকে
জ্বরের প্রথম ৩ দিন বাড়িতে অপেক্ষা করুন। অপরদিকে সারা শরীর পানি দিয়ে স্পঞ্জ করুন কিছুক্ষণ পরপর। এতে করে জ্বরের মাত্রা কমে আসবে। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান ও বিশ্রাম নিতে হবে। এরপরেও জ্বর না কমলে বা কিছু সময় পরপর বাড়তে থাকলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন।
ডেঙ্গু প্রতিরোধে করণীয় বিষয়:
১. বাড়ির আশপাশ যতোটা সম্ভব পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে চেষ্টা করুন।
২. ঘরের ভেতরে থাকা ফুলের টব বা ভাঙা প্লাস্টিকের বোতল, ডাবের খোসা, টায়ার অথবা পলিথিন থাকলে তা দ্রুত পরিষ্কার করে ফেলুন ও ফুলের টব থেকে জমে থাকা পানি নিষ্কাশন করুন।
৩. মশা নিধনের জন্য সপ্তাহে অন্তত ৩ বার স্প্রে বা ফগিং করুন।
৪. বাড়ির বাইরে যাওয়ার সময় মশা নিধনে ব্যবহৃত ক্রিম সঙ্গে রাখতে পারেন।
৫. সন্ধ্যার পর বাড়ির ছোট থেকে বড় সদস্যরা মশারি ব্যবহার করুন।
৬. যেখানে-সেখানে জমে থাকা বৃষ্টির পানি পরিষ্কার করে ফেলুন, কারণ এতে এডিস মশা ডিম পেড়ে থাকে এই সময়।
৭. অপরদিকে মশার প্রকোপ থেকে বাঁচতে মশারির সঙ্গে সঙ্গে ম্যাট ব্যবহার করতে পারেন।
৮. এডিস মশা যেহেতু দিনের বেলা কামড়ায় তাই দিনের বেলায় ঘুমানোর সময় অবশ্যই মশারি টানিয়ে ঘুমানোর দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। সূত্র: https://dmpnews.org