দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ রোনালদোর আক্রমণাত্মক পারফরম্যান্সের মুখে মঙ্গলবার রাতে তুরস্কের গ্যালাতাসারে নিজেদের মাঠে ৬-১ গোলের বড় ব্যবধানে পরাজিত হয়েছে রিয়াল মাদ্রিদের কাছে। রোনালদো’র সাথে জোড়া গোল করেছেন করিম বেনজেমাও, আরও একটি গোল করেছেন ইসকো। সবমিলিয়ে বলা যায় উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগের দশম শিরোপা জয়ের মিশন দূর্দান্তভাবেই শুরু করলো রিয়াল মাদ্রিদ।
মাত্রই সর্বোচ্চ ১৫০ কোটি টাকা বার্ষিক বেতনের চুক্তির পর এটিই ছিলো রিয়ালের হয়ে রোনালদো’র প্রথম ম্যাচ। আর এই ম্যাচে দ্বিতীয়ার্ধে হ্যাটট্রিক করে রিয়ালকে পরিপূর্ণ ৩ পয়েন্ট এনে দেন রোনালদো।
ম্যাচের ৩৩ মিনিটে গোলের সূচনা করেন ইসকো। অ্যাঙ্গেল ডি মারিয়ার পাস থেকে বল নিয়ে দারূণভাবে কোনাকুনি শটে গোলরক্ষকের চোখ ফাঁকি দিয়ে বল জালে জড়িয়ে দেন তিনি। চ্যাম্পিয়ন্স লীগে এটি ইসকোর মোট চতুর্থ গোল।
এরপর রিয়াল মাদ্রিদ টানা আক্রমণে ব্যতিব্যস্ত করে রাখে গ্যালাতাসারের গোলমুখ। তবে প্রথমার্ধে আর কোনো গোলের দেখা পায়নি রিয়াল মাদ্রিদ। আসল চমক শুরু হয় দ্বিতীয়ার্ধে রিয়ালের টানা পাঁচটি গোল খেয়ে যায় গ্যালাতাসারে।
দ্বিতীয়ার্ধে ৫৪ মিনিটে আবারও দৃশ্যপটে অ্যাসিস্ট হিসেবে আবির্ভুত হন ডি মারিয়া। বল পাস দেন বেনজেমাকে। বেনজেমার শটে বল গ্যালাতাসারের জাল খুঁজে নেয়। এরপরি টানা দুটো গোল করে রিয়াল মাদ্রিদকে ৪-০ ব্যবধানে এগিয়ে নিয়ে যান রোনালদো। ৬৩ মিনিটে ইসকোর কাছ থেকে বল পেয়ে গোলরক্ষকের মাথার ওপর দিয়ে বল পাঠিয়ে দেন প্রতিপক্ষের জালে। এর তিন মিনিট পরেই ৬৬মিনিটে একক প্রচেষ্টায় গোল দিয়ে যেনো বুঝিয়ে দিলেন কেনো তিনিই সর্বোচ্চ বার্ষিক বেতন পাবার যোগ্য!
৮১ তম মিনিটে আবারও রোনালদো সামনে এলেন, তবে এবার অ্যাসিস্ট হয়ে। গোল করা ছাড়াও অ্যাসিস্ট হিসেবেও যে তিনি দূর্দান্ত তার প্রমাণ দিলেন জায়গামতো দাঁড়িয়ে থাকা বেনজেমাকে বল এগিয়ে দিয়ে, বেনজেমা তার দ্বিতীয় গোলটি করে গোলপোস্টের খুব কাছ থেকে।
তবে এরপরপরই ৮৪ মিনিটে গ্যালাতাসারের উমুট বুলুট পাল্টা আক্রমণ নরদিন আমরাবাটের সহযোগীতায় গ্যালাতাসারের পক্ষ থেকে ম্যাচের একমাত্র গোলটি করেন। কিন্তু ততক্ষণে রিয়াল এগিয়ে গেছে ৫-১ এর ধরাছোঁয়ার বাইরের ব্যবধানে।
ম্যাচের অতিরিক্ত মিনিটে বেনজেমার অ্যাসিস্টের সহায়তায় সর্বশেষ গোলটি করে নিজের হ্যাটট্রিক পূর্ণ করে মাঠ ছাড়েন রোনালদো।