দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ বলিউডের দুই অভিনেত্রী কাজল-টুইঙ্কেলের ‘টু মাচ উইথ কাজল অ্যান্ড টুইঙ্কেল’ শো’তে এখনও অতিথি হিসেবে হাজির হননি বলিউড কিং শাহরুখ খান। সেজন্য ভক্তদের প্রশ্নের মুখে পড়েন বলিউড বাদশা। এবার দুই সহশিল্পীর কাছে নিজেই কারণ জানিয়ে মজার ছলে ক্ষমাও চাইলেন কিং খান।

হিন্দুস্তান টাইমসের প্রতিবেদন অনযায়ী জানা যায়, সম্প্রতি এক পডকাস্টারের প্রশ্নের মুখে পড়ে শাহরুখ খান জানিয়েছেন, কাজল-টুইঙ্কেলের টক শো’য়ে যেতে না পারায় তার খুব খারাপ লেগেছে। তবে তিনি বর্তমানে নতুন সিনেমা ‘কিং’-এর শুটিং নিয়ে খুবই ব্যস্ত। মাঝখানে হাতে চোট পাওয়ার কারণে তিনি সময় বের করতে পারেননি।
তবে বাদশার আপত্তি ছিল অন্য বিষয়ে! মজা করে বলেছেন, ‘আমি যেতে চেয়েছিলাম, তবে ওই খাবার খাওয়ার ঝামেলা রয়েছে ওখানে; কারণ ওদের শো’য়ে প্রচুর খাবার থাকে।’
শাহরুখ আরও বলেন, ‘না যাওয়ার জন্য কাজল-টুইঙ্কেলের কাছে ক্ষমাও চাইছি। সত্যিই আমার যাওয়া উচিত ছিল। তবে নিজে সশরীরে উপস্থিত থাকতে না পারলেও প্রায়শ্চিত্ত করার জন্য আমি প্রতিটি পর্বই দেখেছি।’
কাজল এবং টুইঙ্কেলের এই শো তাদের বিতর্কিত মন্তব্যের কারণে শুরু হতেই আলোচনায় রয়েছে। কখনও দাম্পত্যের মেয়াদ থাকার বিষয় নিয়ে, আবার কখনও স্বামীদের পরকীয়ায় সমর্থন করে বিতর্কের জন্ম দিয়েছেন এই দুই সঞ্চালিকা। এমন বিতর্ক সত্ত্বেও শাহরুখ খান যে শো’য়ের প্রতি আগ্রহী, তা তার কথাতেই স্পষ্ট।
উল্লেখ্য, সম্প্রতি লন্ডনে শাহরুখ-কাজল অভিনীত ব্লকবাস্টার সিনেমা ‘দিলওয়ালে দুলহানিয়া লে জায়েঙ্গে’র রাজ-সিমরনের আদলে ব্রোঞ্জের মূর্তি উদ্বোধন করা হয়। সেই প্রেক্ষাপটেই দুই বন্ধুর এই আড্ডা জমে ওঠে।
>>>>>>>>>>>>>>
ডেঙ্গু প্রতিরোধ করবেন যেভাবে
মশা বাহিত একপ্রকার ভাইরাস জ্বর হলো ডেঙ্গু। এই জ্বর অন্যান্য ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়াজনিত জ্বর থেকে ভিন্ন। অবশ্য এই জ্বর কোনোভাবেই ছোঁয়াচে নয়। এই ভাইরাস জ্বর এককভাবে বা অন্যান্য ভাইরাস (চিকুনগুনিয়া, ইয়েলো ফিভার, বার্মা ফরেস্ট, ফ্লু, রেসপাইরেটরি সিনসাইটিয়াল) এবং ব্যাকটেরিয়া (নিউমোক্কাস)-এর সঙ্গেও হতে পারে।
লক্ষণ ও জ্বরের তীব্রতার ওপর নির্ভর করে ডেঙ্গুজ্বরকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে-
১. সাধারণ ডেঙ্গুজ্বর
২. রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বর।
সাধারণ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে চোখে পড়ে মূলত নিচের এই লক্ষণগুলো-
১. হঠাৎ করে তীব্র জ্বর ও তা ২ থেকে ৭ দিন স্থায়ী হওয়া।
২. তীব্র মাথাব্যথা হওয়া।
৩. চোখের পেছনের অংশে ব্যথা হওয়া।
৪. জ্বরের সঙ্গে সঙ্গে সারা শরীরে লালচে ফুসকুড়ি চোখে পড়া।
৫. সম্পূর্ণ শরীরে তীব্র ব্যথা ও সেইসঙ্গে কোমরে ব্যথা।
৬. বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া।
৭. ত্বকে র্যাশ বা লাল দানা দানা দেখা দেওয়া।
রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে :
১. ২ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তীব্র জ্বর সঙ্গে নাক, মুখ বা বমির সঙ্গে রক্ত যাওয়া।
২. জ্বরের পাশাপাশি বুকে বা পেটে পানি জমে যাওয়া।
এইসব লক্ষণের যে কোনো একটি লক্ষণ দেখা দিলেই দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।
অপরদিকে
জ্বরের প্রথম ৩ দিন বাড়িতে অপেক্ষা করুন। অপরদিকে সারা শরীর পানি দিয়ে স্পঞ্জ করুন কিছুক্ষণ পরপর। এতে করে জ্বরের মাত্রা কমে আসবে। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান ও বিশ্রাম নিতে হবে। এরপরেও জ্বর না কমলে বা কিছু সময় পরপর বাড়তে থাকলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন।
ডেঙ্গু প্রতিরোধে করণীয় বিষয়:
১. বাড়ির আশপাশ যতোটা সম্ভব পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে চেষ্টা করুন।
২. ঘরের ভেতরে থাকা ফুলের টব বা ভাঙা প্লাস্টিকের বোতল, ডাবের খোসা, টায়ার অথবা পলিথিন থাকলে তা দ্রুত পরিষ্কার করে ফেলুন ও ফুলের টব থেকে জমে থাকা পানি নিষ্কাশন করুন।
৩. মশা নিধনের জন্য সপ্তাহে অন্তত ৩ বার স্প্রে বা ফগিং করুন।
৪. বাড়ির বাইরে যাওয়ার সময় মশা নিধনে ব্যবহৃত ক্রিম সঙ্গে রাখতে পারেন।
৫. সন্ধ্যার পর বাড়ির ছোট থেকে বড় সদস্যরা মশারি ব্যবহার করুন।
৬. যেখানে-সেখানে জমে থাকা বৃষ্টির পানি পরিষ্কার করে ফেলুন, কারণ এতে এডিস মশা ডিম পেড়ে থাকে এই সময়।
৭. অপরদিকে মশার প্রকোপ থেকে বাঁচতে মশারির সঙ্গে সঙ্গে ম্যাট ব্যবহার করতে পারেন।
৮. এডিস মশা যেহেতু দিনের বেলা কামড়ায় তাই দিনের বেলায় ঘুমানোর সময় অবশ্যই মশারি টানিয়ে ঘুমানোর দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। সূত্র: https://dmpnews.org