দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ জাতিসংঘের বিশেষ দূত হিসেবে বাংলাদেশের রাজনৈতিক সংকট সমাধানে সহকারি মহাসচিব তারানকোর উদ্বোধন করা ‘এক্সপ্রেস ট্রেন’টির গতি এতোই স্লথ যে নির্বাচনের প্রক্রিয়া সমাপ্ত হয়ে শেষ পর্যন্ত নির্বাচনে গিয়ে ঠেকবে!
জাতিসংঘের মহাসচিব বান কি মুনের বিশেষ দূত হিসেবে বাংলাদেশে এসেছিলেন সহকারি মহাসচিব অস্কার ফার্নান্দেজ তারানকো। তিনি চার দিনের সফরে আসলেও তা বাড়িয়ে ৫ দিন বাংলাদেশে অবস্থান করেন। এ সময় তিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, বিরোধী দলীয় নেত্রী বেগম খালেদা জিয়া, প্রধান নির্বাচন কমিশনারসহ রাজনৈতিক, ব্যবসায়ী ও সুশীল সমাজের বিশিষ্ট ব্যক্তিদের সঙ্গেও বৈঠক করেন।
বাংলাদেশের চলমান রাজনৈতিক সংকটের সমাধানে তিনি যে ৫ দিন ছিলেন সকাল থেকে রাত অবধি বৈঠক করে সংকট সমাধানের চেষ্টা করেছেন। কিন্তু ফলাফল হয়েছে প্রায় সারশূন্য। কারণ উভয় দলই একটি ইস্যুতে অনঢ়। এমন এক পরিস্থিতিতে তিনি ফিরে যাওয়ার সময় সাংবাদিক সম্মেলন করে আলোচনা অব্যাহত রাখার কথা বলেন। তিনি বলেন, উভয় দল যদি ছাড় দেওয়ার মানসিকতা রাখেন তাহলে সংকট সমাধান হবে।
গতপরশু উভয় দলের ৮ জন বসেছিলেন। আওয়ামীলীগের সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম, আমির হোসেন আমু, তোফায়েল আহমেদ ও গওহর রিজভী। অপরদিকে বিএনপির পক্ষে বসেছিলেন ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মীর্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, ড. আবদুল মঈন খান ও সহসভাপতি শমসের মবিন চৌধুরী।
শুক্রবার রাজধানীর গুলশান-২-এ ইউএনডিপির একটি প্রকল্প কার্যালয়ে দুই দলের মধ্যকার তৃতীয় দফা বৈঠককালে উভয় দলের দুটি প্রস্তাব বিনিময় হয়। সংকট নিরসনের লক্ষ্যে বৈঠকে অংশ নেওয়া দুই দলের ৮ নেতা পরস্পরের কাছে লিখিতভাবে নিজ নিজ প্রস্তাব তুলে ধরেন।
জাতিসংঘের সহকারী মহাসচিব অস্কার ফার্নান্দেজ তারানকোর ঢাকা ত্যাগের পর তার পক্ষে বিশ্ব সংস্থাটির আবাসিক সমন্বয়কারী নিল ওয়াকার শুক্রবারের তৃতীয় দফা বৈঠকের মধ্যস্থতা ও সমন্বয় করেছেন। নিল ওয়াকারের উপস্থিতিতে অনুষ্ঠিত এই বৈঠকেও নির্বাচনকালীন সরকার ও নির্বাচন নিয়ে সৃষ্ট সংকটের জট খুলতে দুই দলের নেতারা অনেকটা খোলামেলা আলোচনা করেছেন। তবে এখন পর্যন্ত যার যার অবস্থানে অনড় থাকায় সমঝোতার বিষয়ে খুব বেশি অগ্রগতি হয়নি।
উভয় দলই বৈঠক থেকে বেরিয়ে এসে সাংবাদিকদের বলেছেন, আমরা উভয় দলই প্রস্তাবনা পেশ করেছি। উভয় দলই তাদের নেতৃবৃন্দকে এই প্রস্তাব পেশ করবেন এবং পরে আবার আমরা বসে পরবর্তী করণীয় নির্ধারণ করবো। আওয়ামীলীগের পক্ষে সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম এবং বিএনপির পক্ষে মীর্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এর নেতৃত্ব দেন।
আলোচনা শুরু হয়ে হয়তো আমরা আশাবাদি হচ্ছি কিন্তু বাস্তবে কি ঘটতে যাচ্ছে তা এখনও নিশ্চিত করে কিছুই বলা যাচ্ছে না। দেশের বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি এতোটাই করুণ যে দেশের ১৬ কোটি মানুষ চাচ্ছে বড় দুটি দলের মধ্যে সমঝোতা হোক এবং সবদলের অংশগ্রহণের মাধ্যমে দেশে শান্তি ফিরে আসুক। আজ রাজনৈতিক অস্থিরতার কারণে পুরো দেশ অচল। দেশের অর্থনীতি ভেঙ্গে পড়ছে। এমন অবস্থা চলতে থাকলে এদেশ পরিণত হবে আফগানিস্তান বা পাকিস্তানের মতো এক অস্থিতিশীল রাষ্ট্র হিসেবে। যা এদেশের ১৬ কোটি মানুষ মেনে নিতে পারে না। বড় দুটি দলের একগুয়েমি মনোভাবের কারণে দেশ ক্রমেই এক গৃহযুদ্ধের দিকেই এগিয়ে যাচ্ছে। এই সংকট থেকে মুক্তি পেতে উভয় দলের ছাড় দেওয়ার মনোভাব সৃষ্টি করে অতিসত্তর সংকট সমাধান করতে হবে।
সর্বশেষ খবরে জানা গেছে, নির্বাচনকালীন সরকারের প্রধান হিসেবে আওয়ামী লীগের ৩ জনের নাম প্রস্তাব করেছেন বিএনপি নেতারা। বিশিষ্ট এই তিন ব্যক্তিত্ব হলেন- রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ, স্পিকার শিরিন সুলতানা এবং সাবেক পরিকল্পনামন্ত্রী এয়ার ভাইস মার্শাল (অব.) একে খন্দকার (বীর উত্তম)। তবে বিএনপির প্রথম পছন্দের তালিকায় নাকি প্রথম রয়েছে একে খন্দকার।
This post was last modified on ডিসেম্বর ১৫, ২০১৩ 12:16 অপরাহ্ন
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ শসা আমাদের দৈনন্দিন খাদ্যতালিকায় অন্যতম পরিচিত এবং সহজলভ্য একটি সবজি।…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ অ্যাপল ও গুগল বিশ্বজুড়ে তাদের ব্যবহারকারীদের আবারও নতুন করে সাইবার…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ আমাদের দৈনন্দিন খাদ্যতালিকায় সবচেয়ে পরিচিত ও সহজলভ্য একটি সবজি হলো…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ বলিউডের দুই অভিনেত্রী কাজল-টুইঙ্কেলের ‘টু মাচ উইথ কাজল অ্যান্ড টুইঙ্কেল’…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ গত কয়েক দিন ধরে, নিউ সাউথ ওয়েলস (অস্ট্রেলিয়া) এবং দ্বীপ…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ চীনা বিজ্ঞানীরা দাবি করেছেন, তারা এমন একটি কৃত্রিম চিপ উদ্ভাবন…
View Comments
তা হলে ভালহবে