দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ এতোদিন বিশ্বের বিভিন্ন দেশে বিদ্যুৎ-চালিত গাড়ির কথা আমরা শুনে আসছি। তবে এবার সেই বিদ্যুৎ-চালিত গাড়ি এবার বাংলাদেশে আসতে চলেছে!
সংবাদ মাধ্যমের খবরে জানা যায়, বাংলাদেশে বৈদ্যুতিক গাড়ির জন্য নীতিমালা প্রণয়নের পাশাপাশি আমদানিকৃত যানবাহনের জন্য চার্জিং নীতিমালা নিয়ে ইতিমধ্যেই কাজ শুরু করেছে কর্তৃপক্ষ। সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা বলেছেন, নীতিমালা চূড়ান্ত হলেই মোটরযান আমদানী শুরু হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
বাংলাদেশে বর্তমানে বিদ্যুৎ-চালিত যে বিপুল সংখ্যক ইজিবাইক রয়েছে তার বাইরে প্রাইভেট কারসহ অন্য যানবাহনগুলো কবে নাগাদ আমদানি সম্ভব হবে তার কোনো সময়সীমা এখনও ঠিক হয়নি।
সড়ক ও সেতু মন্ত্রণালয়ের আওতায় সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের অতিরিক্ত সচিব ইউছুব আলী মোল্লা একটি সংবাদ মাধ্যমকে বলেন, বুধবার তারা বিদ্যুৎ-চালিত যানবাহন সংক্রান্ত নীতিমালা চূড়ান্ত করতে দীর্ঘ বৈঠকও করেছেন। বৈঠকে একজন যুগ্ম সচিবের নেতৃত্বে আরও একটি কমিটি করা হয়েছে। যে কমিটি খসড়া নীতিমালা আরও পর্যালোচনা করে ৭ দিনের মধ্যে রিপোর্ট দেবে।
তিনি আরও জানিয়েছেন, রিপোর্ট পাওয়ার পর আবারও আলোচনা হবে, মন্ত্রণালয়ের মতামত নিতে হবে ও সংশ্লিষ্ট অনেকগুলো পক্ষের সঙ্গে আলোচনাও করতে হবে। এসব ধাপ পেরুনোর পর নীতিমালা চূড়ান্ত করে তারপর আমরা মন্ত্রণালয়ে দিতে পারবো। এতে হয়তো কিছুটা সময় লাগবে।
উল্লেখ্য, সারাদেশে অবৈধভাবে চলা বিদ্যুৎ চালিত যানবাহন, বিশেষ করে ইজিবাইককে শৃঙ্খলায় আনতে প্রায় দু’বছর আগে একটি খসড়া নীতিমালাও তৈরি করেছিলো বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ কিংবা বিআরটিএ।
যদিও কর্মকর্তারা বলছেন যে, শুরুতে বিদ্যুৎ চালিত এই ধরণের যানবাহন চলাচলের সুযোগ রাখা হবে কি-না তা নিয়ে সরকারের মধ্যে মতবিরোধ দেখা দিয়েছিলো, তবে পরে বিদ্যুৎ পরিস্থিতির উন্নতি হওয়া ও পরিবেশ-বান্ধব বিবেচনায় বিদ্যুৎ চালিত যানবাহন আমদানি এবং চলাচলের জন্য নীতিমালা তৈরির উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
এই কাজের অংশ হিসেবে সড়ক পরিবহন মন্ত্রণালয় বিআরটিএকে একটি খসড়া প্রস্তাবনা পাঠাতে বলা হলে সংস্থাটি একটি খসড়া পাঠায়, যাতে মূলত তখনকার বিদ্যুৎ চালিত যানবাহনকে নিবন্ধনের আওতায় আনার জন্য জোর দেওয়া হয়।
বিআরটিএ’র রোড সেফটি উইংয়ের পরিচালক শেখ মোহাম্মদ মাহবুব-ই-রব্বানী সংবাদ মাধ্যমকে বলেন,তারা বুয়েটের সঙ্গে আলোচনা করে একটি খসড়া তৈরি করে মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়েছেন।
তিনি আরও বলেন, ‘এখন মন্ত্রণালয় এই নীতিমালা নিয়েই কাজ করছে। এটি চূড়ান্ত করে তারাই ওয়েবসাইটে দিয়ে দেবে। তারপর বিদ্যুৎ চালিত সবধরণের যানবাহন চলাচলের সুযোগ তৈরি হবে বলে আশা করছি।’
চার্জিং স্টেশন তৈরির উদ্যোগ গ্রহণ
বিদ্যুৎ বিভাগ বলেছে, দেশে বিদ্যুৎ-চালিত গাড়ি আমদানির পর সেগুলোর চার্জিং স্টেশন কোথায় হবে বা কেমন হবে বা ট্যারিফ কেমন হতে পারে- এসব বিষয়ে সম্প্রতি একটি আন্ত:মন্ত্রণালয় সভাও হয়েছে।
এই সভায় অংশ নিয়ে বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ প্রত্যেকটি বিদ্যুৎ বিতরণ কোম্পানিতে বৈদ্যুতিক যান চার্জিং বিষয়ক টিম রাখার নির্দেশও দিয়েছেন।
একই সঙ্গে বৈদ্যুতিক যানবাহনের চার্জিং নীতিমালা গ্রাহক বান্ধব হতে হবে মন্তব্য করে তিনি বলেছেন ,পরিবেশের ভারসাম্য রাখতে বৈদ্যুতিক গাড়ির উত্থান ক্রমেই বাড়বে।
এই আন্ত:মন্ত্রণালয় সভাতেই জানানো হয় যে, পেট্রোল চালিত যানবাহনের প্রতি এক হাজার কিলোমিটারের জন্য যেখানে ৫,৩৭৫ টাকা খরচ হয়ে থাকে, সেখানে একই দূরত্বের জন্য বৈদ্যুতিক যানবাহনের ক্ষেত্রে খরচ হবে মাত্র ১,২৫০ টাকা।
তাছাড়া পেট্রোল-চালিত যানবাহনের চেয়ে বিদ্যুৎ চালিত যানবাহনের যান্ত্রিক দক্ষতাও অনেক বেশি এবং এটি পরিবেশ বান্ধব যানবাহন। তথ্যসূত্র: বিবিসি বাংলা।
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয়
# সব সময় ঘরে থাকি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের কাপড়ের মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।