দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ কয়েক মাস ধরে অন্য নক্ষত্র থেকে আসা বিশাল এক রহস্যময় বস্তু বিজ্ঞানীদের মধ্যে বেশ কৌতূহল সৃষ্টি করেছে।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসা জানিয়েছে, ‘৩আই/অ্যাটলাস’ নামের বস্তুটি পৃথিবীর জন্য কোনো হুমকি নয় ও নিরাপদ দূরত্ব হতে অতিক্রম করবে। তবে অনেক বিজ্ঞানী নাসার এই ধারণার সঙ্গে একমত নন। এই বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের খ্যাতনামা জ্যোতির্বিজ্ঞানী আভি লোব অভিযোগ করেছেন, নাসা ওই বস্তুটির বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য গোপন করছে। বিশাল আকারের অতি দ্রুতগামী মহাজাগতিক বস্তুটি অস্বাভাবিক রাসায়নিক উপাদান নিঃসরণও করছে, যা বিজ্ঞানের প্রচলিত ধারণাকে চ্যালেঞ্জ করছে। অনেকেরই ধারণা, ৩আই/অ্যাটলাস কোনো কৃত্রিম উৎস থেকেও তৈরি হতে পারে।
বিজ্ঞানী লোবের মতে, যদি বস্তুটি কৃত্রিমভাবে তৈরি হয়ও, তবে এর আচরণ সম্পর্কে আগাম অনুমান করা যাবে না। ২৯ অক্টোবর সূর্যের অন্য পাশে অবস্থান করবে রহস্যময় এই বস্তুটি। যে কারণে পৃথিবী থেকে কোনো টেলিস্কোপের মাধ্যমেই দেখা যাবে না, আসলে কী হচ্ছে সেখানে? হাওয়াইয়ের কেক ২ টেলিস্কোপে ধারণ করা ছবিতে দেখা যায়, বস্তুটি প্রতি সেকেণ্ডে প্রায় ৪ গ্রাম নিকেল নিঃসরণ করছে যারমধ্যে কোনো লোহা নেই। এমন যৌগ শুধু শিল্প খাতেই নিকেল অ্যালয় তৈরির সময় দেখা যায়। তবে এই ধরনের যৌগ নিঃসরণের ঘটনা পূর্বে কখনও কোনো মহাজাগতিক বস্তুর ক্ষেত্রে দেখা যায়নি।
বস্তুটি প্রথম শনাক্ত হয়েছিলো গত জুলাই মাসে। এর ব্যাস প্রায় ৫ দশমিক ৬ কিলোমিটার এবং ওজন প্রায় ৩ হাজার ৩০০ কোটি টন। এর গতি পূর্বে শনাক্ত হওয়া আন্তনাক্ষত্রিক বস্তু ওউমুয়ামুয়া এবং বরিসভের প্রায় দ্বিগুণ। প্রায় ৫ দশমিক ৬ কিলোমিটার চওড়া প্রচণ্ড গতিশীল বস্তুটির গতিপথও বেশ অদ্ভুত। তাই বিজ্ঞানীদের অনেকেই বস্তুটির পরিচয় এবং উৎস নিয়ে ভিন্ন ভিন্ন মতামতও দিয়েছেন। কেও কেও বলেছেন, বস্তুটি অন্য কোনো নক্ষত্রমণ্ডল হতে আসা প্রাকৃতিক বস্তু। আবার কারও কারও মতে কোনো বুদ্ধিমান সভ্যতার এলিয়েন কৃত্রিমভাবে এই বস্তুটি তৈরি করেছে।
স্পেনের ইউনিভার্সিটি অব আ কোরুনার বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন যে, ৩আই/অ্যাটলাস নামে বস্তুটির কম্পিউটার সিমুলেশনে কোনো কৃত্রিম প্রভাবের প্রমাণও পাওয়া যায়নি। এই বিষয়ে বিজ্ঞানী পেরেজ কৌতো বলেছেন, ‘প্রতিটি পর্যবেক্ষণ মহাবিশ্বের অতীতে উঁকি দেওয়ার মতোই। এর মাধ্যমে আমরা অন্য নক্ষত্রের চারপাশে গঠিত পদার্থের বিবর্তনও বুঝতে পারি। ধারণা করা হচ্ছে যে, এই বস্তুটি কোনো গ্যালাক্সির থিন ডিস্ক নামক প্রাচীন অঞ্চলে তৈরি, যার বয়স প্রায় ১ হাজার কোটি বছর।’ তথ্যসূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া।
>>>>>>>>>>>>>>
মশা বাহিত একপ্রকার ভাইরাস জ্বর হলো ডেঙ্গু। এই জ্বর অন্যান্য ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়াজনিত জ্বর থেকে ভিন্ন। অবশ্য এই জ্বর কোনোভাবেই ছোঁয়াচে নয়। এই ভাইরাস জ্বর এককভাবে বা অন্যান্য ভাইরাস (চিকুনগুনিয়া, ইয়েলো ফিভার, বার্মা ফরেস্ট, ফ্লু, রেসপাইরেটরি সিনসাইটিয়াল) এবং ব্যাকটেরিয়া (নিউমোক্কাস)-এর সঙ্গেও হতে পারে।
লক্ষণ ও জ্বরের তীব্রতার ওপর নির্ভর করে ডেঙ্গুজ্বরকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে-
