দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক॥ আগামী ২০১৪ সালের বিশ্বকাপ টি২০ ক্রিকেটের আয়োজক বাংলাদেশ। অথচ এখন ২০১৩ এর মাঝামাঝি এসে বিসিবি প্রস্তুতি নিয়ে যথেষ্ট হতাশায় আছে। সভাপতি নাজমুল হাসান এ হতাশা ব্যক্ত করেছেন। তিনি আরও জানিয়েছেন, প্রস্তুতি পর্যবেক্ষন করতে গত সপ্তাহে আইসিসি’র পরিদর্শক দল এসে ৪টি ভেন্যু পরিদর্শন করে সন্তুষ্ট হতে পারেনি।
গত বছর শুরু হওয়া সিলেটের আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামের কাজ এখনও শেষ হয়নি। যদিও এ মাঠে গত বছর ইংল্যান্ড লায়ন্স দলের সাথে বাংলাদেশ এ দল একটি ম্যাচ খেলেছে। অন্যদিকে কক্সবাজারে সম্পূর্ণ নতুন একটি স্টেডিয়ামের বেশীরভাগ কাজ এখনও অসম্পূর্ণ। অথচ আগামী বছরের মার্চ ১৬ থেকে এপ্রিলের ১৬ তারিখ পর্যন্ত ঢাকা এবং চট্টগ্রামের মাঠগুলোতে টূর্ণামেন্টের বিভিন্ন ম্যাচগুলো খেলা হবে।
বিসিবি সভাপতি বলেছেন, “আগামী সপ্তাহে শুরু হতে যাওয়া ICC AGM সম্মেলনে আমাদের মুখোমুখি হওয়া বেশ লজ্জা’র ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে। বিশেষ করে আইসিসি কন্সাল্টেন্ট কিছুদিন আগে বাংলাদেশ সফর করে স্টেডিয়ামগুলো দেখে খুশী হতে পারেননি, তিনি কি রিপোর্ট জমা দিয়েছেন আমরা জানিনা। শুনেছি তারা বাংলাদেশের বিকল্প ভেন্যু’র কথা চিন্তাভাবনা করছে। তবে আমাদের অবশ্যই তাদের আশ্বস্ত করতে হবে এই বলে যে বিকল্প ভেন্যু লাগবে না, বাংলাদেশের যা আছে সেটাতেই হয়ে যাবে আর আমরা নির্ধারিত সময়ের আগেই পুরো প্রস্তুতি সেরে ফেলবো। আমাদের ওপর আস্থা রাখার জন্য তাদের অনুরোধ করবো।”
“বর্তমানে সিলেট স্টেডিয়াম শেষ করা নিয়ে চিন্তায় পড়তে হচ্ছে বেশী, তবে কক্স বাজারের ভেন্যুটা চূড়ান্ত সময়ের আগেই প্রস্তুত হয়ে উঠবে।” সিলেট স্টেডিয়াম ঘুর দেখা গেছে সেখানে ফ্লাডলাইট এবং খেলোয়াড়দের ড্রেসিং রুমের ব্যবস্থা এখনও করা হয়নি।
গত ছয়মাসেও যদি কাজ শেষ না হয়, তবে কীভাবে সেপ্টেম্বরের মধ্যে কাজ শেষ হবে এমন প্রশ্নের জবাব এড়িয়ে যান সভাপতি নাজমুল হাসান। তবে কাজ পুরোদমে চলছে বলে জানান তিনি। তিনি আরও বলেন, “অর্থমন্ত্রী এবং ক্রীড়ামন্ত্রী’র পূর্ণ সমর্থন আছে আমাদের সাথে। বাজেট নিয়ে তারা চিন্তা করতে একদমই মানা করেছেন। যতো টাকাই লাগুক আমরা কাজগুলো শেষ করে ফেলবো। আইসিসি পরিদর্শক দল যখন আগস্টে আবার প্রদর্শনী করতে আসবেন আমি নিশ্চিত তারা সন্তুষ্ট হবেন।”
তথ্যসূত্রঃ ক্রিকইনফো