দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ বর্তমানে বাংলাদেশের রাজনীতিতে যে ‘দাও-কুড়াল’ অবস্থা চলছে সে সময় বড় দুই দলের দুই জন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত ও সিলেট সিটি মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী এর রিক্সায় চড়ে নজির গড়লেন!
এমন দৃশ্য দেখে জনগণের মধ্যে একটু হলেও শান্তির সু-বাতাস লেগেছে। জনগণ সব সময়ই চাই এদেশের রাজনীতিবিদরা সব সময় এক হয়ে, একে অপরের সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে দেশের জন্য দেশের মানুষের জন্য কাজ করুক। কিন্তু বাস্তবে এদেশের বিশেষ করে বড় দুই দলের নেতা-নেত্রীদের মধ্যে সেটি কখনও দেখা যায় না। সামপ্রতিক সময়ের ফোনালাপে দুই নেত্রী যে ভাষায় কথা বলেছেন তাতে জাতি আরও হতাশ হয়েছে।
ঠিক এমন এক পরিস্থিতিতে আজ শনিবার সকালে একই রিকশায় চড়লেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত ও সিলেট সিটি করপোরেশনের মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী। এমন দৃশ্য দেখে জনগণ সত্যিই আনন্দ পেয়েছে। এ ঘটনাটি দেখা গেছে আজ শনিবার বেলা ১১টার দিকে। নগরীর ছড়া দখলমুক্তকরণ কাজ পরিদর্শন করতে গিয়ে এই উদাহরণ সৃষ্টি করেন বড় দুটি দলের এই দুই নেতা। খবর বাংলাদেশ নিউজ২৪।
খবরে বলা হয়, নগরীর মিরাবাজার সংলগ্ন রায়নগর এলাকায় গোয়ালীছড়াসহ সিলেট নগরীর বিভিন্ন ছড়া দেখতে সকালে বের হন মেয়র আরিফের সঙ্গে অথর্মন্ত্রী। ফরহাদ খাঁ পুলস্থ ছড়া সংলগ্ন এলাকা থেকে রিকশায় চড়ে অর্থমন্ত্রী ও মেয়র গোয়ালীছড়ার ভেতরের এলাকা দেখতে পাড়ার রাস্তা দিয়ে যান। জানা গেছে, পরে তারা আবার এক রিকশায় চড়ে সেখানে ফেরেনও।
পরিদর্শন শেষে অর্থমন্ত্রী সাংবাদিকদের বলেছেন, সিলেট নগরীর অন্যতম কয়েকটি সমস্যার মধ্যে যানজট ও জলাবদ্ধতা অন্যতম দুটি সমস্যা। আরিফুল হক মেয়র নির্বাচিত হয়ে এই দুটি কাজে হাত দিয়েছেন। এটাকে আমি সাধুবাদ জানাই।
অর্থমন্ত্রী আরও বলেন, সিলেটের উন্নয়নে আমরা কাজ করে যেতে চাই। জনসেবায় কোনো দল নেই, কোনো মতভেদ নেই। এক্ষেত্রে সকলকে এক থাকতে হবে। ছড়া উদ্ধারে প্রাথমিক কাজের জন্য অর্থ বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। এতে সবধরণের সহায়তা দিয়ে যাবো।
তিনি বলেন, প্রত্যেকের মনে রাখতে হবে, আমার একটি স্বার্থের কারণে সারা শহরবাসীর যেনো কষ্ট পেতে না হয়। ছড়ার জায়গা যার যার দখলে পড়েছে সেগুলো ছেড়ে দিতে তিনি নগরবাসীর প্রতি অনুরোধ জানান।
মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী তার প্রতিক্রিয়ায় বলেন, প্রায় সবকটি ছড়া দখল হয়ে গেছে। এসব দখলমুক্ত হলে জলাবদ্ধতা হবে না। সিলেট নগরীর সৌন্দর্য্য বৃদ্ধি পাবে। হাতিরঝিলের মতো প্রকল্প হাতে নেয়া যাবে। এই উদ্ধার প্রক্রিয়া একটি দীর্ঘমেয়াদী এবং কঠিন কাজ। তবুও এটি হবেই। নগরবাসীর কথা চিন্তা করে সবাই এতে সহযোগিতা করবেন বলে আমার বিশ্বাস। তিনি অর্থমন্ত্রীর সহযোগিতার জন্য তাকে ধন্যবাদ জানান।
This post was last modified on নভেম্বর ১৬, ২০১৩ 4:04 অপরাহ্ন
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ আজ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচন। স্থানীয় সময় মঙ্গলবার (৫ নভেম্বর)…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব সফটওয়্যার অ্যান্ড ইনফরমেশন সার্ভিসেস (বেসিস) সদস্যদের জন্য…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ ৩ স্ত্রী, ২ বান্ধবী, ১০ সন্তানকে নিয়ে সংসার বেকার যুবকের!…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ শুভ সকাল। মঙ্গলবার, ৫ নভেম্বর ২০২৪ খৃস্টাব্দ, ২০ কার্তিক ১৪৩১…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ সাধারণতভাবে দেখা যায়, বেশিরভাগ মহিলা রক্তাল্পতার ঝুঁকিতেই ভোগেন। পিরিয়ডের সময়…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ খুব শীঘ্রই মোবাইল ফোন চার্জ দেওয়ার ঝামেলার অবসান ঘটতে চলেছে।…