দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ বিএনপি নেতৃত্বাধীন ১৮ দলীয় জোটের বর্ধিত অবরোধে ব্যাপক সহিংসতা চলছে। গতকাল ৩ জন ও আজ চট্টগ্রামে ১ জন নিহত হয়েছে।
অবরোধে সহিংসতা অব্যাহত রয়েছে। গতকালও বিভিন্ন স্থানে সহিংসতায় নিহত হয়েছে অন্তত ৩ জন। আজ চট্টগ্রামে ১ জন নিহত হয়েছে।
চট্টগ্রাম ইপিজেড থানার সল্টগোলা ক্রসিং এলাকায় পিকেটারদের ছোঁড়া ককটেলে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে গাছের সঙ্গে ধাক্কা লেগে মাহমুদ (২৫) নামে এক লরি চালক নিহত হন। এ ঘটনায় ২ হেলপার আহত হয়েছে। আজ মঙ্গলবার সকালে এ ঘটনা ঘটে। অবরোধের সঙ্গে আজ সেখানে বিএনপির হরতাল চলছে। অপরদিকে মীরশরাইয়ের বড় তাকিয়ায় রেল লাইন উপড়ে ফেলায় ঢাকা-চট্টগ্রাম-সিলেট রুটে ট্রেন চলাচল বন্ধ রয়েছে।
আজ রাজধানীর পরিস্থিতি মোটামুটি স্বাভাবিক। মিনিবাস, টেম্পো ও সিএনজি চলছে। তবে দূরপাল্লার কোন বাস ছাড়েনি। কিছু কিছু ট্রেন ছেড়ে গেছে কমলাপুর রেল স্টেশন থেকে।
বিএনপি নেতৃত্বাধীন ১৮ দলীয় জোটের টানা অবরোধ কর্মসূচির তৃতীয় দিনে গতকালও ব্যাপক সহিংসতার ঘটনা ঘটেছে। দেশের বিভিন্ন এলাকায় অন্তত ৩ জন নিহত এবং শতাধিক আহত হয়েছে। রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে গাড়ি ভাঙচুর-অগ্নিসংযোগ ও ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়েছে অবরোধকারীরা। এসময় পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষ, ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনাও ঘটেছে বিভিন্ন স্থানে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ টিয়ার শেল নিক্ষেপ করে।
নিহতরা হচ্ছেন- নাটোরের ছাত্রদল নেতা সাইফুজ্জামান সুজন, চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার শিবগঞ্জ এলাকায় মিশুক চালক রুবেল ও লালমনিরহাটে গাড়ি চালক মুমিনুর রহমান। অবরোধকারীদের হাত থেকে পথচারী, নারী ও শিশু কেওই রেহাই পায়নি।
রাজধানীতে অবরোধের তেমন কোনো প্রভাব লক্ষ্য করা যায়নি। সকাল থেকে যান চলাচল ছিল স্বাভাবিক। অফিস-আদালত চলেছে স্বাভাবিকভাবে। অবরোধকারীদের ভয়ে অনেকেই তাদের ব্যক্তিগত গাড়ি বের করেনি। রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা থেকে ১০ পিকেটারকে আটক করে পুলিশ। এদের মধ্যে ৭ জনকে কারাদণ্ড দিয়েছে ভ্রাম্যমাণ আদালত।