দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ মৌসুমী হামিদ চলচ্চিত্রেও অভিনয় করলেও নিয়মিত নয়। গত বছরের শেষ দিকে মুক্তি পায় ‘নয়া মানুষ’। তবে এবার নতুন একটি স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্রের শুটিংও শেষ করেছেন এই অভিনেত্রী। হাত দিয়েছেন পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্রে।

মৌসুমী হামিদ অভিনীত স্বল্পদৈর্ঘ্য ওই চলচ্চিত্রের নাম ‘জিনের বাচ্চা’। এটি পরিচালনা করেছেন অভিনেতা মোস্তাফিজুর নূর ইমরান। এতে আরও অভিনয় করছেন আজাদ আবুল কালাম। অপরদিকে তার পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্রের নাম ‘ট্রাইব্যুনাল’, পরিচালক রায়হান খান। মৌসুমী হামিদ জানিয়েছেন, কাছাকাছি সময়ের এই দুটি কাজে তাকে ইতিবাচক এবং নেতিবাচক দুই ধরনের চরিত্রে অভিনয় করতে দেখা যাবে। দুটি চরিত্রই তার খুবই পছন্দের, তাই কাজ দু’টি নিয়ে তার উচ্ছ্বাসেরও যেনো কমতি নেই।
মৌসুমী হামিদ জানালেন, শুটিং শেষ করেছেন ‘জিনের বাচ্চা’ স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্রের। সিনেমাটি সম্পর্কে তিনি বললেন, ‘খুব বেশি কিছু বলা যাবে না, তবে ইতিবাচক হলেও এমন একটি গল্পে কাজ করতে পেরে আমি উচ্ছ্বসিত।’
অপরদিকে তার পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র ‘ট্রাইব্যুনাল’ সম্পর্কে মৌসুমী হামিদ বললেন, ‘হাতে গোনা মাত্র কয়েকটি সিনেমায় আমি অভিনয় করেছি। কোনোটিতে নিজেকে চ্যালেঞ্জ করেছে, এমন কোনো চরিত্রই পাইনি। তবে এটিতে আমি নেগেটিভ রোল পেয়েছি। যাকে বলে বন্ধুরূপী শত্রু, আমার চরিত্রটি ঠিক তেমনই। মানুষ হিসেবে যা নই, সে ধরনের চরিত্রে কাজ করার মধ্যে বেশ চ্যালেঞ্জ থাকে, অভিনয় দিয়ে তা আমি কাটিয়ে ওঠার চেষ্টাও করছি। পরিচালক রায়হান খান আমাকে এই ধরনের চরিত্রে ভাবার জন্য তার প্রতি আমি কৃতজ্ঞ।’ ‘ট্রাইব্যুনাল’ সিনেমাতে আরও অভিনয় করেছেন আদর আজাদ, তানিয়া বৃষ্টি, শাহেদ আলী প্রমুখ অভিনয় শিল্পী।
>>>>>>>>>>>>>>
ডেঙ্গু প্রতিরোধ করবেন যেভাবে
মশা বাহিত একপ্রকার ভাইরাস জ্বর হলো ডেঙ্গু। এই জ্বর অন্যান্য ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়াজনিত জ্বর থেকে ভিন্ন। অবশ্য এই জ্বর কোনোভাবেই ছোঁয়াচে নয়। এই ভাইরাস জ্বর এককভাবে বা অন্যান্য ভাইরাস (চিকুনগুনিয়া, ইয়েলো ফিভার, বার্মা ফরেস্ট, ফ্লু, রেসপাইরেটরি সিনসাইটিয়াল) এবং ব্যাকটেরিয়া (নিউমোক্কাস)-এর সঙ্গেও হতে পারে।
লক্ষণ ও জ্বরের তীব্রতার ওপর নির্ভর করে ডেঙ্গুজ্বরকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে-
১. সাধারণ ডেঙ্গুজ্বর
২. রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বর।
সাধারণ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে চোখে পড়ে মূলত নিচের এই লক্ষণগুলো-
১. হঠাৎ করে তীব্র জ্বর ও তা ২ থেকে ৭ দিন স্থায়ী হওয়া।
২. তীব্র মাথাব্যথা হওয়া।
৩. চোখের পেছনের অংশে ব্যথা হওয়া।
৪. জ্বরের সঙ্গে সঙ্গে সারা শরীরে লালচে ফুসকুড়ি চোখে পড়া।
৫. সম্পূর্ণ শরীরে তীব্র ব্যথা ও সেইসঙ্গে কোমরে ব্যথা।
৬. বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া।
৭. ত্বকে র্যাশ বা লাল দানা দানা দেখা দেওয়া।
রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে :
১. ২ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তীব্র জ্বর সঙ্গে নাক, মুখ বা বমির সঙ্গে রক্ত যাওয়া।
২. জ্বরের পাশাপাশি বুকে বা পেটে পানি জমে যাওয়া।
এইসব লক্ষণের যে কোনো একটি লক্ষণ দেখা দিলেই দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।
অপরদিকে
জ্বরের প্রথম ৩ দিন বাড়িতে অপেক্ষা করুন। অপরদিকে সারা শরীর পানি দিয়ে স্পঞ্জ করুন কিছুক্ষণ পরপর। এতে করে জ্বরের মাত্রা কমে আসবে। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান ও বিশ্রাম নিতে হবে। এরপরেও জ্বর না কমলে বা কিছু সময় পরপর বাড়তে থাকলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন।
ডেঙ্গু প্রতিরোধে করণীয় বিষয়:
১. বাড়ির আশপাশ যতোটা সম্ভব পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে চেষ্টা করুন।
২. ঘরের ভেতরে থাকা ফুলের টব বা ভাঙা প্লাস্টিকের বোতল, ডাবের খোসা, টায়ার অথবা পলিথিন থাকলে তা দ্রুত পরিষ্কার করে ফেলুন ও ফুলের টব থেকে জমে থাকা পানি নিষ্কাশন করুন।
৩. মশা নিধনের জন্য সপ্তাহে অন্তত ৩ বার স্প্রে বা ফগিং করুন।
৪. বাড়ির বাইরে যাওয়ার সময় মশা নিধনে ব্যবহৃত ক্রিম সঙ্গে রাখতে পারেন।
৫. সন্ধ্যার পর বাড়ির ছোট থেকে বড় সদস্যরা মশারি ব্যবহার করুন।
৬. যেখানে-সেখানে জমে থাকা বৃষ্টির পানি পরিষ্কার করে ফেলুন, কারণ এতে এডিস মশা ডিম পেড়ে থাকে এই সময়।
৭. অপরদিকে মশার প্রকোপ থেকে বাঁচতে মশারির সঙ্গে সঙ্গে ম্যাট ব্যবহার করতে পারেন।
৮. এডিস মশা যেহেতু দিনের বেলা কামড়ায় তাই দিনের বেলায় ঘুমানোর সময় অবশ্যই মশারি টানিয়ে ঘুমানোর দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। সূত্র: https://dmpnews.org