১. সাধারণ ডেঙ্গুজ্বর
২. রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বর।
সাধারণ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে চোখে পড়ে মূলত নিচের এই লক্ষণগুলো-
১. হঠাৎ করে তীব্র জ্বর ও তা ২ থেকে ৭ দিন স্থায়ী হওয়া।
২. তীব্র মাথাব্যথা হওয়া।
৩. চোখের পেছনের অংশে ব্যথা হওয়া।
৪. জ্বরের সঙ্গে সঙ্গে সারা শরীরে লালচে ফুসকুড়ি চোখে পড়া।
৫. সম্পূর্ণ শরীরে তীব্র ব্যথা ও সেইসঙ্গে কোমরে ব্যথা।
৬. বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া।
৭. ত্বকে র্যাশ বা লাল দানা দানা দেখা দেওয়া।
রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে :
১. ২ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তীব্র জ্বর সঙ্গে নাক, মুখ বা বমির সঙ্গে রক্ত যাওয়া।
২. জ্বরের পাশাপাশি বুকে বা পেটে পানি জমে যাওয়া।
এইসব লক্ষণের যে কোনো একটি লক্ষণ দেখা দিলেই দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।
অপরদিকে
জ্বরের প্রথম ৩ দিন বাড়িতে অপেক্ষা করুন। অপরদিকে সারা শরীর পানি দিয়ে স্পঞ্জ করুন কিছুক্ষণ পরপর। এতে করে জ্বরের মাত্রা কমে আসবে। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান ও বিশ্রাম নিতে হবে। এরপরেও জ্বর না কমলে বা কিছু সময় পরপর বাড়তে থাকলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন।
ডেঙ্গু প্রতিরোধে করণীয় বিষয়:
১. বাড়ির আশপাশ যতোটা সম্ভব পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে চেষ্টা করুন।
২. ঘরের ভেতরে থাকা ফুলের টব বা ভাঙা প্লাস্টিকের বোতল, ডাবের খোসা, টায়ার অথবা পলিথিন থাকলে তা দ্রুত পরিষ্কার করে ফেলুন ও ফুলের টব থেকে জমে থাকা পানি নিষ্কাশন করুন।
৩. মশা নিধনের জন্য সপ্তাহে অন্তত ৩ বার স্প্রে বা ফগিং করুন।
৪. বাড়ির বাইরে যাওয়ার সময় মশা নিধনে ব্যবহৃত ক্রিম সঙ্গে রাখতে পারেন।
৫. সন্ধ্যার পর বাড়ির ছোট থেকে বড় সদস্যরা মশারি ব্যবহার করুন।
৬. যেখানে-সেখানে জমে থাকা বৃষ্টির পানি পরিষ্কার করে ফেলুন, কারণ এতে এডিস মশা ডিম পেড়ে থাকে এই সময়।
৭. অপরদিকে মশার প্রকোপ থেকে বাঁচতে মশারির সঙ্গে সঙ্গে ম্যাট ব্যবহার করতে পারেন।
৮. এডিস মশা যেহেতু দিনের বেলা কামড়ায় তাই দিনের বেলায় ঘুমানোর সময় অবশ্যই মশারি টানিয়ে ঘুমানোর দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। সূত্র: https://dmpnews.org
This post was last modified on অক্টোবর ২৭, ২০২৫ 9:24 পূর্বাহ্ন
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ শীতকালে বাতাসের আর্দ্রতা কমে যাওয়া এবং ঠাণ্ডা হাওয়ার কারণে মুখের…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসা পরিচালিত পারসিভিয়ারেন্স রোভার সম্প্রতি…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ স্বাস্থ্য সচেতন জীবনের অন্যতম শর্ত হলো সঠিক খাবার বেছে নেওয়া।…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ ভারতের দক্ষিণি সিনেমার জনপ্রিয় অভিনেত্রী রাশমিকা মান্দানা তার জীবনের অভিজ্ঞতার…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়া অঙ্গরাজ্যের এক বাসিন্দা তার বাড়ি বিক্রির বিজ্ঞাপনে লিখেছেন-“ফ্লোটিং…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ শুভ সকাল। রবিবার, ৭ ডিসেম্বর ২০২৫ খৃস্টাব্দ, ২২ অগ্রাহায়ণ ১৪৩২…