দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ এক ভয়ংকর রাগি জন্তু জলহস্তি। আমরা চিড়িয়াখান কিংবা জিওগ্রাফি চ্যানেলগুলো দেখে থাকি। এই জরহস্তির অনেক কিছুই আমাদের অজানা।
জলহস্তি আমরা সচরাচর দেখে থাকি চিড়িয়াখানায়। ঢাকা চিড়িয়াখানাতে রয়েছে জলহস্তি। তবে আমরা যদি ঘরে বসে এই ভয়ঙ্কর প্রাণীটি দেখতে চাই তাহলে জিওগ্রাফি চ্যানেল দেখতে হবে। মাঝে মধ্যেই জিওগ্রাফি অথবা ডিসকভেরি চ্যানেলে এদের দেখা যায়।
আমরা যখন চিড়িয়াখানায় জলহস্তি দেখি তখন মনে হয় কত ভদ্র ও নরম এদের স্বভাব। কিন্তু আমরা কি কেও জানি যে এই জন্তুটি রেগে গেলে কতখানি ভয়ংকর হতে পারে। এদের এমনিতে যদি আপনি খুব একটা না নাড়েন অর্থাৎ এদের যদি কোন প্রকার ডিস্টার্ব না করেন তাহলে মনে হবে এদের মতো নিরীহ প্রাণী মনে হয় আর নেই!
আফ্রিকার জঙ্গলে এই জলহস্তি সাধারণ বেশি দেখা যায়। আমাদের দেশের চিড়িয়াখানাতেও বিদেশ থেকেই আমদানি করা হয়েছে এই জলহস্তি।
জলহস্তির পরিচিতি
আফ্রিকা অঞ্চলের সবচেয়ে ভয়াবহ জন্তুটির নাম হিপোপটেমাস যাকে আমরা জলহস্তি নামে জানি। জানা গেছে, সিংহ, কুমির অথবা সাপের কামড়ে সেখানে বছরে যত লোক মারা যায় তার চেয়ে অনেক বেশি লোক মারা যায় এই জলহস্তির আঘাতে। পৃথিবীর সবচেয়ে দ্রুততম মানব ওসাইন বোল্ট ঘণ্টায় ৩০ মাইল বেগে দৌঁড়াতে পারে, কিন্তু হিপোপটেমাস বা জলহস্তি তারচেয়ে অনেক বেশি বেগে ছুটতে পারে। আফ্রিকায় একটি খ্যাপা জলহস্তির আঘাতে ৪শ’রও বেশি লোক নিহত হয়েছে বলে শোনা যায়।
জলহস্তির বিবরণ
একটি জলহস্তির ওজন হতে পারে ৯০০০ পাউন্ড। এদের গালের দাঁত ব্লেডের চেয়েও ধারাল। জলহস্তি প্রধাণত ঘাস খায়। মানুষ ধরে খাওয়ার কোনো অভিজ্ঞতা জলহস্তির নেই। তবে কোনো কারণে একবার যদি খেপে যায় তাহলে কামড়ে চূর্ণবিচূর্ণ করে দিতে পারে। তখন হিতাহিত জ্ঞান হারিয়ে ফেলে এরা।
যখন এরা ক্ষেপে যায়
জলহস্তিকে দেখে নিরীহ মনে হলেও এরা আসলে অনেকটা হিংস্র জন্তুর মতই। জলহস্তিরা যখন ভূমিতে বিচরণ করে অধিকাংশ আক্রমণ তখনই করে থাকে। যখন তারা পানিতে থাকে তখন যদি কেও নৌকা নিয়ে তাদের মাথার উপর দিয়ে চলতে থাকে তখনই দেখা দেয় বিপত্তি। এরা তখন প্রচণ্ড ক্ষেপে যায়। অবস্থা বুঝে নৌকার মাঝি দ্রুত পালিয়ে যেতে পারলেও নৌকায় থাকা অন্য যাত্রীরা পড়ে বিপদে। তাদের ওপর আক্রমণ করে এই জলহস্তিরা। এভাবেই মানুষের কাছে পরিচিতি পেয়েছে আফ্রিকা অঞ্চলের এই বৃহত জন্তু জলহস্তি। তথ্যসূত্র: অনলাইন।