ঢাকা টাইমস্ রিপোর্ট ॥ হরতালের একটি মামলায় বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ বিএনপি নেতাদের জামিন আবেদনে দ্বিধা বিভক্ত আদেশ দিয়েছে হাইকোর্ট। তবে গ্রেফতার এড়াতে অন্তত ৭ দিন সময় পাচ্ছেন তারা।
এক সপ্তাহ ‘আত্মগোপনে’ থাকার পর ফখরুল-খোকাসহ বিএনপির জ্যেষ্ঠ নেতারা ৬ মে সন্ধ্যা থেকে হাইকোর্টে অবস্থান করে সোমবার ৭ মে বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরী ও মো. নজরুল ইসলাম তালুকদারের বেঞ্চে জামিনের আবেদন নিয়ে হাজির হন।
প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সামনে গাড়ি পোড়ানোর ঘটনায় তেজগাঁও থানার মামলায় জামিন আবেদনের শুনানি শেষে ওই দুই বিএনপি নেতার বিষয়ে দুই বিচারক দুই রকম আদেশ দেন।
জ্যেষ্ঠ বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরী পুলিশ প্রতিবেদন হওয়ার আগ পর্যন্ত তাদের জামিনের আদেশ দেন। কিন্তু বিচারপতি নজরম্নল ইসলাম তালুকদার আবেদনকারীদের সাত দিনের মধ্যে বিচারিক আদালতে আত্মসমর্পণ করে জমিনের আবেদন করতে বলেন।
এ পর্যায়ে বিএনপি নেতাদের আইনজীবী ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ বলেন, বেঞ্চ বিচারিক আদালতে আত্মসমর্পণের নির্দেশ দিলেও পুলিশ এই সাত দিনে বিএনপি নেতাদের হয়রানি করতে পারে। এ বিষয়ে তিনি আদালতের নির্দেশনা চাইলে বেঞ্চ বলে, “বিষয়টি যেহেতু এখন তৃতীয় বেঞ্চে যাবে, সেহেতু আপনারা অন্তত সাত দিন সময় পাচ্ছেন।” এই সময়ে বিএনপি নেতাদের হয়রানি না করার জন্যও আদেশ দেয় আদালত।
উল্লেখ্য, গত ২৯ এপ্রিল হরতালের সময় প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সামনে গাড়ি পোড়ানো এবং সচিবালয়ে বিস্ফোরণের ঘটনায় দুটি মামলায় বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরম্নল ইসলাম আলমগীরসহ বিএনপির শীর্ষ পর্যায়ের নেতাদের আসামি করে মামলা দেয় পুলিশ।
এরপর বিএনপির যুগ্মমহাসচিব রুহুল কবির রিজভীকে গ্রেফতার এবং কয়েকজনের বাড়িতে পুলিশের অভিযান হলে অন্য নেতারা আত্মগোপন করেন। তাদের আগাম জামিনের আবেদন হাই কোর্টে দেওয়া হলেও একটি বেঞ্চ তা শুনতে বিব্রত বোধ করে। বিএনপি নেতাদের আইনজীবীদের ওই আবেদন নিয়মিত কার্যতালিকায় আনার পরামর্শ দেওয়া হয়।