দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ টয়লেট না থাকায় এক স্ত্রী তার স্বামীকে তালাক দিয়েছেন। ঘটনাটি ঘটেছে ভারতের বিহার রাজ্যের ভাইশালীর পাহাড়পুরে।
এখনকার এই আধুনিক যুগেও টয়লেট নেই এমন কথা বোধহয় শুনতেও খারাপ লাগে। কিন্তু এমনই একটি ঘটনার খবর মিলেছে। ভারতের বিহার রাজ্যের ভাইশালীর পাহাড়পুরে এলাকায় টয়লেট না থাকায় উন্মুক্ত ময়দানে প্রাকৃতিক কাজ করতে গিয়ে লাঞ্ছনা এবং অপমানিত হওয়ায় বৈবাহিক সম্পর্কের অবসান ঘটিয়েছেন এক মহিলা। শেষ পর্যন্ত সম্পর্ক চুকে বাপের বাড়ি চলে গেছেন সুনিতা দেবি নামের ওই গৃহবধূ।
২৫ বছর বযসের সুনিতা দেবির বাড়ি ভারতের বিহার রাজ্যের ভাইশালীর পাহাড়পুরে। ২০১১ সালে বিশেনপুর পঞ্চায়েতে সবজি ব্যবসায়ী ধীরাজ চৌধুরীর সাথে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন তিনি। সন্তানহীন এই দম্পতি দুই রুমের একটি অর্ধেক পাকা, অর্ধেক কাঁচা বাড়িতে বসবাস করে আসছিলেন।
ভারতের প্রত্যন্ত এই অঞ্চলটিতে প্রাকৃতিক কাজের জন্য পায়খানার খুবই সঙ্কট চলছে। যে কারণে নারীদের বেশিরভাগ ক্ষেত্রে রাতে প্রাকৃতিক কাজ সারতে হয়। তবে তাতেও মুক্তি নেই। বাড়ির বাইরে গিয়ে প্রাকৃতিক কাজ সারতে গিয়ে দেশটির অনেক নারী অপহরণ এমনকি ধর্ষণেরও শিকার হন। এমনকি অনেকেই সংঘবদ্ধ ধর্ষণের কারণে মৃত্যুবরণও করেছেন অনেকেই।
এমনই একটি ঘটনার সূত্রপাত ঘটে। লাঞ্ছনা এবং অপমানিত হওয়ায় একটি পায়খানার কারণে তাদের ৪ বছরের বৈবাহিক সম্পর্কে ছেদ পড়লো। সুনিতা স্বামীকে ত্যাগ করে বাপের বাড়ি চলে যান। সুনিতার চলে যাওয়ার পর তার স্বামী বলেন, ‘সুনিতা আমাকে প্রায়ই টয়লেট বানানোর কথা বলতো। কিন্তু আমার কাছে টয়লেট বানানোর মতো টাকা নেই। কারণ আমার বাবা মারা যাওয়ায় পুরো সংসার আমার সামান্য আয়ের ওপর নির্ভরশীল।’ এই আমলেও এমন খবর সত্যিই বড়ই বিচিত্র এই পৃথিবী।
উল্লেখ্য, ভারতের ঝাড়খণ্ড রাজ্যের প্রত্যন্ত অঞ্চলের প্রায় ৯২ শতাংশ বাড়িতেই পায়খানা নেই। বিহারে ৮২ শতাংশ, উত্তরপ্রদেশে ৭৮ শতাংশ, ওডিশা, ছত্তিশগড় ও মধ্যপ্রদেশে ৮৫ শতাংশের বেশি বাড়িতেই টয়লেট নেই। সূত্র: এনডিটিভি।
এনডিটিভির সেই নিউজটির ভিডিও দেখুন
https://www.youtube.com/watch?v=9M41yBwzE-o