ঢাকা টাইমস্ রিপোর্ট ॥ সকল জল্পনা-কল্পনার অবসান ঘটিয়ে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইউসুফ রাজা গিলানিকে আদালত অবমাননার দায়ে অভিযুক্ত করেছে দেশটির সর্বোচ্চ আদালত। তার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ প্রমাণিত হলে ছয় মাসের কারাদণ্ড হতে পারে গিলানির। এছাড়া তার পদচ্যুত হওয়ার শংকাও রয়েছে।
গিলানির উপস্থিতিতে ১৩ ফেব্রুয়ারি সাত বিচারকের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ তার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ পড়ে শোনান। এতে প্রেসিডেন্ট আসিফ আলি জারদারির বিরুদ্ধে দুর্নীতির পুরনো মামলাগুলো পুনরায় চালু করার নির্দেশ প্রত্যাখ্যান করার অভিযোগ উত্থাপন করা হয়। তবে আদালতের কাছে এদিনও তিনি নিজেকে নিরাপরাধ দাবি করেন। এ সময় আদালতে দেশটির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাহমান মালিকসহ অন্য মন্ত্রীরাও উপস্থিত ছিলেন। খবর দৈনিক যুগান্তরের।
মামলার পরবর্তী শুনানি ২২ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত হবে। ওইদিন নিজের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগগুলো খণ্ডন করার সুযোগ পাবেন গিলানি। এর আগে একই অভিযোগে ১৮ জানুয়ারি তার প্রতি সমন পাঠিয়েছিল আদালত। এর বিরুদ্ধে আপিল করেছিলেন গিলানি। কিন্তু সুপ্রিমকোর্ট তা খারিজ করে দেন। সুপ্রিমকোর্টের বিচারক নাসির উল মুলক ১৩ ফেব্রুয়ারি অভিযোগ করেন, গিলানি আদালতকে সম্পূর্ণভাবে অবজ্ঞা, অগ্রাহ্য ও অমান্য করেছে। প্রেসিডেন্ট আসিফ আলী জারদারির বিরুদ্ধে দুর্নীতির মামলা পুনরুজ্জীবিত করতে সুইস কর্তৃপক্ষকে অনুরোধ করে চিঠি পাঠানোর জন্য তাকে দেয়া নির্দেশ দু’বছরেও পালন করেনি।
বিষেজ্ঞরা মনে করছেন, সাজা হলে পদত্যাগে বাধ্য হতে পারেন গিলানি। তবে এতে ক্ষমতাসীন পাকিস্তান পিপলস পার্টির সরকারের পতন হবে না। কিন্তু পিপিপি সরকারের অবস্থান দুর্বল হয়ে পড়ার আশংকা আছে। এতে পরবর্তী সাধারণ নির্বাচনে ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে দলটি। এর আগে ১১ ফেব্রুয়ারি গিলানি বলেছিলেন, দোষী প্রমাণিত হলে পদত্যাগ করবেন তিনি। তবে আইন বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, দোষী প্রমাণিত হলেও তাকে ক্ষমা করার এখতিয়ার রয়েছে রাষ্ট্রপতির।
পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট জারদারি ও তার প্রয়াত স্ত্রী সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেনজির ভুট্টো একটি সুইস ব্যাংক হিসাবের মাধ্যমে প্রায় এক কোটি ২০ লাখ মার্কিন ডলার পাচার করেছেন বলে অভিযোগ রয়েছে। অভিযোগ মতে, ১৯৯০ সালে পাকিস্তানের শুল্ক বিভাগের পরিদর্শন কাজ পেতে কয়েকটি কোম্পানি ওই পরিমাণ অর্থ তাদের ঘুষ হিসেবে দেয়। ২০০৮ সালে জারদারি প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হলে ‘ন্যাশনাল রিকন্সিলিয়েশন অর্ডিন্যান্স’র আওতায় ২০০৯ সালে জারদারির বিরুদ্ধে করা দুর্নীতির মামলাগুলো বন্ধ করে দেয়া হয়।
উল্লেখ্য, প্রধানমন্ত্রী গিলানি দাবি করেছেন, প্রেসিডেন্ট জারদারি পূর্ণ দায়মুক্তি সুবিধা পাচ্ছেন। তার সরকারের অভিযোগ, বিচারকরা তাদের ক্ষমতার বাইরের বিষয় নিয়ে নাক গলাচ্ছেন এবং বর্তমান সরকারের মেয়াদ এক বছর বাকি থাকতেই প্রধানমন্ত্রী ও প্রেসিডেন্টকে ক্ষমতা থেকে সরানোর চেষ্টা চালাচ্ছেন।
redporn sex videos porn movies black cock girl in blue bikini blowjobs in pov and wanks off.
পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী গিলানি আদালত অবমাননার দায়ে অভিযুক্ত
Sign in